leadT1ad

দুই-তিন ফসলি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ নয়: কৃষি উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৩
বক্তব্য দিচ্ছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: পিআইডি

কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। বিশেষ করে দুই ও তিন ফসলি জমিতে নির্মাণ করা যাবে না কোনো স্থাপনা। কৃষি জমি রক্ষায় কঠোর বিধান রেখে ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের কাজ চলছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিগত এক বছরে মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ও সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা জানান, গত এক বছরে ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনা মূল্যে সার, বীজ ও চারা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ৮৯৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার বিনা মূল্যে এসেছে। সার আমদানির সিন্ডিকেট ভাঙার কারণে সরকারের ২৩৩ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হয়েছে।

তিনি বলেন, সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা–২০০৯ হালনাগাদ করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাটকলের অব্যবহৃত গুদাম সার মজুতের কাজে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইআইটিএফসি) বিএডিসিকে সার ক্রয়ের জন্য ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

কৃষি উন্নয়নে নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা জানান, ১০০টি মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হচ্ছে। পেঁয়াজ ও আলু সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ঘর ও যন্ত্র বসানো হচ্ছে। কৃষকের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু কেনা হবে। আলুর দাম হিমাগারের গেটে সর্বনিম্ন ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দায়িত্বকালীন সময়ে কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় ১০ শতাংশ বেড়েছে। গাবতলীতে রপ্তানির জন্য একটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণাধীন। ইতিমধ্যে ১৫টি ফসলের জন্য উন্নত কৃষি চর্চা (জিএপি) প্রোটোকল অনুমোদিত হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাসের চারা ধ্বংস করা হয়েছে এবং ৩৩ লাখ দেশীয় ফলজ ও বনজ গাছ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

কৃষকদের জন্য চালু হওয়া ‘খামারি’ অ্যাপ–এর কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এতে জমির তথ্য, সার, বীজ, সেচ, আবহাওয়া ও রোগ-বালাই সম্পর্কিত সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে আধুনিক কৃষি বিপণন ব্যবস্থা, ট্রাকিং সিস্টেম ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, টেকসই ও আধুনিক কৃষি এবং সবার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে কৃষি উন্নয়ন রূপরেখা পরিকল্পনা ২০২৫-২০৫০ প্রণয়ন করা হচ্ছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত