গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা নতুন ‘গণবান্ধব ঘোষণাপত্র’ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। দেশের সর্বস্তরের জনগণকে অংশীদার করে গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়া ৬০ জন ছাত্রনেতা রবিবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে গত ৫ আগস্ট প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণামূলক প্রহসন’ হিসেবে অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা দেশের সব শ্রেণি, পেশা, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে জনগণকে অংশীদার করে নতুন গণবান্ধব ঘোষণাপত্র প্রণয়নের জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, হাজারো শহিদ ও আহত ভাই-বোনের রক্তাক্ত আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে সংঘটিত এই গণ-অভ্যুত্থান দেশের গণতন্ত্রকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত করেছে। এতে জনগণ বিদ্যমান শোষণ-নিপীড়নমূলক পুরোনো পুলিশ, আদালত, আইন ও সংবিধানের কর্তৃত্ব চূড়ান্তভাবে অস্বীকার করে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সামরিক শাসন মেনে নেয়নি, নব্বইয়ের মতো কেবল ব্যক্তি স্বৈরাচারীর অপসারণকেও লক্ষ্য করেনি; বরং গণবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের বৈপ্লবিক চেতনাকে জাগিয়ে তুলেছে।
ছাত্রনেতারা দাবি করেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা নতুন রাষ্ট্র গঠনের দায়িত্ব নিতে প্রথমে তারা জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করেন, কিন্তু পুরোনো শোষণমূলক রাজনৈতিক দলগুলো সেটিকে অস্বীকার করে গণ-আন্দোলনের পথে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে ছাত্র নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন যা পুরানো শোষণমূলক কাঠামো মেনে নেয়। এর ফলশ্রুতিতে গণআকাঙ্ক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুরোনো আমলাতন্ত্র, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও লুটেরা অলিগার্করা ছাত্র নেতৃত্বকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অপরাধের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছে; আর্থিক লোভ-লালসায় কিছু ছাত্রদের নৈতিকতা বিসর্জন দিতে হয়েছে। পাশাপাশি গণবিরোধী মিডিয়া প্রচার চালিয়ে ছাত্র নেতৃত্বের জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তাঁরা জানায়, দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, নারীসমাজ, কৃষক-শ্রমিক, বেকার যুবক ও পেশাজীবীসহ সব শ্রেণির মানুষ গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েও ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ফলে নতুন সংবিধান ও গণবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলন সংকুচিত হয়েছে।
এ ছাড়াও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এই ক্ষোভের কারণেই জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের দাবি বেড়েছে, যা জনগণের সত্যিকার আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করে। তবে পুরানো শোষণমূলক শক্তির চাপেই গত ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র পাঠ কর্মসূচি ব্যাহত হয় এবং গত ৫ আগস্ট একটি প্রতারণামূলক ও অর্থহীন দলিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নামে চালু করা হয়।
ছাত্রনেতারা এতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, হাজারো শহিদ ও আহত গাজী ভাই-বোনদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। তাঁদের সাহস ও দেশপ্রেম থেকে প্রেরণা নিয়ে সত্যিকার গণবান্ধব ও জনকল্যাণমূলক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রাম আমরা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখব।
তারা সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা, শিক্ষার্থী, নারী, কৃষক, শ্রমিক ও পেশাজীবীসহ দেশের সকল ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে জনগণকে নতুন গণবান্ধব ঘোষণাপত্র প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন—
শ্রেণি, পেশা, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম গণপরিষদ নির্বাচন করে প্রকৃত ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন গণবান্ধব সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।
বিবৃতিতে সই করেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ সোহেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল্লাহ সালেহীন, মো. ওয়াহিদ উজ জামান, হামজা মাহবুব, মো. সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. রাসেল আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবলী সাদী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল তানভীর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকিব হোসাইন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজিফা জান্নাত, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. রাসেল, ঢাকা কলেজের মো. রাকিব, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসাদ বিন রনি, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের ইব্রাহিম নীরব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণা রিয়া, স্টেট ইউনিভার্সিটির মিশু আলী সুহাস, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সিনথিয়া জাহিন, বিএল কলেজের সাজিদুল ইসলাম প্রমুখ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়া ৬০ জন ছাত্রনেতা রবিবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে গত ৫ আগস্ট প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণামূলক প্রহসন’ হিসেবে অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা দেশের সব শ্রেণি, পেশা, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে জনগণকে অংশীদার করে নতুন গণবান্ধব ঘোষণাপত্র প্রণয়নের জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, হাজারো শহিদ ও আহত ভাই-বোনের রক্তাক্ত আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে সংঘটিত এই গণ-অভ্যুত্থান দেশের গণতন্ত্রকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত করেছে। এতে জনগণ বিদ্যমান শোষণ-নিপীড়নমূলক পুরোনো পুলিশ, আদালত, আইন ও সংবিধানের কর্তৃত্ব চূড়ান্তভাবে অস্বীকার করে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সামরিক শাসন মেনে নেয়নি, নব্বইয়ের মতো কেবল ব্যক্তি স্বৈরাচারীর অপসারণকেও লক্ষ্য করেনি; বরং গণবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের বৈপ্লবিক চেতনাকে জাগিয়ে তুলেছে।
ছাত্রনেতারা দাবি করেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা নতুন রাষ্ট্র গঠনের দায়িত্ব নিতে প্রথমে তারা জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করেন, কিন্তু পুরোনো শোষণমূলক রাজনৈতিক দলগুলো সেটিকে অস্বীকার করে গণ-আন্দোলনের পথে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে ছাত্র নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন যা পুরানো শোষণমূলক কাঠামো মেনে নেয়। এর ফলশ্রুতিতে গণআকাঙ্ক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুরোনো আমলাতন্ত্র, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও লুটেরা অলিগার্করা ছাত্র নেতৃত্বকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অপরাধের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছে; আর্থিক লোভ-লালসায় কিছু ছাত্রদের নৈতিকতা বিসর্জন দিতে হয়েছে। পাশাপাশি গণবিরোধী মিডিয়া প্রচার চালিয়ে ছাত্র নেতৃত্বের জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তাঁরা জানায়, দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, নারীসমাজ, কৃষক-শ্রমিক, বেকার যুবক ও পেশাজীবীসহ সব শ্রেণির মানুষ গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েও ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ফলে নতুন সংবিধান ও গণবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলন সংকুচিত হয়েছে।
এ ছাড়াও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এই ক্ষোভের কারণেই জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের দাবি বেড়েছে, যা জনগণের সত্যিকার আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করে। তবে পুরানো শোষণমূলক শক্তির চাপেই গত ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র পাঠ কর্মসূচি ব্যাহত হয় এবং গত ৫ আগস্ট একটি প্রতারণামূলক ও অর্থহীন দলিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নামে চালু করা হয়।
ছাত্রনেতারা এতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, হাজারো শহিদ ও আহত গাজী ভাই-বোনদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। তাঁদের সাহস ও দেশপ্রেম থেকে প্রেরণা নিয়ে সত্যিকার গণবান্ধব ও জনকল্যাণমূলক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রাম আমরা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখব।
তারা সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা, শিক্ষার্থী, নারী, কৃষক, শ্রমিক ও পেশাজীবীসহ দেশের সকল ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে জনগণকে নতুন গণবান্ধব ঘোষণাপত্র প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন—
শ্রেণি, পেশা, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম গণপরিষদ নির্বাচন করে প্রকৃত ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন গণবান্ধব সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।
বিবৃতিতে সই করেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ সোহেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল্লাহ সালেহীন, মো. ওয়াহিদ উজ জামান, হামজা মাহবুব, মো. সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. রাসেল আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবলী সাদী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল তানভীর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকিব হোসাইন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজিফা জান্নাত, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. রাসেল, ঢাকা কলেজের মো. রাকিব, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসাদ বিন রনি, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের ইব্রাহিম নীরব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণা রিয়া, স্টেট ইউনিভার্সিটির মিশু আলী সুহাস, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সিনথিয়া জাহিন, বিএল কলেজের সাজিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সিলেটে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম গন্তব্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ ‘সাদাপাথর’ এলাকা। ধলাই নদীর উৎসমুখে ভারত থেকে নেমে আসা পাথররাজির স্তূপ থেকে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই পর্যটনকেন্দ্রটিতে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটকের পদচারণা ঘটে। সম্প্রতি সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটপাট শুরু হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেএক দশকেরও বেশি সময় আগে রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন ওরফে জনির ওপর নির্যাতন চালানো হয়, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩ ঘণ্টা আগেমাদকের কারবার ঘিরে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন শাহ আলম (২০) নামের একজন।
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন কমার প্রবণতা থাকলেও দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
৪ ঘণ্টা আগে