স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকায় আন্দোলনরত বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে গতকাল বুধবার ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাঁরা দুপুর দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা করেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার এবং লাঠিপেটাও করে। এতে অন্তত ৩৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
সেখানে বুয়েট ছাড়াও ছিল ঢাকার আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়, এমআইএসটি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকার বাইরে থেকে এসেছিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বুধবার বিকেল ও রাতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (চুয়েট) দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরাও বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার বুয়েটসহ দেশের সকল প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। বুধবার রাতেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কমিটি প্রত্যাখ্যান, নতুন ৫ দফা দাবি
প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে সরকার বুধবার একটি কমিটিও গঠন করেছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে নতুন করে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন তাঁরা।
আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা আরও জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টা রাজধানী ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষার্থীদের নতুন ৫ দাবি হলো:
১. শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
২. প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এর আগে গঠিত কমিটিকে আমরা আমাদের প্রতিনিধিত্বের অনুপযুক্ত মনে করি এবং প্রত্যাখ্যান করি। অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি সংস্কার করে পেশকৃত তিন দফা দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং এ মর্মে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে আজই এসে এর নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩. হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং এই আন্দোলন চলাকালে সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনও হামলা করা যাবে না।
৪. প্রকৌশলী রোকনের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলার জন্য ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।
আগের তিন দফা দাবি ছিল:
এক. ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেডে (সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে) প্রবেশের জন্য সবার ক্ষেত্রে নিয়োগ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে কিংবা অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করে কোনো পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
দুই. টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেডের (উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে) নিয়োগ পরীক্ষা বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
তিন. বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া নন-অ্যাক্রিডেটেড বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় আইইবি-বিএইটিই-এর আওতায় আনতে হবে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে
এদিকে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দেখাদেখি শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরাও তাদের সরকারি চাকরিতে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের কোটা সুবিধা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন।
কৃষিবিদদের পেশাগত স্বীকৃতি ও অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে আগারগাঁও এলাকায় ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে ‘কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করলে তীব্র যানজট শুরু হয়।
তাঁরাও তিন দফা দাবি করে। তাঁদের দাবিগুলো হলো—কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেড (উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপ-সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) শুধুমাত্র কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত রাখা; বিএডিসির কোটা বাতিল করে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ না দেওয়া; এবং কৃষি বা কৃষি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি না থাকলে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি
এই আন্দোলন বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশায় বিদ্যমান গভীর সংকটকে প্রতিফলিত করছে। ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারীদের মধ্যে বিভাজন এখনো বড় বিতর্কের বিষয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বর্তমান ব্যবস্থায় প্রকৌশল পেশার যোগ্যতা ও মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়া শিক্ষার্থীরা অন্যায্য প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে। তাই পেশাগত স্বীকৃতি ও ন্যায্যতা নিশ্চিতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে নেমে এসেছেন।
এই আন্দোলনকে ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিণতি হিসেবেও দেখা যায়, যে আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটেছিল। তবে এখন পর্যন্ত এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
এই প্রসঙ্গে ঢাকা স্ট্রিমের কথা হয়েছিল আন্দোলনের দুই কর্মী বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাবেক (১৮তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এমাজ উদ্দিন এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক (১৮তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আফিয়া সিদ্দিকা রাইসার সঙ্গে।
তাঁরা বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি সম্পূর্ণতই দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। দেশের প্রায় সব প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই আমাদের দাবিগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।’
তবে এই আন্দোলনের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতা— হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারিজস আলম বুধবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত বুধবার বিকেলে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘আমি আজ বুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
আর এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘পুলিশকে দিয়ে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদেরকে রক্তাক্ত করার সাহস এই প্রশাসন কোথায় পায় সেই জবাব তাদেরকে দিতে হবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘যে কোনো যৌক্তিক দাবিতে এবং সকল প্রকার কোটার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সব সময় জারি থাকবে। বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতিটি যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি এবং তাদের ওপরে হামলায় যারা জড়িত তাদের ধিক্কার জানাই।’
আন্দোলনের শুরু যেভাবে
এই আন্দোলনের সুচনা কীভাবে হলো সে সম্পর্কে মোহাম্মদ এমাজ উদ্দিন ও আফিয়া সিদ্দিকা রাইসা বলেন, ‘আমরা গত প্রায় ছয় মাস ধরে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্মারকলিপি দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু গত ২৫ আগস্ট নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসির (নেসকো) প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকনকে নেসকো কার্যালয়ে ডেকে হত্যার হুমকি ও গালাগালের পর আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করি।’
এমাজ ও রাইসা জানান, সেদিন রোকন ভাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রকৌশলীদের অধিকার রক্ষায় একটি স্মারকলিপি (মেমোরেন্ডাম) নিয়ে নেসকো অফিসে যান। স্মারকলিপি প্রদানের পর অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে গেলে রোকন ভাইকে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম হোসেনের (যিনি ডিপ্লোমা ব্যাকগ্রাউন্ডের) কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে ২০-২৫ জন ডিপ্লোমা ব্যাকগ্রাউন্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁকে ঘিরে ধরে। তারা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং ‘গলা কেটে হত্যা’ করার হুমকি দেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদেই ২৫ আগস্ট দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং পরদিন দুপুরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এরপর ২৭ মার্চ (বুধবার) লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। আর আজ বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলছে।
এমাজ ও রাইসা বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
ঢাকায় আন্দোলনরত বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে গতকাল বুধবার ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাঁরা দুপুর দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা করেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার এবং লাঠিপেটাও করে। এতে অন্তত ৩৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
