স্ট্রিম ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১৫ আগস্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্ত নিয়ে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে আলাস্কায়। পরে ক্রেমলিন থেকেও তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, যে কোনো শান্তিচুক্তির জন্য ‘কিছু অঞ্চল বিনিময়’ করতে হবে। ঘোষণার ঘণ্টাখানেক পরেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ছাড়তে হতে পারে।
রাশিয়ার সঙ্গে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল সাড়ে তিন বছর আগে। হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প আরও বলেছেন, ‘আপনারা এমন একটি অঞ্চলের দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন, যেখানে সাড়ে তিন বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। বহু রাশিয়ান মারা গেছে, বহু ইউক্রেনিয়ানও জীবন দিয়েছে। বিষয়টি খুবই জটিল পর্যায়ে চলে গেছে এখন। আমরা কিছু ভূখণ্ড ফিরে পাব, কিছু বদলানো হবে। দুই দেশের মঙ্গলের জন্য কিছু ভূখণ্ড বিনিময় করা হবে।’
মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস-এর খবরের সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়া পুরো দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি ক্রিমিয়াও তাদের বহাল থাকবে। আর প্রস্তাবিত সমঝোতা অনুযায়ী, খেরসন ও ঝাপরোজ্জিয়া অঞ্চলে তারা ছেড়ে দেবে।
গত ১ আগস্ট ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে মস্কোতে এক বৈঠকে একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। কিন্তু এখনো এটা পরিষ্কার নয় যে, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতারা এই ধরনের প্রস্তাবে একমত হবেন কিনা। শর্তগুলো নিয়ে ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে এখনো অনেক দূরত্ব আছে। কারণ জেলেনস্কি অঞ্চল ছাড়ের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী শুক্রবারের বৈঠকে জেলেনস্কিরও অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ শক্তি বহাল করেও বড় ধরনের বিজয় আনতে ব্যর্থ হয়েছে মস্কো। তবে তারা এখনো ইউক্রেনের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। সেখানে রাশিয়াকে পিছু হটাতে পারেনি ইউক্রেন।
এর আগে ইস্তান্বুলে তাদের মধ্যে তিন দফা আলোচনা হয়। কিন্তু এই আলোচনায় যুদ্ধ থামেনি। এটিকে ইউক্রেনের আত্মসমর্থন হিসেবে বিবেচনা করছে মস্কো।
আলাস্কা শেষবার একটি কূটনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল ২০২১ সালের মার্চ মাসে, যখন সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অ্যাংকোরেজে চীনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বাইডেনের শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং তার চীনা সমকক্ষ ইয়াং জিয়েচির মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যা মতবিরোধের জেরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভেস্তে যায়। যেখানে তারা একে অপরের নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকেই ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছেন। যুদ্ধেরও অবসান চেয়েছেন তিনি। তাঁর প্রকাশ্য মন্তব্যে তিনি পুতিনের প্রতি কখনো প্রশংসা, আবার কখনো তীব্র সমালোচনাও করেছেন। তবে ট্রাম্পের আহ্বানে পুতিন রাশিয়ার সামরিক অভিযান থামাতে বারবার অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। যা নিয়ে ক্রমেই ট্রাম্পকে হতাশ হতে দেখা গেছে। আর এই হতাশা থেকেই তিনি গত ১ আগস্ট পুতিন সংঘাতের অবসানে সম্মত না হলে রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করে এমন দেশগুলোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কারোপের হুমকি দেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ট্রাম্প নতুন করে হুমকি দিলেও তাঁর স্বভাবসুলভ আচরণের কারণে শেষ পর্যন্ত পরিষ্কার ছিল না যে, সেই হুমকি কার্যকর হবে, নাকি স্থগিত বা বাতিল করা হবে। তবে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বুধবার (৬ আগস্ট) ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার তেল ক্রেতাদের শাস্তি হিসেবে প্রথম পদক্ষেপ নেয়। রুশ তেল আমদানির কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এটি ছিল ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে রাশিয়াকে লক্ষ্য করে নেওয়া প্রথম আর্থিক শাস্তি।
এদিকে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বুধবার মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন, যা উভয়পক্ষই ‘ফলপ্রসূ’ বলে বর্ণনা করেছে।
আবার ইউক্রেনের ঘনিষ্ট মিত্র পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক শুক্রবারের আগেই বলেছিলেন যে, সংঘাতের বিরতি আসন্ন হতে পারে। তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরই এমন কথা বলেন। ‘কিছু সংকেত রয়েছে, এবং আমাদের একটি ধারণাও আছে, যে হয়তো সংঘাতের একটি বিরতি—আমি শেষ বলতে চাই না, তবে বিরতি—এখন অনেকটাই কাছে’, সংবাদ সম্মেলনে বলেন টাস্ক। এর জন্য আশা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
টাস্ক আরও বলেন, জেলেনস্কি ‘খুব সতর্ক কিন্তু আশাবাদী’ এবং ইউক্রেন চায় যে পোল্যান্ড ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো যুদ্ধবিরতি এবং ভবিষ্যতের শান্তি চুক্তির পরিকল্পনায় ভূমিকা রাখুক।
ইউক্রেন রাশিয়াকে ‘কোনো পুরস্কার’ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সোশ্যাল-মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ এক ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেছেন, এই যুদ্ধ অবশ্যই শেষ হওয়া উচিত এবং রাশিয়াকেই এটা করতে হবে। রাশিয়াই এটা শুরু করেছে ও এত দূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। তারা সব ধরনের সময়সীমা অতিক্রম করেছে। এটাই সমস্যা। এছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত এলে কোনো লাভ হবে না। মূলত মৃত সিদ্ধান্ত হবে এটা। যা কোনো কাজের না।
ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘এটি যুদ্ধ থেকে অনেক দূরে। এই যুদ্ধ চলছে আমাদের ভূমিতে ও আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে এবং যেভাবেই হোক আমাদের ছাড়া, ইউক্রেন ছাড়া শেষ করা সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমাদের সব মিত্রদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
যেভাবে ট্রাম্প ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছেন। কিছু সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি।
এখানে জুলাই থেকে ট্রাম্পের সময়সীমা কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তার একটি সংক্ষিপ্তসার দেওয়া হলো—
• তবে, সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে, অর্থনৈতিক হুমকিটি দ্রুত আড়াল হয়ে যায় ট্রাম্প ও পুতিনের সরাসরি সাক্ষাতের পরিকল্পনায়, যেখানে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল।
• সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে রাশিয়ার ওপর নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসেনি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউইউর্ক টাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১৫ আগস্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্ত নিয়ে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে আলাস্কায়। পরে ক্রেমলিন থেকেও তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, যে কোনো শান্তিচুক্তির জন্য ‘কিছু অঞ্চল বিনিময়’ করতে হবে। ঘোষণার ঘণ্টাখানেক পরেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ছাড়তে হতে পারে।
রাশিয়ার সঙ্গে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল সাড়ে তিন বছর আগে। হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প আরও বলেছেন, ‘আপনারা এমন একটি অঞ্চলের দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন, যেখানে সাড়ে তিন বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। বহু রাশিয়ান মারা গেছে, বহু ইউক্রেনিয়ানও জীবন দিয়েছে। বিষয়টি খুবই জটিল পর্যায়ে চলে গেছে এখন। আমরা কিছু ভূখণ্ড ফিরে পাব, কিছু বদলানো হবে। দুই দেশের মঙ্গলের জন্য কিছু ভূখণ্ড বিনিময় করা হবে।’
মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস-এর খবরের সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়া পুরো দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি ক্রিমিয়াও তাদের বহাল থাকবে। আর প্রস্তাবিত সমঝোতা অনুযায়ী, খেরসন ও ঝাপরোজ্জিয়া অঞ্চলে তারা ছেড়ে দেবে।
গত ১ আগস্ট ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে মস্কোতে এক বৈঠকে একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। কিন্তু এখনো এটা পরিষ্কার নয় যে, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতারা এই ধরনের প্রস্তাবে একমত হবেন কিনা। শর্তগুলো নিয়ে ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে এখনো অনেক দূরত্ব আছে। কারণ জেলেনস্কি অঞ্চল ছাড়ের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী শুক্রবারের বৈঠকে জেলেনস্কিরও অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ শক্তি বহাল করেও বড় ধরনের বিজয় আনতে ব্যর্থ হয়েছে মস্কো। তবে তারা এখনো ইউক্রেনের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। সেখানে রাশিয়াকে পিছু হটাতে পারেনি ইউক্রেন।
এর আগে ইস্তান্বুলে তাদের মধ্যে তিন দফা আলোচনা হয়। কিন্তু এই আলোচনায় যুদ্ধ থামেনি। এটিকে ইউক্রেনের আত্মসমর্থন হিসেবে বিবেচনা করছে মস্কো।
