leadT1ad

পেহেলগাম থেকে মুজাফফরাবাদ: গুলি ও মিমের আড়ালে ন্যারেটিভের লড়াই

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৫, ২২: ৪৭
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উয়ান গ্রামে যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখছেন স্থানীয়রা। ছবি: রয়টার্স

চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, কোনো তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই ভারত সরকার ও ভারতীয় গণমাধ্যম এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং দাবি করে দুই হামলাকারী পাকিস্তানের নাগরিক।

পাকিস্তান এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এবং অবাধ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানায়। একইসঙ্গে জানায়, এই ঘটনায় তাঁদের কোনো হাত নেই ও তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু ততক্ষণে ভারতীয় মিডিয়া তুমুল প্রচারণা শুরু করেছে। অনেক টকশো ও পত্রিকা সরাসরি পাকিস্তানে হামলার ডাক দিচ্ছে। সিন্ধুর পানি চুক্তি বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দেয় ভারতীয় সরকার। ফলে পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা বাড়ে। জবাবে পাকিস্তান শিমলা চুক্তি বাতিলের ইঙ্গিত দেয়। যদিও দুই দেশই শেষ পর্যন্ত ওই হুমকি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। একদিকে অনেকেই ভারতের নিরাপত্তা ব্যর্থতার প্রশ্ন তুলে ও হামলাটিকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ এবং রাজনৈতিক চাল বলে আখ্যা দেয়। অন্যদিকে অনেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ‘মিম যুদ্ধে’ ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ৭ মে পাকিস্তানের ভেতরে এক ঘণ্টাব্যাপী হামলা চালালে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে যায়।

মুজাফফরাবাদের আকাশে আগুন

সাংবাদিক ফায়জা গিলানি পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের বাসিন্দা। হামলার সময়ে তিনি নিজে দেখলেন, কীভাবে পাঞ্জাব ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের ছয়টি শহরের আকাশ গর্জে ওঠে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়।

পাকিস্তান এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ আখ্যা দিয়ে নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে পাল্টা জবাব দেওয়ার ঘোষণা করে। কাশ্মীর বরাবরই সংঘাতমুখর এলাকা হলেও মুজাফফরাবাদকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ মনে করা হতো। এ হামলায় মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে সেই নিরাপত্তাবোধ।

সরাসরি মসজিদ ও আবাসিক এলাকায় হামলা চালানো হয়েছিল দাবি করে ফায়জা গিলানি বলেন, চারদিকে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতে ঘুমানোর সময়ও বিস্ফোরণের শব্দ কানে বাজত। সাংবাদিকতার কাজও হয়ে উঠেছিল কষ্টকর। নিরাপত্তার জন্য হেডলাইট বন্ধ রেখে গাড়ি চালাতাম।

ফায়জা গিলানির মতে, এই পরিস্থিতিতে মুজাফফরাবাদের দৈনন্দিন জীবন একেবারে থমকে যায়। পর্যটনের মৌসুমে এ আক্রমণ হয়। এতে গত পাঁচ-সাত বছরে গড়ে ওঠা পর্যটন শিল্প পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। এ পর্যটন শিল্প ছিল প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকার উৎস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন

নানা ভুয়া তথ্যের ভিড়ে এ সময় মানুষ যাচাই করা সঠিক তথ্যও জানতে পেরেছিল। সংকটের সময় পাকিস্তান সরকার এমনকি ২০২২ সালের মে মাস থেকে চলা জাতীয় পর্যায়ের টুইটার নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়। নাগরিকদের ‘সাইবার যোদ্ধা’ হতে উৎসাহিত করা হয়। টিভি চ্যানেলগুলোতেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনগণের কার্যক্রমের প্রশংসা করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান ‘মিম যুদ্ধ’। সংগৃহীত ছবি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান ‘মিম যুদ্ধ’। সংগৃহীত ছবি

শুরু হয় ভারত–পাকিস্তানের ‘মিম যুদ্ধ’, যা সংঘাতকে আরও দৃশ্যমান করে তোলে। দৈনন্দিন সমস্যার সঙ্গে এই মিম যুদ্ধ মিশে যায়। করাচির স্ট্রিট ক্রাইম, পানির সংকট কিংবা গর্তে ভরা সড়ক—সবকিছুই ভারতের হুমকিকে বিদ্রূপ করার উপাদানে পরিণত হয়। কেউ কেউ মজা করে বলিউড অভিনেত্রীদের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে। আবার কেউ কেউ করাচির কোন রাস্তায় গেলে নির্মাণকাজের কারণে ভারতীয় সেনাদের ঝামেলায় পড়তে হবে তার ব্যঙ্গাত্মক ভ্রমণ বর্ণনা লিখে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান জিবরান ইলিয়াস ও শীর্ষস্থানীয় টিভি টকশো উপস্থাপকরা স্বীকার করেন যে, পিটিআই সমর্থকেরা দ্রুত ভারতের অপপ্রচারণার জবাব দিয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে শান্ত রাখতে সাহায্য করেছে। অপরদিকে, অনেক ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী পেহেলগাম হামলা ও পরবর্তী আগ্রাসনকে আসন্ন বিহার নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত করে। তাঁদের মতে, ভারতে নির্বাচনের সময় এলে সীমান্ত উত্তেজনা বেড়ে যায়, আর এতে সাধারণ মানুষের ক্ষতির বিনিময়ে রাজনীতিবিদরাই লাভবান হন।

তবে সবকিছুই শুধু হাস্যরস বা মজা ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ার এই কথোপকথন বাস্তব জীবনের উদ্বেগ তৈরি করেছে ও মানুষের সিদ্ধান্তকেও প্রভাবিত করেছে।

মুলতানের ৪২ বছর বয়সী ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ওয়াকাস সেলিম জানান, ৭ মে পাকিস্তানি বাহিনীর পাল্টা জবাবের পর দুই দেশের মধ্যে নীরবতা নেমে আসে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ে যে পরমাণু যুদ্ধ হতে পারে। আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম এই পরিস্থিতিতে আমার পরিবারকে কীভাবে বাঁচাব।

করাচির ৩৯ বছর বয়সী দোকানদার আরসালান আহমদ জানান, তিনি এতটাই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভর করেছিলেন যে তাঁর মনে দৃঢ় ধারণা জন্মেছিল, এটি হবে চূড়ান্ত যুদ্ধ। আরসালান আহমদ বলেন, ‘তাই আমি দোকানের জন্য আর পণ্য কিনিনি। বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম শিগগিরই দেশ ছাড়তে হবে।’

যুদ্ধের বয়ান

৯ আগস্ট ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান অমর প্রীত সিং ‘অপারেশন সিঁদুর’নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, পাকিস্তানের অন্তত পাঁচটি ফাইটার জেট ও একটি বড় বিমান ভূপাতিত করেছে ভারত। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সারফেস-টু-এয়ার কিল।

এর আগেও ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময়ে, বিশেষ করে ৭ মে’র ঘটনার ক্ষেত্রেও এমন বর্ণনা শোনা গিয়েছিল। তাঁর এই বক্তব্যকে অতিরঞ্জিতই মনে করেছেন অনেকেই।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি ও অন্যান্য কর্মকর্তারা জানান, ৭ মে’র হামলায় তাঁরা লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গি শিবিরকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিলেন ও এতে ১০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের ডি-জি আইএসপিআর আহমদ শরীফ চৌধুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ওই হামলার সময় পাকিস্তানের আকাশসীমায় ৫৭টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল করছিল। মসজিদ ও আবাসিক মহল্লাসহ টার্গেট করা সবগুলো জায়গাই ছিল বেসামরিক এলাকা, তাঁর চাক্ষুষ প্রমাণও দেখান তিনি। আহমদ শরীফ চৌধুরীর দাবি অনুযায়ী, এই হামলায় ৩১ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। এ ছাড়া আরও ৫৭ জন আহত হয়েছেন।

পাকিস্তান এই হামলাকে সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে শক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণা করে। আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান দাবি করে যে তারা ভারতের রাফাল বিমানসহ পাঁচটি ফাইটার জেট ভূপাতিত করেছে। ১০ মে রাতে ভারতের দশটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাকিস্তান পাল্টা আঘাত হানে।

১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপে এসে দুই দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

প্রচারণা এবং বাস্তবতা

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেন যে ভারতের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করেছে ভারতীয় বাহিনী। পাকিস্তান এই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ কিংবা একটি স্বাধীন তদন্তের দাবি জানায়। ভারতের দাবির পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ১৫০ জনেরও বেশি দেশি ও বিদেশি সাংবাদিককে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক সাংবাদিকরা মুজাফফরাবাদের একটি মসজিদ ও একটি আবাসিক কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কোনো চিহ্ন পাননি, কেবল গৃহস্থালি সামগ্রী পান। উভয় স্থানই ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ছিল।

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তানি গণমাধ্যম ভারতীয় হামলাকে কাপুরুষোচিত, লজ্জাজনক ও ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করার কৌশল হিসেবে আখ্যা দেয়। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রতিশোধমূলক জবাবের প্রতিশ্রুতি জানায় এবং সেনাবাহিনীর প্রতি আবেগঘন সংহতির জনমত তুলে ধরে। অন্যদিকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সতর্ক করেন যে এ ধরনের অচলাবস্থা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করতে পারে। তারা সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানান।

গণমাধ্যম সামগ্রিকভাবে দায়িত্বশীল ভঙ্গিই বজায় রাখে। তারা যাচাই করা তথ্যকে গুরুত্ব দেয় ও স্বাধীন ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি টেনে পাকিস্তানের সংযমের বিষয়টি তুলে ধরে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবিও আলোচনায় আনে। স্বাধীন সূত্র এ তথ্য স্বীকার করলেও আজ পর্যন্ত নয়াদিল্লি তা আনুষ্ঠানিকভাবে মানেনি।

রাজনীতি ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া

৮ থেকে ১২ মে’র মধ্যে পাকিস্তানের শাসকদল পিএমএল-এন ও বিরোধী দল পিটিআই নিজেদের সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতীয় আগ্রাসনের নিন্দা জানায় এবং ভুয়া তথ্যের পাল্টা জবাব দেয়। এ কার্যক্রমে প্রায় ৭ কোটি ৯০ লাখ ভিউ হয়।

পাকিস্তানের ১০ মে’র পাল্টা হামলাকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সরকার "স্থিরবুদ্ধি ও বিজয়ী পদক্ষেপ" হিসেবে বর্ণনা করে।

বিবিসি দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক আম্ব্রাসান এথিরাজন বলেন, পাকিস্তান নিজেকে একটি বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সিএনএনের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পাদক নিক রবার্টসন জানান, পাকিস্তানের টানা ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণে ভারতের প্রাথমিক হামলা এমনভাবে প্রতিহত হয় যে আলোচনায় বসতে ও আক্রমণাত্মক অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় ভারত।

ইন্দো-পাকিস্তান সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ড. ফারহান হানিফ সিদ্দিকি যুক্তি দেন, জাফর এক্সপ্রেস ঘটনার পর থেকে ৭ মে’র সংঘর্ষ পর্যন্ত ভারতের ধারাবাহিক উসকানি আসলে দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার অংশ। পাকিস্তানের সিদ্ধান্তমূলক পাল্টা হামলা কেবল নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেনি, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার একটি মাত্রা ফিরিয়ে এনেছে।

অন্যদিকে ভারত নিজের পদক্ষেপকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য ৪০টি দেশে দূত পাঠালেও তা সফল হয়নি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো কলম্বিয়ার অবস্থান। দেশটি প্রথমে ভারতের পক্ষে অবস্থান নিলেও পরে প্রকৃত তথ্য জানার পর তা প্রত্যাহার করে নেয় ও পাকিস্তানি বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে।

পাকিস্তান-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফ্রাইডে টাইমসের সাংবাদিক ফাইসাল সালিমের স্ট্রিমের জন্য লেখা

Ad 300x250

‘মুজিবপিডিয়া’ কি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরির উপাদান, ইতিহাস কী বলে

কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারে দুই যুবদল নেতার সংঘর্ষ, নিহত ১, প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন

পেহেলগাম থেকে মুজাফফরাবাদ: গুলি ও মিমের আড়ালে ন্যারেটিভের লড়াই

জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে মতামত দিয়েছে বিএনপি, এনসিপিসহ ২৩ দল

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা করেও সমস্যার সমাধান হবে না

সম্পর্কিত