কামরুল হাসান

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই সনদ বাস্তায়ন সংক্রান্ত গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে—এখন পর্যন্ত এটিই সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। একসঙ্গে দুটি ব্যালট পেপারে ভোট নিতে প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত সময়। এজন্য আট ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ভোটগ্রহণের সময় ১০ ঘণ্টা করার একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার একজন উপসচিব ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাব তৈরির কাজ করছেন।
ইসি সূত্র বলছে, গণভোট ও জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোটপদ্ধতি প্রায় একই রকম। একসঙ্গে দুটি আলাদা ভোট দিতে স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হবে। ভোটারপ্রতি ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড অতিরিক্ত সময় লাগবে ধরে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময় দুই ঘণ্টা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
দুটি জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা উপজেলা পর্যায়ের একজন নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, জাতীয় নির্বাচনে একজন ভোটারের সাধারণত পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভোট দিতে ৫০ থেকে ৬০ সেকেন্ড সময় লাগে। এর মধ্যে ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে ভাঁজ করে সেটি বাক্সে রাখতে একজন ভোটারের সময় লাগে সাধারণত ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড।
চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে পরবর্তী সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। উচ্চকক্ষ গঠিত হবে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে (পিআর পদ্ধতি) ১০০ সদস্য নিয়ে।
দেশে প্রায় ৩৪ বছর পর গণভোট হতে যাচ্ছে এবং একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘটনা দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম। তাছাড়া এবারই প্রথম পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা। প্রায় পৌনে ১৩ কোটি ভোটারকে কেন্দ্র করে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সামলাতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বড় ধরনের সাংগঠনিক, লজিস্টিক ও প্রশিক্ষণভিত্তিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
আনুষঙ্গিক সামগ্রী জোগাড়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, তৃণমূলে সচেতনতা প্রচার, ভোট গণনা ও ফলাফল দ্রুত ঘোষণার সক্ষমতা—সবকিছুই ইসির জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এদিকে, গণভোট আইন এখনো পাস না হওয়ায় ইসির চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরুতেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণভোটের প্রকৃতি ও কাঠামো জানা না থাকায় প্রস্তুতির পরিধি নির্ধারণও কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিশ্চিত ধরে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ইসি।
গত ১৭ নভেম্বর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, একই দিনে দুই ভোট হলে ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো হবে কি না—তা কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, গণভোট আইন না হওয়ায় এখনো চূড়ান্ত প্রস্তুতি বা সরঞ্জামাদি কত পরিমাণ লাগবে—সেটির সিদ্ধান্ত হয়নি। গণভোটের ধরন দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেছেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হলেও কার্যকর প্রস্তুতি, লোকবল বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারলে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা সম্ভব। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বাড়ানোর পাশাপাশি গণভোট ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। একজন ভোটার যেহেতু একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের জন্য ভোট দেবেন, সেক্ষেত্রে তাদের জন্য অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র না বাড়ালেও চলবে। তবে ব্যালট গণনায় দুই সেট লোকবল লাগবে—একটি সংসদ নির্বাচনের ব্যালট গণনা করবে, অন্যটি গণভোটের হ্যাঁ–না ব্যালট গণনা করবে।’
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, গণভোটের কারণে ভোটগ্রহণের সময় ৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১০ ঘণ্টা করার প্রস্তাব রয়েছে। বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের কথা ভাবছে ইসি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট একই দিনে হওয়াই ভালো। সব ইস্যুকে একটি প্ল্যাটফর্মে রেখে “হ্যাঁ” বা “না” ভোট দেওয়ার বিধান থাকলে ভোটারদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।’ এতে সময়ও বাঁচবে বলে মনে করেন তিনি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই সনদ বাস্তায়ন সংক্রান্ত গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে—এখন পর্যন্ত এটিই সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। একসঙ্গে দুটি ব্যালট পেপারে ভোট নিতে প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত সময়। এজন্য আট ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ভোটগ্রহণের সময় ১০ ঘণ্টা করার একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার একজন উপসচিব ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাব তৈরির কাজ করছেন।
ইসি সূত্র বলছে, গণভোট ও জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোটপদ্ধতি প্রায় একই রকম। একসঙ্গে দুটি আলাদা ভোট দিতে স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হবে। ভোটারপ্রতি ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড অতিরিক্ত সময় লাগবে ধরে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময় দুই ঘণ্টা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
দুটি জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা উপজেলা পর্যায়ের একজন নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, জাতীয় নির্বাচনে একজন ভোটারের সাধারণত পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভোট দিতে ৫০ থেকে ৬০ সেকেন্ড সময় লাগে। এর মধ্যে ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে ভাঁজ করে সেটি বাক্সে রাখতে একজন ভোটারের সময় লাগে সাধারণত ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড।
চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে পরবর্তী সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। উচ্চকক্ষ গঠিত হবে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে (পিআর পদ্ধতি) ১০০ সদস্য নিয়ে।
দেশে প্রায় ৩৪ বছর পর গণভোট হতে যাচ্ছে এবং একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘটনা দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম। তাছাড়া এবারই প্রথম পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা। প্রায় পৌনে ১৩ কোটি ভোটারকে কেন্দ্র করে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সামলাতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বড় ধরনের সাংগঠনিক, লজিস্টিক ও প্রশিক্ষণভিত্তিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
আনুষঙ্গিক সামগ্রী জোগাড়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, তৃণমূলে সচেতনতা প্রচার, ভোট গণনা ও ফলাফল দ্রুত ঘোষণার সক্ষমতা—সবকিছুই ইসির জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এদিকে, গণভোট আইন এখনো পাস না হওয়ায় ইসির চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরুতেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণভোটের প্রকৃতি ও কাঠামো জানা না থাকায় প্রস্তুতির পরিধি নির্ধারণও কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিশ্চিত ধরে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ইসি।
গত ১৭ নভেম্বর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, একই দিনে দুই ভোট হলে ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো হবে কি না—তা কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, গণভোট আইন না হওয়ায় এখনো চূড়ান্ত প্রস্তুতি বা সরঞ্জামাদি কত পরিমাণ লাগবে—সেটির সিদ্ধান্ত হয়নি। গণভোটের ধরন দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেছেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হলেও কার্যকর প্রস্তুতি, লোকবল বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারলে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা সম্ভব। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বাড়ানোর পাশাপাশি গণভোট ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। একজন ভোটার যেহেতু একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের জন্য ভোট দেবেন, সেক্ষেত্রে তাদের জন্য অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র না বাড়ালেও চলবে। তবে ব্যালট গণনায় দুই সেট লোকবল লাগবে—একটি সংসদ নির্বাচনের ব্যালট গণনা করবে, অন্যটি গণভোটের হ্যাঁ–না ব্যালট গণনা করবে।’
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, গণভোটের কারণে ভোটগ্রহণের সময় ৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১০ ঘণ্টা করার প্রস্তাব রয়েছে। বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের কথা ভাবছে ইসি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট একই দিনে হওয়াই ভালো। সব ইস্যুকে একটি প্ল্যাটফর্মে রেখে “হ্যাঁ” বা “না” ভোট দেওয়ার বিধান থাকলে ভোটারদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।’ এতে সময়ও বাঁচবে বলে মনে করেন তিনি।

ভারত শুধু শেখ হাসিনাকে আশ্রয়ই দেয়নি, বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ভারতের ছাত্র-জনতাকে বলতে চাই, আপনারা দাবি ওঠান যেন গণহত্যাকারী হাসিনাকে আশ্রয় না দেয়। জুলাই-আগস্টে যেভাবে ভারতের ছাত্র-জনতা আমাদের সমর্থন দিয়েছিলেন একইভাবে এই বিচারের আন্দোলনকেও সমর্থন জানান।
৪ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের দিন গণভোট হলে ‘নির্বাচনের জেনোসাইড’ হবার সম্ভাবনা আছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
জনৈতিক ফায়দা হাসিলে জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, কিছুদিন আগে একজন বললেন, জামায়াতের টিকিট কাটা মানে জান্নাতের টিকিট কাটা। এটি কোথায় লেখা আছে?
৮ ঘণ্টা আগে
‘রাজনৈতিকভাবে যারা চেতনার ব্যবসা করে, তাদের পরিণত শুভ হয় না’, বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসা করতে করতে বিলুপ্ত প্রায় হয়ে গেছে।'
১০ ঘণ্টা আগে