সেখানে বুয়েট ছাড়াও ছিল ঢাকার আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়, এমআইএসটি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকার বাইরে থেকে এসেছিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বুধবার বিকেল ও রাতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (চুয়েট) দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরাও বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার বুয়েটসহ দেশের সকল প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। বুধবার রাতেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কমিটি প্রত্যাখ্যান, নতুন ৫ দফা দাবি
প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে সরকার বুধবার একটি কমিটিও গঠন করেছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে নতুন করে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন তাঁরা।
আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা আরও জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টা রাজধানী ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষার্থীদের নতুন ৫ দাবি হলো:
১. শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
২. প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এর আগে গঠিত কমিটিকে আমরা আমাদের প্রতিনিধিত্বের অনুপযুক্ত মনে করি এবং প্রত্যাখ্যান করি। অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি সংস্কার করে পেশকৃত তিন দফা দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং এ মর্মে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে আজই এসে এর নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩. হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং এই আন্দোলন চলাকালে সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনও হামলা করা যাবে না।
৪. প্রকৌশলী রোকনের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলার জন্য ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।
আগের তিন দফা দাবি ছিল:
এক. ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেডে (সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে) প্রবেশের জন্য সবার ক্ষেত্রে নিয়োগ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে কিংবা অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করে কোনো পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
দুই. টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেডের (উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে) নিয়োগ পরীক্ষা বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
তিন. বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া নন-অ্যাক্রিডেটেড বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় আইইবি-বিএইটিই-এর আওতায় আনতে হবে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে
এদিকে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দেখাদেখি শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরাও তাদের সরকারি চাকরিতে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের কোটা সুবিধা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন।
কৃষিবিদদের পেশাগত স্বীকৃতি ও অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে আগারগাঁও এলাকায় ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে ‘কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করলে তীব্র যানজট শুরু হয়।
তাঁরাও তিন দফা দাবি করে। তাঁদের দাবিগুলো হলো—কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেড (উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপ-সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) শুধুমাত্র কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত রাখা; বিএডিসির কোটা বাতিল করে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ না দেওয়া; এবং কৃষি বা কৃষি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি না থাকলে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি
এই আন্দোলন বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশায় বিদ্যমান গভীর সংকটকে প্রতিফলিত করছে। ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারীদের মধ্যে বিভাজন এখনো বড় বিতর্কের বিষয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বর্তমান ব্যবস্থায় প্রকৌশল পেশার যোগ্যতা ও মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়া শিক্ষার্থীরা অন্যায্য প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে। তাই পেশাগত স্বীকৃতি ও ন্যায্যতা নিশ্চিতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে নেমে এসেছেন।
এই আন্দোলনকে ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিণতি হিসেবেও দেখা যায়, যে আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটেছিল। তবে এখন পর্যন্ত এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
এই প্রসঙ্গে ঢাকা স্ট্রিমের কথা হয়েছিল আন্দোলনের দুই কর্মী বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাবেক (১৮তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এমাজ উদ্দিন এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক (১৮তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আফিয়া সিদ্দিকা রাইসার সঙ্গে।
তাঁরা বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি সম্পূর্ণতই দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। দেশের প্রায় সব প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই আমাদের দাবিগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।’
তবে এই আন্দোলনের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতা— হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারিজস আলম বুধবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত বুধবার বিকেলে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘আমি আজ বুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
আর এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘পুলিশকে দিয়ে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদেরকে রক্তাক্ত করার সাহস এই প্রশাসন কোথায় পায় সেই জবাব তাদেরকে দিতে হবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘যে কোনো যৌক্তিক দাবিতে এবং সকল প্রকার কোটার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সব সময় জারি থাকবে। বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতিটি যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি এবং তাদের ওপরে হামলায় যারা জড়িত তাদের ধিক্কার জানাই।’
আন্দোলনের শুরু যেভাবে
এই আন্দোলনের সুচনা কীভাবে হলো সে সম্পর্কে মোহাম্মদ এমাজ উদ্দিন ও আফিয়া সিদ্দিকা রাইসা বলেন, ‘আমরা গত প্রায় ছয় মাস ধরে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্মারকলিপি দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু গত ২৫ আগস্ট নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসির (নেসকো) প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকনকে নেসকো কার্যালয়ে ডেকে হত্যার হুমকি ও গালাগালের পর আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করি।’
এমাজ ও রাইসা জানান, সেদিন রোকন ভাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রকৌশলীদের অধিকার রক্ষায় একটি স্মারকলিপি (মেমোরেন্ডাম) নিয়ে নেসকো অফিসে যান। স্মারকলিপি প্রদানের পর অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে গেলে রোকন ভাইকে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম হোসেনের (যিনি ডিপ্লোমা ব্যাকগ্রাউন্ডের) কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে ২০-২৫ জন ডিপ্লোমা ব্যাকগ্রাউন্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁকে ঘিরে ধরে। তারা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং ‘গলা কেটে হত্যা’ করার হুমকি দেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদেই ২৫ আগস্ট দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং পরদিন দুপুরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এরপর ২৭ মার্চ (বুধবার) লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। আর আজ বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলছে।
এমাজ ও রাইসা বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
ঢাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আবারও রাজশাহীতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রকৌশল ও কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এ সকল নির্বাচনসমূহে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দায়িত্বে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ নেই।
২ ঘণ্টা আগেগতকাল বুধবার দুপুরে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তবে ঘোষিত তারিখে দুর্গাপূজার ষষ্ঠীর দিন হওয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের অনেকে ক্যাম্পাসে থাকতে পারবেন না। ধর্মীয় উৎসবের দিনে ভোটের তারিখ পড়ায় সমালোচনা তৈরি হয়।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সঙ্গে চাকরিতে প্রবেশ ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে স্নাতক প্রকৌশলীদের এই দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো। গত দুই দিন ধরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দাবিতে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনের পর আবার নতুন করে সেই দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে