leadT1ad

ভাসানীর রাষ্ট্রচিন্তার কেন্দ্রে ছিল পালনবাদ: ফরহাদ মজহার

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ১১
ভাববৈঠকি’র উদ্যোগে ‘ভাসানী, ইসলাম ও গণরাজনীতি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা

মওলানা ভাসানীর রাষ্ট্রচিন্তার কেন্দ্রে ছিল ‘রবুবিয়াত’ বা পালনবাদ। আধুনিক রাষ্ট্র যেখানে শাসনকেন্দ্রিক, সেখানে ভাসানী রাষ্ট্রকে দেখতেন জনগণের প্রতিপালক হিসেবে। শনিবার (২২ নভেম্বর) ভাববৈঠকি’র উদ্যোগে বাংলা একাডেমির আল মাহমুদ লেখক কর্ণারে “ভাসানী, ইসলাম ও গণরাজনীতি” শীর্ষক সেমিনারে মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রদর্শনের নতুন পাঠ হাজির করেন কবি ও চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার।

তিনি বলেন, পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ ইসলামকে পিছিয়ে থাকা ধর্ম হিসেবে দেখে বলেই ভাসানীর রাজনৈতিক ভাবনার গভীরতা তারা ধরতে পারেনি। মজহারের মতে, ভাসানী ইসলাম ও কমিউনিজমকে পরস্পরের বিপরীতে নয়, জনগণের সংগ্রামের যৌথ ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সাপ্তাহিক চিন্তা পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদের সদস্য উদয় হাসান ভাসানীর ‘হক ও পালনের’ ধারণা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, ইসলামী রাজনৈতিক দর্শনে যেমন হক্কুল ইবাদ বা মানুষের জন্মগত অধিকার রক্ষা করা অপরিহার্য, ভাসানীর রাজনৈতিক অবস্থানের কেন্দ্রেও ছিল এই নৈতিক অঙ্গীকার।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কৃষক উইংয়ের যুগ্ম সমন্বয়কারী সাঈদ উজ্জ্বল ভাসানীর কৃষক-রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলার কৃষকের জমি, রিজিক, আবাস ও নিরাপত্তাকে রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব বলে মনে করতেন ভাসানী।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ ভাসানীর রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভাসানী শুধু দলীয় রাজনীতির নেতা নন, দেশের ভৌগোলিক ও মানসিক মুক্তিরও প্রথম সারির স্বপ্নদ্রষ্টা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত