৩৬ জুলাই উদযাপন
স্ট্রিম প্রতিবেদক
সকাল সাতটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এসেছেন রেখা বেগম। সঙ্গে এনেছেন বারো বছর বয়সী ছেলে সুলাইমানকে। সুলাইমানের এক পা ভালো হলেও অন্য পায়ে ইলিজারভ ফ্রেম (ভাঙা হাড় সোজা রাখা ও জোড়া লাগাতে ব্যবহৃত যন্ত্র) লাগানো। জুলাই অভ্যুত্থানে পা ভাঙ্গে তাঁর। স্ট্রিমকে রেখা বলেন, ‘যাঁর জন্য আমার পোলা পা হারাইছে, সে পলায়ে গেছে আইজ ১ বছর। পোলার পা ভাঙার দুঃখ আছে। কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনা দেশে নাই, সেইটার আনন্দও আছে। সেই আনন্দটাই করতে আসলাম।’
আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’। দিবসটি ঘিরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দিনভর নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদিন বিকেলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সকালে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ঘুরে দেখা গেছে, ‘জাতীয় সংসদ ভবনের ঠিক সামনে তৈরি করা হয়েছে ‘লাল স্টেজ’। পুরো এলাকাজুড়ে বসানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। আগত জনতার জন্য খাবার পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা করেছে সিটি করপোরেশন। সব কিছু মিলিয়ে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি একেবারে শেষ। এখন স্টেজে বসানো হচ্ছে ড্রামস সেট। চেক করা হচ্ছে সাউন্ড সিস্টেম। ভোর থেকে অনেকে বসে আছেন অনুষ্ঠান শুরুর অপেক্ষায়। অনেকে আসছেন। সঙ্গে নিয়ে আসছেন পরিবার, বন্ধু, শিক্ষার্থী।
বন্ধুর সঙ্গে সাভার থেকে এসেছেন শেখ যুবায়ের। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এক বছর আজ। গত বছরের এই দিনে রাস্তায় বের হয়েছিলাম। আনন্দে মেতে উঠেছিলাম। আজও ঘরে থাকতে পারি নাই। হয়তো আজীবন ৫ আগস্ট এভাবে বের হয়ে যাব।’
মিরপুর-১ থেকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ সুজন। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘বাচ্চারা খুবই এক্সাইটেড। ওরা এতদিন শুধু শুনেছে। টিভিতে দেখেছে। আজ ওরা স্বচক্ষে জুলাইয়ের আনন্দ দেখতে চায়।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সুজন বলেন, ‘এত শহীদ, আহতের পর এটা তো আমাদের কাম্য ছিল। আজ ফাইনালি ঘোষণা হবে। দেখা যাক, কী কী বিষয় উঠে আসে। আশা করি ভালো কিছুই হবে।’
নিউমার্কেটের দারুল উলুম রসিদিয়া মাদরাসা থেকে এসেছেন মাওলানা হাবিবুর রহমান। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা কথা বলতে পারতাম না। স্বাধীনভাবে চলতে পারতাম না। টুপি পরে চলতেও অনেক সময় ভয় লাগতো। এই জালেমের জুলুম থেকে মুক্তির এক বছর আজ। তাই আল্লাহ কাছে শুকরিয়া জানাতে এবং অনুষ্ঠান দেখতে আসলাম।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে অস্থায়ী ক্যাম্প বসিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য।
নিরাপত্তাজনিত কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। র্যাব-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) খান আসিফ তপু স্ট্রিমকে বলেন, ‘আজকে আমাদের তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। সাদা পোশাকে আমাদের গোয়েন্দা আছে, পেট্রোল মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের ইন্টারনাল কন্ট্রোল রুম থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা হচ্ছে।
অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো নিরাপত্তা হুমকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো হুমকি পাইনি। তবে সব সময়ের মতো আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
বিজিবির ব্যাটালিয়ন- ৫ এর সুবেদার মাহবুব আলম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা টহল জারি রেখেছি। এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক আছে। এখনো কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েনি।’
সকাল সাতটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এসেছেন রেখা বেগম। সঙ্গে এনেছেন বারো বছর বয়সী ছেলে সুলাইমানকে। সুলাইমানের এক পা ভালো হলেও অন্য পায়ে ইলিজারভ ফ্রেম (ভাঙা হাড় সোজা রাখা ও জোড়া লাগাতে ব্যবহৃত যন্ত্র) লাগানো। জুলাই অভ্যুত্থানে পা ভাঙ্গে তাঁর। স্ট্রিমকে রেখা বলেন, ‘যাঁর জন্য আমার পোলা পা হারাইছে, সে পলায়ে গেছে আইজ ১ বছর। পোলার পা ভাঙার দুঃখ আছে। কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনা দেশে নাই, সেইটার আনন্দও আছে। সেই আনন্দটাই করতে আসলাম।’
আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’। দিবসটি ঘিরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দিনভর নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদিন বিকেলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সকালে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ঘুরে দেখা গেছে, ‘জাতীয় সংসদ ভবনের ঠিক সামনে তৈরি করা হয়েছে ‘লাল স্টেজ’। পুরো এলাকাজুড়ে বসানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। আগত জনতার জন্য খাবার পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা করেছে সিটি করপোরেশন। সব কিছু মিলিয়ে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি একেবারে শেষ। এখন স্টেজে বসানো হচ্ছে ড্রামস সেট। চেক করা হচ্ছে সাউন্ড সিস্টেম। ভোর থেকে অনেকে বসে আছেন অনুষ্ঠান শুরুর অপেক্ষায়। অনেকে আসছেন। সঙ্গে নিয়ে আসছেন পরিবার, বন্ধু, শিক্ষার্থী।
বন্ধুর সঙ্গে সাভার থেকে এসেছেন শেখ যুবায়ের। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এক বছর আজ। গত বছরের এই দিনে রাস্তায় বের হয়েছিলাম। আনন্দে মেতে উঠেছিলাম। আজও ঘরে থাকতে পারি নাই। হয়তো আজীবন ৫ আগস্ট এভাবে বের হয়ে যাব।’
মিরপুর-১ থেকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ সুজন। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘বাচ্চারা খুবই এক্সাইটেড। ওরা এতদিন শুধু শুনেছে। টিভিতে দেখেছে। আজ ওরা স্বচক্ষে জুলাইয়ের আনন্দ দেখতে চায়।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সুজন বলেন, ‘এত শহীদ, আহতের পর এটা তো আমাদের কাম্য ছিল। আজ ফাইনালি ঘোষণা হবে। দেখা যাক, কী কী বিষয় উঠে আসে। আশা করি ভালো কিছুই হবে।’
নিউমার্কেটের দারুল উলুম রসিদিয়া মাদরাসা থেকে এসেছেন মাওলানা হাবিবুর রহমান। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা কথা বলতে পারতাম না। স্বাধীনভাবে চলতে পারতাম না। টুপি পরে চলতেও অনেক সময় ভয় লাগতো। এই জালেমের জুলুম থেকে মুক্তির এক বছর আজ। তাই আল্লাহ কাছে শুকরিয়া জানাতে এবং অনুষ্ঠান দেখতে আসলাম।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে অস্থায়ী ক্যাম্প বসিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য।
নিরাপত্তাজনিত কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। র্যাব-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) খান আসিফ তপু স্ট্রিমকে বলেন, ‘আজকে আমাদের তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। সাদা পোশাকে আমাদের গোয়েন্দা আছে, পেট্রোল মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের ইন্টারনাল কন্ট্রোল রুম থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা হচ্ছে।
অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো নিরাপত্তা হুমকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো হুমকি পাইনি। তবে সব সময়ের মতো আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
বিজিবির ব্যাটালিয়ন- ৫ এর সুবেদার মাহবুব আলম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা টহল জারি রেখেছি। এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক আছে। এখনো কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েনি।’
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চলমান সহিংসতার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ হয়েছে। মঙ্গলবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র শান্তিপূর্ণ সমাধান হলো তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংকট নিরসনে সাত দফা পদক্ষেপের প্রস্তাব করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব হোম অ্যাফেয়ার্স মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বার্তায় জানিয়েছে, ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত ভিসা ফলাফলের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর এভিডেন্স লেভেল হালনাগাদ করা হয়েছে। এটি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
৯ ঘণ্টা আগে