সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার বার্তায় সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকার কথা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তারেক রহমান সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন। একইসঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সাফল্য, উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করেন।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তারেক রহমান তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।’ তিনি সশস্ত্র বাহিনীকে নির্ভীক সাহসিকতা, শৌর্য এবং সংকল্পবদ্ধ শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করেন এবং ’৭১ এর রণাঙ্গণে এই বাহিনীর অসীম সাহসী ভূমিকাকে ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায় বলে বর্ণনা করেন।
বার্তায় তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখন্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যগণ অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বিশ্বশান্তি রক্ষায় তাদের ভূমিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও প্রশংসনীয় করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া দেশের সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্বিপাকের সময় সশস্ত্র বাহিনীর বলিষ্ঠ ভূমিকা এই বাহিনীকে জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত করেছে।
তারেক রহমান সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, তিনিই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রেখে একটি প্রযুক্তিনির্ভর, গতিশীল ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। তাঁর সময়েই সশস্ত্র বাহিনী সুশিক্ষিত, পেশাদার, সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যেকোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ।
একইভাবে, তারেক রহমান বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেন, যা বৈশ্বিক পরিসরে ব্যাপক অবদান রাখে এবং ভবিষ্যতেও এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বার্তায় তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবনদানকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।