দিবসটি উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক এই দিবস উদযাপনে দেশের শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, বয়োজ্যেষ্ঠ নারী-পুরুষ সবাইকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে সরকার।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন, ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এদিনই রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিকেল ৫টায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি ও আহত যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক এই দিবস উদযাপনে দেশের শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, বয়োজ্যেষ্ঠ নারী-পুরুষ সবাইকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে সরকার।
যা থাকছে ’৩৬ জুলাই’ উদযাপনের দিনব্যাপী কর্মসূচিতে
৩৬ জুলাই উদযাপনের আয়োজনে থাকছে—৬৪ জেলায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে’ সকাল ৯টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ। পাশাপাশি সারা দেশের প্রতিটি ধর্মীয় উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ ‘বিজয় মিছিল’ নিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এসে সম্মিলিত হবেন। এদিন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সব সার্কেল অফিস নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে রাস্তার পাশে বা নিজস্ব জায়গায়, ট্রাফিক ইন্টারসেকশনে বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করবে।
এদিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জুলাই নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে থাকছে— সকাল ১১টায় ‘টং’ এর গান, ১১টা ২০ মিনিটে সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী, ১১টা ৪০ মিনিটে কলরব শিল্পী গোষ্ঠী, ১২টা ৫ মিনিটে নাহিদ ও সাড়ে ১২টায় তাশফির সংগীত পরিবেশন করবেন। দুপুর ১টায় নামাজের বিরতির পর একে একে পারফর্ম করবেন চিটাগাং হিপহপ হুড, সেজান এবং শূন্য ব্যান্ড।
এরপর বেলা ২টা ২৫ মিনিটে ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপন করা হবে।
‘পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপনের পর আবারও শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন সায়ান, ইথুন বাবু ও মৌসুমি, সোলস এবং ওয়ারফেজ।
এরপর আসরের নামাজের বিরতি চলবে। বিরতির পর বিকাল ৫টায় ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হবে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সবার অংশগ্রহণে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে।
সন্ধ্যায় সংসদ ভবনের সামনে লাখো কণ্ঠে জুলাইয়ের গান ‘কতো বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা...’ গাওয়া হবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের পর আবারো শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন বেসিক গিটার লারনিং স্কুল, এফ মাইনর এবং পারশা। এরপর মাগরিবের নামাজের বিরতির পর পারফর্ম করবেন এলিটা করিম। তাঁর পারফর্মেন্সের পর অনুষ্ঠিত হবে স্পেশাল ড্রোন ড্রামা। ড্রোন শো-এর পর সংগীত পরিবেশন করবে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এছাড়াও মানিক মিয়া এভিনিউ জুড়ে দিনভর থাকছে উৎসব মুখর নানা আয়োজন।
এছাড়া এদিন ‘নোটস অন জুলাই’ জুলাইয়ের কিছু নির্বাচিত ছবি দিয়ে পোস্টকার্ড ডিজাইন করা হবে— যা জনসমাগমের মধ্যে ভলান্টিয়াররা নিয়ে ঘুরবেন এবং জনগণ ইচ্ছামতো পোস্টকার্ড নিয়ে নিজেদের জুলাইয়ের অভিজ্ঞতা লিখতে পারবেন।
ঘোষণাপত্রের প্রেক্ষাপট
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত বিষয় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। অভ্যুত্থানের পরপরই বিষয়টি করা না হলেও বছরের শেষ দিকে এসে বিষয়টি নিয়ে জোরালো হতে দেখা যায় অভ্যুত্থানের নেতাদের। এক পর্যায়ে ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করারও ঘোষণা আসে অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে। সংগঠনের নেতারা ঘোষণাপত্রে দুটি মৌলিক বিষয়ের উল্লেখ করেন। তারা জানান, ঘোষণাপত্রে ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর ‘কবর’ রচনা করা এবং ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করার কথা থাকবে।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার এ বিষয়ে দায়িত্ব নিলে সরে আসেন উদ্যোক্তারা। পরে চলতি বছরের শুরুর দিকে ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকের শেষে পরবর্তী কর্মপন্থা হিসেবে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের কাছ থেকে অভিমত চায় সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সে সময় জানায়, ‘আপনাদের সুচিন্তিত অভিমত চিঠি মারফত পাঠাতে পারেন- “মাহফুজ আলম, উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়” এই ঠিকানায়। অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জনগণের উপস্থিতিতে তা শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে জুলাই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ২৬টি দফা রয়েছে। প্রথম ২১ দফায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে।
পরের পাঁচটি দফায় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-খুন, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন, ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এদিনই রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিকেল ৫টায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি ও আহত যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক এই দিবস উদযাপনে দেশের শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, বয়োজ্যেষ্ঠ নারী-পুরুষ সবাইকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে সরকার।
যা থাকছে ’৩৬ জুলাই’ উদযাপনের দিনব্যাপী কর্মসূচিতে
৩৬ জুলাই উদযাপনের আয়োজনে থাকছে—৬৪ জেলায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে’ সকাল ৯টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ। পাশাপাশি সারা দেশের প্রতিটি ধর্মীয় উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ ‘বিজয় মিছিল’ নিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এসে সম্মিলিত হবেন। এদিন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সব সার্কেল অফিস নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে রাস্তার পাশে বা নিজস্ব জায়গায়, ট্রাফিক ইন্টারসেকশনে বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করবে।
এদিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জুলাই নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে থাকছে— সকাল ১১টায় ‘টং’ এর গান, ১১টা ২০ মিনিটে সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী, ১১টা ৪০ মিনিটে কলরব শিল্পী গোষ্ঠী, ১২টা ৫ মিনিটে নাহিদ ও সাড়ে ১২টায় তাশফির সংগীত পরিবেশন করবেন। দুপুর ১টায় নামাজের বিরতির পর একে একে পারফর্ম করবেন চিটাগাং হিপহপ হুড, সেজান এবং শূন্য ব্যান্ড।
এরপর বেলা ২টা ২৫ মিনিটে ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপন করা হবে।
‘পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপনের পর আবারও শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন সায়ান, ইথুন বাবু ও মৌসুমি, সোলস এবং ওয়ারফেজ।
এরপর আসরের নামাজের বিরতি চলবে। বিরতির পর বিকাল ৫টায় ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হবে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সবার অংশগ্রহণে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে।
সন্ধ্যায় সংসদ ভবনের সামনে লাখো কণ্ঠে জুলাইয়ের গান ‘কতো বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা...’ গাওয়া হবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের পর আবারো শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন বেসিক গিটার লারনিং স্কুল, এফ মাইনর এবং পারশা। এরপর মাগরিবের নামাজের বিরতির পর পারফর্ম করবেন এলিটা করিম। তাঁর পারফর্মেন্সের পর অনুষ্ঠিত হবে স্পেশাল ড্রোন ড্রামা। ড্রোন শো-এর পর সংগীত পরিবেশন করবে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এছাড়াও মানিক মিয়া এভিনিউ জুড়ে দিনভর থাকছে উৎসব মুখর নানা আয়োজন।
এছাড়া এদিন ‘নোটস অন জুলাই’ জুলাইয়ের কিছু নির্বাচিত ছবি দিয়ে পোস্টকার্ড ডিজাইন করা হবে— যা জনসমাগমের মধ্যে ভলান্টিয়াররা নিয়ে ঘুরবেন এবং জনগণ ইচ্ছামতো পোস্টকার্ড নিয়ে নিজেদের জুলাইয়ের অভিজ্ঞতা লিখতে পারবেন।
ঘোষণাপত্রের প্রেক্ষাপট
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত বিষয় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। অভ্যুত্থানের পরপরই বিষয়টি করা না হলেও বছরের শেষ দিকে এসে বিষয়টি নিয়ে জোরালো হতে দেখা যায় অভ্যুত্থানের নেতাদের। এক পর্যায়ে ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করারও ঘোষণা আসে অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে। সংগঠনের নেতারা ঘোষণাপত্রে দুটি মৌলিক বিষয়ের উল্লেখ করেন। তারা জানান, ঘোষণাপত্রে ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর ‘কবর’ রচনা করা এবং ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করার কথা থাকবে।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার এ বিষয়ে দায়িত্ব নিলে সরে আসেন উদ্যোক্তারা। পরে চলতি বছরের শুরুর দিকে ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকের শেষে পরবর্তী কর্মপন্থা হিসেবে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের কাছ থেকে অভিমত চায় সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সে সময় জানায়, ‘আপনাদের সুচিন্তিত অভিমত চিঠি মারফত পাঠাতে পারেন- “মাহফুজ আলম, উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়” এই ঠিকানায়। অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জনগণের উপস্থিতিতে তা শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে জুলাই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ২৬টি দফা রয়েছে। প্রথম ২১ দফায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে।
পরের পাঁচটি দফায় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-খুন, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
৫ আগস্ট শুধু শেখ হাসিনার পতনই ঘটে না, এদিন বহু মানুষ নিজের জীবনও হারান। গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম রক্তক্ষয়ী দিন ছিল সেটি। জনতার বিজয়োল্লাসে মিশে ছিল সহ-নাগরিক হারানোর শোক।
২ ঘণ্টা আগেচব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে নিহত ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেসাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেওয়া খাল খনন কর্মসূচি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
১১ ঘণ্টা আগে‘লাশটা নিয়া যাইতে দেন’– পুলিশকে অনুরোধ করছিলেন হোসাইনের ভাই হাসান। লাশের স্তূপের পাশে নিজের ভাইকে পড়ে থাকতে দেখে আর্তনাদ করে ওঠেন তিনি। এমনই এক ভয়াবহ অবস্থা থেকে কোনো রকমে বেঁচে ফেরেন মোহাম্মদ হোসাইন। তবে তাঁকে চিরদিনের মতো হারাতে হয়েছে একটি হাত।
১৪ ঘণ্টা আগে