আলাস্কা শেষবার একটি কূটনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল ২০২১ সালের মার্চ মাসে, যখন সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অ্যাংকোরেজে চীনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বাইডেনের শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং তার চীনা সমকক্ষ ইয়াং জিয়েচির মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যা মতবিরোধের জেরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভেস্তে যায়। যেখানে তারা একে অপরের নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকেই ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছেন। যুদ্ধেরও অবসান চেয়েছেন তিনি। তাঁর প্রকাশ্য মন্তব্যে তিনি পুতিনের প্রতি কখনো প্রশংসা, আবার কখনো তীব্র সমালোচনাও করেছেন। তবে ট্রাম্পের আহ্বানে পুতিন রাশিয়ার সামরিক অভিযান থামাতে বারবার অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। যা নিয়ে ক্রমেই ট্রাম্পকে হতাশ হতে দেখা গেছে। আর এই হতাশা থেকেই তিনি গত ১ আগস্ট পুতিন সংঘাতের অবসানে সম্মত না হলে রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করে এমন দেশগুলোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কারোপের হুমকি দেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ট্রাম্প নতুন করে হুমকি দিলেও তাঁর স্বভাবসুলভ আচরণের কারণে শেষ পর্যন্ত পরিষ্কার ছিল না যে, সেই হুমকি কার্যকর হবে, নাকি স্থগিত বা বাতিল করা হবে। তবে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বুধবার (৬ আগস্ট) ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার তেল ক্রেতাদের শাস্তি হিসেবে প্রথম পদক্ষেপ নেয়। রুশ তেল আমদানির কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এটি ছিল ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে রাশিয়াকে লক্ষ্য করে নেওয়া প্রথম আর্থিক শাস্তি।
এদিকে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বুধবার মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন, যা উভয়পক্ষই ‘ফলপ্রসূ’ বলে বর্ণনা করেছে।
আবার ইউক্রেনের ঘনিষ্ট মিত্র পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক শুক্রবারের আগেই বলেছিলেন যে, সংঘাতের বিরতি আসন্ন হতে পারে। তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরই এমন কথা বলেন। ‘কিছু সংকেত রয়েছে, এবং আমাদের একটি ধারণাও আছে, যে হয়তো সংঘাতের একটি বিরতি—আমি শেষ বলতে চাই না, তবে বিরতি—এখন অনেকটাই কাছে’, সংবাদ সম্মেলনে বলেন টাস্ক। এর জন্য আশা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
টাস্ক আরও বলেন, জেলেনস্কি ‘খুব সতর্ক কিন্তু আশাবাদী’ এবং ইউক্রেন চায় যে পোল্যান্ড ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো যুদ্ধবিরতি এবং ভবিষ্যতের শান্তি চুক্তির পরিকল্পনায় ভূমিকা রাখুক।
ইউক্রেন রাশিয়াকে ‘কোনো পুরস্কার’ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সোশ্যাল-মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ এক ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেছেন, এই যুদ্ধ অবশ্যই শেষ হওয়া উচিত এবং রাশিয়াকেই এটা করতে হবে। রাশিয়াই এটা শুরু করেছে ও এত দূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। তারা সব ধরনের সময়সীমা অতিক্রম করেছে। এটাই সমস্যা। এছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত এলে কোনো লাভ হবে না। মূলত মৃত সিদ্ধান্ত হবে এটা। যা কোনো কাজের না।
ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘এটি যুদ্ধ থেকে অনেক দূরে। এই যুদ্ধ চলছে আমাদের ভূমিতে ও আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে এবং যেভাবেই হোক আমাদের ছাড়া, ইউক্রেন ছাড়া শেষ করা সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমাদের সব মিত্রদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
যেভাবে ট্রাম্প ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছেন। কিছু সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি।
এখানে জুলাই থেকে ট্রাম্পের সময়সীমা কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তার একটি সংক্ষিপ্তসার দেওয়া হলো—
• তবে, সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে, অর্থনৈতিক হুমকিটি দ্রুত আড়াল হয়ে যায় ট্রাম্প ও পুতিনের সরাসরি সাক্ষাতের পরিকল্পনায়, যেখানে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল।
• সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে রাশিয়ার ওপর নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসেনি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউইউর্ক টাইমস
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের পুরো গাজা দখলের সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। এর পরিণতিতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্বনেতারা। শুক্রবার (৮ আগস্ট) গাজার সবচেয়ে বড় শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানবিরোধী দল কগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এনে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর কথা বলেছিলেন। ৭ আগস্ট 'ভোট চোরি কা অ্যাটম বোমা সবুত' শিরোনামের সাংবাদিক সম্মেলনে ওই বোমাটি ফাটালেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগেস্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, লানঝৌ এলাকায় শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১৯৫ মিলিমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
১ দিন আগে২০২৫ সালের ২২ মে সকাল। হিরোশিমা শান্তি স্মৃতিপার্কে নীরবতা পালন হচ্ছে। এরপর বের করে আনা হলো ১৯৪৫ সালের পারমাণবিক হামলায় নিহত ব্যক্তিদের নামের তালিকা।
১ দিন আগে