অবরোধ থেকে শাটডাউন
দাবি আদায় না হলে বিসিএস প্রকৌশলীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের দাবিগুলো পর্যালোচনার জন্য ১৪ সদস্যের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে সরকার। এ ছাড়া আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএসসি প্রকৌশলী শিক্ষার্থীরা এটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউন অব ইঞ্জিনিয়ার্স’ কার্যকর রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে।
বাংলাদেশের প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিনের পুরোনো দ্বন্দ্ব—ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বনাম বিএসসি গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার—আবার নতুন করে উত্তপ্ত রূপ নিয়েছে। প্রমোশন, পদমর্যাদা ও ‘প্রকৌশলী’ উপাধি ব্যবহারের প্রশ্নে দুই পক্ষের বিরোধ এখন দেশজুড়ে আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের দাবিগুলো পর্যালোচনার জন্য সরকার ১৪ সদস্যের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। এ গ্রুপের প্রধান হিসাবে আছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম।
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’-এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের দেওয়া বক্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়েছে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’। সেইসঙ্গে তাঁদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। নইলে সম্পূর
দেশের প্রকৌশল খাতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের পদোন্নতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালের পর থেকে পদোন্নতি ও গ্রেড-সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের বিএসসি স্নাতকরা (গ্র্যাজুয়েট) উদ্বিগ্ন।
পাঁচ মাস ধরে বুয়েটের (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। এখন কর্মসূচি রূপ নিয়েছে আন্দোলনের। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পদোন্নতি ও পদমর্যাদা নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আবারও আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবি, চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে দশম গ্রেডের উপ-সহকারী পদটি তাদের জন্য বহাল র
নতুন বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপের মতো হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ ও প্রমোশন নিয়ে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ থেকে জন্ম নিয়েছে প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। তাদের অভিযোগ, ডিপ্লোমাধারীরা কোটা ও প্রমোশনের মাধ্যমে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন, অথচ বিএসসি ডিগ্রিধারীরা অবহেলিত হচ্ছেন।
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন অধ্যাপক আইনুন নিশাত
আন্দোলন কোন পথে, যা বললেন আন্দোলনকারী মো: লাজিম আল মুত্তাকিন
এই আন্দোলন বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশায় বিদ্যমান গভীর সংকটকে প্রতিফলিত করছে। ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারীদের মধ্যে বিভাজন এখনো বড় বিতর্কের বিষয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বর্তমান ব্যবস্থায় প্রকৌশল পেশার যোগ্যতা ও মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
বাংলাদেশে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সঙ্গে চাকরিতে প্রবেশ ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে স্নাতক প্রকৌশলীদের এই দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো। গত দুই দিন ধরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দাবিতে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনের পর আবার নতুন করে সেই দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ে (বুয়েট) বেলা ১২টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে প্রতিদিনের মতো কর্মব্যস্ততা নেই, চারদিকে শুনশান নীরবতা। ছাত্র-শিক্ষকদের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি। তাঁরা কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেননি।
স্ট্রিমের মুখোমুখি বুয়েট শিক্ষার্থী লাজিম আল মুত্তাকিন
আজ দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। দেশের প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লাজিম আল মুত্তাকিনের সঙ্গে কথা বলেছে স্ট্রিম।