স্ট্রিম প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পদোন্নতি ও পদমর্যাদা নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আবারও আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবি, চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে দশম গ্রেডের উপ-সহকারী পদটি তাদের জন্য বহাল রাখা এবং পদোন্নতিতে ৩৩ শতাংশ কোটা বজায় রাখা। অন্যদিকে, বিএসসি প্রকৌশলীরা বলছেন, ‘প্রকৌশলী’উপাধি শুধু তারাই ব্যবহার করতে পারবেন, ডিপ্লোমাধারীরা নয়।
এসব নিয়ে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা বলেছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের যুগ্ম আহ্বায়ক (হেডকোয়ার্টার) প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ।
গোলাম মোহাম্মদ বলেন, ‘বিএসসি প্রকৌশলীরা মূলত ডেস্কে কাজ করার জন্য। তাঁরা ডিজাইন, প্ল্যানিং, গবেষণার কাজ প্রধানত করে থাকেন। আর ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা মাঠে বাস্তবায়নের কাজটি করে থাকেন। পৃথিবীর সব জায়গাতেই এই বিভাজন আছে। কিন্তু এখন বিএসসি প্রকৌশলীরা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাজও দখল করে নিতে চাচ্ছেন।’
গোলাম মোহাম্মদ আরও বলেন, এসএসসি পাসের পর চার বছরের কোর্স করে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা মাঠপর্যায়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষিত হন। অন্যদিকে, এইচএসসি শেষে চার বছরের তাত্ত্বিক পড়াশোনার মাধ্যমে বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলী তৈরি হয়। সরকারি চাকরিতে ডিপ্লোমারা দশম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির পদে যোগ দেন, আর বিএসসি প্রকৌশলীরা নবম গ্রেডে প্রথম শ্রেণির পদে। এখন তাঁরা (বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার) বলছেন, ডিপ্লোমাদের ৩৩ শতাংশ কোটা বাদ দিতে হবে। এতে হাজার হাজার ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রধান দাবি, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের দশম গ্রেডে যেনো বহাল থাকে এবং নির্ধারিত সময়ের পরে ৩৩ শতাংশ কোটায় পদোন্নতি পান। কিন্তু বিএসসি প্রকৌশলীদের একটি বড় অংশ বলছেন, ডিপ্লোমাধারীরা ‘ইঞ্জিনিয়ার’ বা ‘প্রকৌশলী’ উপাধি ব্যবহার করতে পারেন না, কারণ তাদের পড়াশোনার কোর্সগুলো আন্তর্জাতিক মানে অ্যাক্রেডিটেড নয়।
এই প্রসঙ্গে প্রবীণ প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ বলেন, ‘১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এন্ট্রি পদে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেন। পরে ১৯৯৪ সালে খালেদা জিয়ার সময় চার বছরের কোর্স চালু হয় এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে তাঁদের মর্যাদা নির্ধারণ করা হয়। এখন হঠাৎ করে যদি তাদের পদোন্নতি বা পদমর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়, তবে তারা কোথায় যাবেন?’
গোলাম মোহাম্মদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএসসি প্রকৌশলীরা গবেষণায় বা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রমাণ করতে পারছেন না। বড় বড় প্রকল্পে এখনো বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনতে হয়। অথচ দেশের হাজার হাজার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মাঠে ঘাম ঝরিয়ে মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার বা এক্সপ্রেসওয়ের মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এরাই আসল “হাতে-কলমে ইঞ্জিনিয়ার”। শুধু চেয়ারে বসে থাকা মানেই ইঞ্জিনিয়ার নয়।’
সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা পেশাগত দ্বন্দ্বকে ‘বুর্জোয়া মানসিকতার লড়াই’ হিসেবে আখ্যা দেন এই যুগ্ম আহ্বায়ক। তাঁর ভাষায়, ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মানে মাঠে বাস্তবায়নকারী। ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার মানে গবেষক। এই বিভাজন মেনে না নিয়ে যদি ডিগ্রিধারীরা ডিপ্লোমাদের কাজও নিয়ে নিতে চায়, তাহলে রাষ্ট্রের টেকনিক্যাল উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।’
প্রবীণ এই প্রকৌশলী স্পষ্ট করে বলেন, ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ৩৩ শতাংশ কোটা যদি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বেকারত্ব আরও বাড়বে। হাজার হাজার তরুণের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হবে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পদোন্নতি ও পদমর্যাদা নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আবারও আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবি, চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে দশম গ্রেডের উপ-সহকারী পদটি তাদের জন্য বহাল রাখা এবং পদোন্নতিতে ৩৩ শতাংশ কোটা বজায় রাখা। অন্যদিকে, বিএসসি প্রকৌশলীরা বলছেন, ‘প্রকৌশলী’উপাধি শুধু তারাই ব্যবহার করতে পারবেন, ডিপ্লোমাধারীরা নয়।
এসব নিয়ে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা বলেছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের যুগ্ম আহ্বায়ক (হেডকোয়ার্টার) প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ।
গোলাম মোহাম্মদ বলেন, ‘বিএসসি প্রকৌশলীরা মূলত ডেস্কে কাজ করার জন্য। তাঁরা ডিজাইন, প্ল্যানিং, গবেষণার কাজ প্রধানত করে থাকেন। আর ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা মাঠে বাস্তবায়নের কাজটি করে থাকেন। পৃথিবীর সব জায়গাতেই এই বিভাজন আছে। কিন্তু এখন বিএসসি প্রকৌশলীরা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাজও দখল করে নিতে চাচ্ছেন।’
গোলাম মোহাম্মদ আরও বলেন, এসএসসি পাসের পর চার বছরের কোর্স করে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা মাঠপর্যায়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষিত হন। অন্যদিকে, এইচএসসি শেষে চার বছরের তাত্ত্বিক পড়াশোনার মাধ্যমে বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলী তৈরি হয়। সরকারি চাকরিতে ডিপ্লোমারা দশম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির পদে যোগ দেন, আর বিএসসি প্রকৌশলীরা নবম গ্রেডে প্রথম শ্রেণির পদে। এখন তাঁরা (বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার) বলছেন, ডিপ্লোমাদের ৩৩ শতাংশ কোটা বাদ দিতে হবে। এতে হাজার হাজার ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রধান দাবি, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের দশম গ্রেডে যেনো বহাল থাকে এবং নির্ধারিত সময়ের পরে ৩৩ শতাংশ কোটায় পদোন্নতি পান। কিন্তু বিএসসি প্রকৌশলীদের একটি বড় অংশ বলছেন, ডিপ্লোমাধারীরা ‘ইঞ্জিনিয়ার’ বা ‘প্রকৌশলী’ উপাধি ব্যবহার করতে পারেন না, কারণ তাদের পড়াশোনার কোর্সগুলো আন্তর্জাতিক মানে অ্যাক্রেডিটেড নয়।
এই প্রসঙ্গে প্রবীণ প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ বলেন, ‘১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এন্ট্রি পদে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেন। পরে ১৯৯৪ সালে খালেদা জিয়ার সময় চার বছরের কোর্স চালু হয় এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে তাঁদের মর্যাদা নির্ধারণ করা হয়। এখন হঠাৎ করে যদি তাদের পদোন্নতি বা পদমর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়, তবে তারা কোথায় যাবেন?’
গোলাম মোহাম্মদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএসসি প্রকৌশলীরা গবেষণায় বা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রমাণ করতে পারছেন না। বড় বড় প্রকল্পে এখনো বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনতে হয়। অথচ দেশের হাজার হাজার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মাঠে ঘাম ঝরিয়ে মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার বা এক্সপ্রেসওয়ের মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এরাই আসল “হাতে-কলমে ইঞ্জিনিয়ার”। শুধু চেয়ারে বসে থাকা মানেই ইঞ্জিনিয়ার নয়।’
সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা পেশাগত দ্বন্দ্বকে ‘বুর্জোয়া মানসিকতার লড়াই’ হিসেবে আখ্যা দেন এই যুগ্ম আহ্বায়ক। তাঁর ভাষায়, ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মানে মাঠে বাস্তবায়নকারী। ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার মানে গবেষক। এই বিভাজন মেনে না নিয়ে যদি ডিগ্রিধারীরা ডিপ্লোমাদের কাজও নিয়ে নিতে চায়, তাহলে রাষ্ট্রের টেকনিক্যাল উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।’
প্রবীণ এই প্রকৌশলী স্পষ্ট করে বলেন, ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ৩৩ শতাংশ কোটা যদি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বেকারত্ব আরও বাড়বে। হাজার হাজার তরুণের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হবে।’
দাবি আদায় না হলে বিসিএস প্রকৌশলীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের দাবিগুলো পর্যালোচনার জন্য ১৪ সদস্যের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে সরকার। এ ছাড়া আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএসসি প্রকৌশলী শিক্ষার্থীরা এটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
১ ঘণ্টা আগেদেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউন অব ইঞ্জিনিয়ার্স’ কার্যকর রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে।
৩ ঘণ্টা আগেসাত মাস ব্যথার চিকিৎসা করতে গিয়ে ৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এই ঘটনায় ফেনীর সিভিল সার্জন ও ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিনের পুরোনো দ্বন্দ্ব—ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বনাম বিএসসি গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার—আবার নতুন করে উত্তপ্ত রূপ নিয়েছে। প্রমোশন, পদমর্যাদা ও ‘প্রকৌশলী’ উপাধি ব্যবহারের প্রশ্নে দুই পক্ষের বিরোধ এখন দেশজুড়ে আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে