স্ট্রিম ডেস্ক
দেশের প্রকৌশল খাতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের পদোন্নতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালের পর থেকে পদোন্নতি ও গ্রেড-সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের বিএসসি স্নাতকরা (গ্র্যাজুয়েট) উদ্বিগ্ন। এসব নিয়ে বিএসসি গ্র্যাজুয়েট ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের মধ্যে রয়েছে রয়েছে ভিন্নমত। এসব নিয়ে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইফতেখারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রমোশন সমস্যা নতুন নয়। বরং সমস্যাটি দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি হয়েছে। আমাদের খাতে মূলধারার বিএসসি গ্র্যাজুয়েটরা যখন চাকরিতে প্রবেশ করছেন, তারা দেখছেন ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা দ্রুত নবম গ্রেডে প্রমোশন পেয়ে বসে আছেন। এতে মূলধারার গ্র্যাজুয়েটরা যথাযথভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারছেন না।’
ইফতেখারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রমোশন প্রথার সূচনা হয়েছিল ২০১৩ সালের আগে, যখন তারা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করলেও শুধু ইনক্রিমেন্ট পেতেন এবং প্রমোশন (পদোন্নতি) সীমিত ছিল। তাদের দশম গ্রেড পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ ছিল না। সাধারণত তারা ১৩–১৪তম গ্রেডে কাজ করতেন। কিন্তু ২০১৩ সালের পর প্রমোশন নীতি পাল্টে যায় এবং তারা নবম গ্রেডে পৌঁছাতে শুরু করেন, যা মূলধারার বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য কখনও সম্ভব হয়নি।’
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি হলো তাঁরা প্র্যাকটিক্যাল কাজের ক্ষেত্রে বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদের চেয়ে বেশি দক্ষ। তবে ইফতেখারুল ইসলাম ব্যাখ্যা করেন, ‘বিএসসি ডিগ্রিধারীরাও ল্যাব ফ্যাসিলিটি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট ও ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে সমান বা অধিক দক্ষতা অর্জন করেন। বাংলাদেশের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটগুলোর ল্যাব ফ্যাসিলিটি বুয়েট, চুয়েট বা কুয়েটের তুলনায় বেশি নয়। ফলে ডিপ্লোমারা প্র্যাকটিক্যাল দিক থেকে বেশি সক্ষম—এটি প্রমাণযোগ্য নয়।’
ইফতেখারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ডিপ্লোমারা প্রাথমিকভাবে দশম গ্রেডে প্রবেশ করতে চান। কারণ, নবম গ্রেডে থেকে দশম গ্রেডে যাওয়া এখন সহজ। তারা মনে করেন, গ্র্যাজুয়েটরা যদি নবম গ্রেডের সুবিধা পান, তাদের জন্য প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতিতে বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদেরও সুযোগ রয়েছে।’
‘এই সমস্যা শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের জন্য প্রযোজ্য। অন্যান্য সেক্টর যেমন প্রতিরক্ষা বাহিনী বা ব্যাংকিং সেক্টরে এমন ধরনের প্রমোশন বিতর্ক দেখা যায়নি। উদাহরণস্বরূপ, সেনাবাহিনীতে সোলজার ও কমিশন অফিসারের প্রমোশন আলাদা পথে চলে; কোন দ্বন্দ্ব তৈরি হয় না। ‘একজন সোলজার তার ইনক্রিমেন্ট পায়, অফিসার আলাদা গ্রেডে যায়। এ কারণে দ্বন্দ্ব হয় না। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ডিপ্লোমারা মূলধারার গ্র্যাজুয়েটদের উপরে বসছে, যা সমস্যা সৃষ্টি করছে,’ তিনি বলেন।
ইফতেখারুল ইসলাম জানান, আন্দোলনের মূল বিষয়বস্তু বোঝার জন্য ২০১৩ সালের ঘটনাগুলো দেখা দরকার। সেই সময় ছাত্ররা পুরোপুরি বিষয়টি বুঝতে পারেননি। আন্দোলন ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিপ্লোমারা অতিরিক্ত সুবিধা পেয়েছিল। বর্তমানে নতুন ইঞ্জিনিয়াররা যখন চাকরিতে প্রবেশ করছেন, তারা দেখতে পাচ্ছে মূলধারার গ্র্যাজুয়েটরা এই প্রক্রিয়ায় পিছিয়ে পড়েছে।
এ ছাড়াও ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, কিছু স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ প্রমোশন বাস্তবায়িত হলেও কিছু প্রতিষ্ঠানে শতভাগ প্রমোশন হয়ে গেছে। ফলে চাকরিতে নবীন বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদের অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।
ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘যদি নবম গ্রেডের প্রমোশন শুধু নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়, তবে বাস্তবতা অনুযায়ী বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদেরও সঠিক সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত হবে। ডিপ্লোমারা অতিরিক্ত সুবিধা নেবে না এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের প্রমোশন নীতি স্বচ্ছ হবে।’
বর্তমানে আন্দোলনরত ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সক্রিয় এবং তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কাজ করছেন। ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং ছাত্রদের বক্তব্য অনুযায়ী আন্দোলনের যুক্তি এবং প্রেক্ষাপট স্পষ্ট।’
দেশের প্রকৌশল খাতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের পদোন্নতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালের পর থেকে পদোন্নতি ও গ্রেড-সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের বিএসসি স্নাতকরা (গ্র্যাজুয়েট) উদ্বিগ্ন। এসব নিয়ে বিএসসি গ্র্যাজুয়েট ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের মধ্যে রয়েছে রয়েছে ভিন্নমত। এসব নিয়ে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইফতেখারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রমোশন সমস্যা নতুন নয়। বরং সমস্যাটি দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি হয়েছে। আমাদের খাতে মূলধারার বিএসসি গ্র্যাজুয়েটরা যখন চাকরিতে প্রবেশ করছেন, তারা দেখছেন ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা দ্রুত নবম গ্রেডে প্রমোশন পেয়ে বসে আছেন। এতে মূলধারার গ্র্যাজুয়েটরা যথাযথভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারছেন না।’
ইফতেখারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রমোশন প্রথার সূচনা হয়েছিল ২০১৩ সালের আগে, যখন তারা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করলেও শুধু ইনক্রিমেন্ট পেতেন এবং প্রমোশন (পদোন্নতি) সীমিত ছিল। তাদের দশম গ্রেড পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ ছিল না। সাধারণত তারা ১৩–১৪তম গ্রেডে কাজ করতেন। কিন্তু ২০১৩ সালের পর প্রমোশন নীতি পাল্টে যায় এবং তারা নবম গ্রেডে পৌঁছাতে শুরু করেন, যা মূলধারার বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য কখনও সম্ভব হয়নি।’
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি হলো তাঁরা প্র্যাকটিক্যাল কাজের ক্ষেত্রে বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদের চেয়ে বেশি দক্ষ। তবে ইফতেখারুল ইসলাম ব্যাখ্যা করেন, ‘বিএসসি ডিগ্রিধারীরাও ল্যাব ফ্যাসিলিটি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট ও ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে সমান বা অধিক দক্ষতা অর্জন করেন। বাংলাদেশের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটগুলোর ল্যাব ফ্যাসিলিটি বুয়েট, চুয়েট বা কুয়েটের তুলনায় বেশি নয়। ফলে ডিপ্লোমারা প্র্যাকটিক্যাল দিক থেকে বেশি সক্ষম—এটি প্রমাণযোগ্য নয়।’
ইফতেখারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ডিপ্লোমারা প্রাথমিকভাবে দশম গ্রেডে প্রবেশ করতে চান। কারণ, নবম গ্রেডে থেকে দশম গ্রেডে যাওয়া এখন সহজ। তারা মনে করেন, গ্র্যাজুয়েটরা যদি নবম গ্রেডের সুবিধা পান, তাদের জন্য প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতিতে বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদেরও সুযোগ রয়েছে।’
‘এই সমস্যা শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের জন্য প্রযোজ্য। অন্যান্য সেক্টর যেমন প্রতিরক্ষা বাহিনী বা ব্যাংকিং সেক্টরে এমন ধরনের প্রমোশন বিতর্ক দেখা যায়নি। উদাহরণস্বরূপ, সেনাবাহিনীতে সোলজার ও কমিশন অফিসারের প্রমোশন আলাদা পথে চলে; কোন দ্বন্দ্ব তৈরি হয় না। ‘একজন সোলজার তার ইনক্রিমেন্ট পায়, অফিসার আলাদা গ্রেডে যায়। এ কারণে দ্বন্দ্ব হয় না। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ডিপ্লোমারা মূলধারার গ্র্যাজুয়েটদের উপরে বসছে, যা সমস্যা সৃষ্টি করছে,’ তিনি বলেন।
ইফতেখারুল ইসলাম জানান, আন্দোলনের মূল বিষয়বস্তু বোঝার জন্য ২০১৩ সালের ঘটনাগুলো দেখা দরকার। সেই সময় ছাত্ররা পুরোপুরি বিষয়টি বুঝতে পারেননি। আন্দোলন ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিপ্লোমারা অতিরিক্ত সুবিধা পেয়েছিল। বর্তমানে নতুন ইঞ্জিনিয়াররা যখন চাকরিতে প্রবেশ করছেন, তারা দেখতে পাচ্ছে মূলধারার গ্র্যাজুয়েটরা এই প্রক্রিয়ায় পিছিয়ে পড়েছে।
এ ছাড়াও ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, কিছু স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ প্রমোশন বাস্তবায়িত হলেও কিছু প্রতিষ্ঠানে শতভাগ প্রমোশন হয়ে গেছে। ফলে চাকরিতে নবীন বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদের অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।
ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘যদি নবম গ্রেডের প্রমোশন শুধু নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়, তবে বাস্তবতা অনুযায়ী বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদেরও সঠিক সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত হবে। ডিপ্লোমারা অতিরিক্ত সুবিধা নেবে না এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের প্রমোশন নীতি স্বচ্ছ হবে।’
বর্তমানে আন্দোলনরত ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সক্রিয় এবং তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কাজ করছেন। ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং ছাত্রদের বক্তব্য অনুযায়ী আন্দোলনের যুক্তি এবং প্রেক্ষাপট স্পষ্ট।’
দাবি আদায় না হলে বিসিএস প্রকৌশলীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের দাবিগুলো পর্যালোচনার জন্য ১৪ সদস্যের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে সরকার। এ ছাড়া আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএসসি প্রকৌশলী শিক্ষার্থীরা এটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
২ ঘণ্টা আগেদেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউন অব ইঞ্জিনিয়ার্স’ কার্যকর রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে।
৪ ঘণ্টা আগেসাত মাস ব্যথার চিকিৎসা করতে গিয়ে ৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এই ঘটনায় ফেনীর সিভিল সার্জন ও ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিনের পুরোনো দ্বন্দ্ব—ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বনাম বিএসসি গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার—আবার নতুন করে উত্তপ্ত রূপ নিয়েছে। প্রমোশন, পদমর্যাদা ও ‘প্রকৌশলী’ উপাধি ব্যবহারের প্রশ্নে দুই পক্ষের বিরোধ এখন দেশজুড়ে আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে