স্ট্রিম ডেস্ক

লেবানন ও ইসরায়েল প্রায় ৪০ বছর পর প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় বসেছে। বুধবার দক্ষিণ লেবাননের নাকউরা শহরে যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে পরিচালিত যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির বৈঠকে দুই দেশের বেসামরিক প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে দীর্ঘ চার দশকের অচলাবস্থা ভেঙে নতুন যোগাযোগের পথ খুলে যায়।
এ বৈঠককে চলমান উত্তেজনা ও সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কাঠামোর আওতায় আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সীমান্ত ইস্যু ও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে কথা হলেও আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা হয়নি।
ইসরায়েল বৈঠকটিকে দুই দেশের সম্পর্ক গঠনের পথে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। তবে লেবানন এর বিপরীতে জানিয়ে দিয়েছে যে আলোচনার পরিধি সীমিত এবং এতে কোনো সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের উদ্যোগ নেই। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও পারস্পরিক অভিযোগের মধ্যেই এ আলোচনা হয়েছে। এতে আবারও সংঘাত শুরু হওয়ার আশঙ্কা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নোয়াফ সালাম জানান, বৈরুত শুধু নিরাপত্তা বিষয় নয়, প্রয়োজনে আরও বিস্তৃত আলোচনায় আগ্রহী। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, এটি শান্তি আলোচনা নয় এবং স্বাভাবিক সম্পর্কের প্রশ্ন শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে। তার মতে, আলোচনার লক্ষ্য কেবল শত্রুতা বন্ধ করা, লেবাননের বন্দিদের মুক্তি এবং লেবাননে অবস্থানরত ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।
সালাম আরও বলেন, লেবানন এখনো ২০০২ সালের আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। ওই উদ্যোগে ১৯৬৭ সালে দখল করা সব এলাকা থেকে ইসরায়েলের প্রত্যাহারের শর্তে পূর্ণ স্বাভাবিক সম্পর্কের প্রস্তাব রয়েছে। লেবানন কোনো পৃথক শান্তিচুক্তির কথা বিবেচনা করছে না বলেও তিনি জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বেসামরিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ উত্তেজনা কমাতে সহায়তা করবে। সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠক ব্লু লাইনে—লেবানন ও ইসরায়েলের সীমান্তে—সম্পন্ন হয়।
বৈঠক শেষে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বেসামরিক দূতদের যুক্ত হওয়া টেকসই বেসামরিক ও সামরিক সংলাপের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কমিটি সীমান্ত অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা জোরদার করার প্রত্যাশা জানায়।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই চায় কমিটির কাজ শুধু ২০২৪ সালের হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি তদারকিতে সীমাবদ্ধ না থাকুক। সম্প্রতি বৈরুতসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা বাড়ায় নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির শর্ত থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি এলাকায় সেনা উপস্থিত রাখছে এবং হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদরোসিয়ান এই বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যে পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে সম্ভাবনার দরজা খুলছে।
সালাম জানান, লেবানন কমিটির দায়িত্ব সম্প্রসারণে রাজি। এতে ইসরায়েলের দাবি—হিজবুল্লাহ পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ করছে কিনা—তা যাচাই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। একই সঙ্গে লেবাননের সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ভাঙতে কীভাবে কাজ করছে তাও পর্যবেক্ষণের আওতায় আসতে পারে। এতে ফরাসি বা মার্কিন সেনা মাঠে নামতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হতে পারে’।
হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের দাবি এখন বাড়ছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এ লক্ষ্যেই চাপ দিচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। এরপর থেকেই তাদের অস্ত্র সমর্পণের দাবি জোরদার হয়েছে। হিজবুল্লাহ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলছে, এটি যুক্তরাষ্ট্র–ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টা, যার উদ্দেশ্য লেবাননকে দুর্বল করা।
গত সপ্তাহে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ কমান্ডার নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে বলে মন্তব্য করেন হিজবুল্লাহ নেতা নাঈম কাসেম। তিনি বলেন, লেবানন রাষ্ট্র দক্ষিণাঞ্চলকে ইসরায়েলি হামলা থেকে কার্যকরভাবে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সংগঠনটি বারবার বলছে, ইসরায়েলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এক ধরনের ফাঁদ এবং তারা এতে অংশ নেবে না।
সালাম জানান, ইসরায়েল থেকে বার্তা এসেছে যে উত্তেজনা বাড়তে পারে, যদিও সময় নির্দিষ্ট নয়। বৈরুত সফরকারী দূতরাও পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। তিনি আবারও বলেন, রাষ্ট্র গঠনে অংশ নিতে হলে হিজবুল্লাহকে অস্ত্র জমা দিতে হবে। তার ভাষায়, হিজবুল্লাহর অস্ত্রভাণ্ডার ইসরায়েলকে থামাতে পারেনি, লেবাননকেও রক্ষা করেনি। সরকার এখন যুদ্ধ–শান্তি সিদ্ধান্তে নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে।
তিনি আরও বলেন, লেবানন আর কোনো সংঘাতে জড়ানোর সুযোগ দেবে না। গাজার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি।
১৯৪৮ সাল থেকে লেবানন ও ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে আজও কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সর্বশেষ সরাসরি আলোচনা হয়েছিল ১৯৮০–এর দশকের শুরুতে। যদিও কয়েকটি সূত্র বলছে, ১৯৯১ সালের মাদ্রিদ সম্মেলনে সীমিত পরিসরে পরোক্ষ যোগাযোগ হয়েছিল।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় ২০২৪ সালের শেষ দিকে ইসরায়েল–হিজবুল্লাহ সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠার পর। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২৬ নভেম্বর ২০২৪ এ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ১৭০১ এর মাধ্যমে এই চুক্তি শক্তিশালী হয়। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউনিফিল এবং দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধবিরতি বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। ইসরায়েল হিজবুল্লাহর হুমকির কথা বলে লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে। অপরদিকে লেবাননের অভিযোগ, ইসরায়েল এখনো বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছে। শক্তিশালী সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহ জানিয়ে দিয়েছে, তারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অধিকার রাখে এবং নিরস্ত্রীকরণের চাপ মেনে নেবে না।
এসব অবস্থার কারণে নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রও সতর্ক করেছে, যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেলে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যেতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্ত বিরোধ ও নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে আপস না হলে এ আলোচনা থেকে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া কঠিন। এতে পুনরায় উত্তেজনা ও সংঘাতের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স

লেবানন ও ইসরায়েল প্রায় ৪০ বছর পর প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় বসেছে। বুধবার দক্ষিণ লেবাননের নাকউরা শহরে যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে পরিচালিত যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির বৈঠকে দুই দেশের বেসামরিক প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে দীর্ঘ চার দশকের অচলাবস্থা ভেঙে নতুন যোগাযোগের পথ খুলে যায়।
এ বৈঠককে চলমান উত্তেজনা ও সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কাঠামোর আওতায় আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সীমান্ত ইস্যু ও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে কথা হলেও আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা হয়নি।
ইসরায়েল বৈঠকটিকে দুই দেশের সম্পর্ক গঠনের পথে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। তবে লেবানন এর বিপরীতে জানিয়ে দিয়েছে যে আলোচনার পরিধি সীমিত এবং এতে কোনো সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের উদ্যোগ নেই। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও পারস্পরিক অভিযোগের মধ্যেই এ আলোচনা হয়েছে। এতে আবারও সংঘাত শুরু হওয়ার আশঙ্কা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নোয়াফ সালাম জানান, বৈরুত শুধু নিরাপত্তা বিষয় নয়, প্রয়োজনে আরও বিস্তৃত আলোচনায় আগ্রহী। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, এটি শান্তি আলোচনা নয় এবং স্বাভাবিক সম্পর্কের প্রশ্ন শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে। তার মতে, আলোচনার লক্ষ্য কেবল শত্রুতা বন্ধ করা, লেবাননের বন্দিদের মুক্তি এবং লেবাননে অবস্থানরত ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।
সালাম আরও বলেন, লেবানন এখনো ২০০২ সালের আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। ওই উদ্যোগে ১৯৬৭ সালে দখল করা সব এলাকা থেকে ইসরায়েলের প্রত্যাহারের শর্তে পূর্ণ স্বাভাবিক সম্পর্কের প্রস্তাব রয়েছে। লেবানন কোনো পৃথক শান্তিচুক্তির কথা বিবেচনা করছে না বলেও তিনি জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বেসামরিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ উত্তেজনা কমাতে সহায়তা করবে। সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠক ব্লু লাইনে—লেবানন ও ইসরায়েলের সীমান্তে—সম্পন্ন হয়।
বৈঠক শেষে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বেসামরিক দূতদের যুক্ত হওয়া টেকসই বেসামরিক ও সামরিক সংলাপের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কমিটি সীমান্ত অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা জোরদার করার প্রত্যাশা জানায়।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই চায় কমিটির কাজ শুধু ২০২৪ সালের হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি তদারকিতে সীমাবদ্ধ না থাকুক। সম্প্রতি বৈরুতসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা বাড়ায় নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির শর্ত থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি এলাকায় সেনা উপস্থিত রাখছে এবং হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদরোসিয়ান এই বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যে পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে সম্ভাবনার দরজা খুলছে।
সালাম জানান, লেবানন কমিটির দায়িত্ব সম্প্রসারণে রাজি। এতে ইসরায়েলের দাবি—হিজবুল্লাহ পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ করছে কিনা—তা যাচাই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। একই সঙ্গে লেবাননের সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ভাঙতে কীভাবে কাজ করছে তাও পর্যবেক্ষণের আওতায় আসতে পারে। এতে ফরাসি বা মার্কিন সেনা মাঠে নামতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হতে পারে’।
হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের দাবি এখন বাড়ছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এ লক্ষ্যেই চাপ দিচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। এরপর থেকেই তাদের অস্ত্র সমর্পণের দাবি জোরদার হয়েছে। হিজবুল্লাহ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলছে, এটি যুক্তরাষ্ট্র–ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টা, যার উদ্দেশ্য লেবাননকে দুর্বল করা।
গত সপ্তাহে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ কমান্ডার নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে বলে মন্তব্য করেন হিজবুল্লাহ নেতা নাঈম কাসেম। তিনি বলেন, লেবানন রাষ্ট্র দক্ষিণাঞ্চলকে ইসরায়েলি হামলা থেকে কার্যকরভাবে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সংগঠনটি বারবার বলছে, ইসরায়েলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এক ধরনের ফাঁদ এবং তারা এতে অংশ নেবে না।
সালাম জানান, ইসরায়েল থেকে বার্তা এসেছে যে উত্তেজনা বাড়তে পারে, যদিও সময় নির্দিষ্ট নয়। বৈরুত সফরকারী দূতরাও পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। তিনি আবারও বলেন, রাষ্ট্র গঠনে অংশ নিতে হলে হিজবুল্লাহকে অস্ত্র জমা দিতে হবে। তার ভাষায়, হিজবুল্লাহর অস্ত্রভাণ্ডার ইসরায়েলকে থামাতে পারেনি, লেবাননকেও রক্ষা করেনি। সরকার এখন যুদ্ধ–শান্তি সিদ্ধান্তে নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে।
তিনি আরও বলেন, লেবানন আর কোনো সংঘাতে জড়ানোর সুযোগ দেবে না। গাজার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি।
১৯৪৮ সাল থেকে লেবানন ও ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে আজও কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সর্বশেষ সরাসরি আলোচনা হয়েছিল ১৯৮০–এর দশকের শুরুতে। যদিও কয়েকটি সূত্র বলছে, ১৯৯১ সালের মাদ্রিদ সম্মেলনে সীমিত পরিসরে পরোক্ষ যোগাযোগ হয়েছিল।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় ২০২৪ সালের শেষ দিকে ইসরায়েল–হিজবুল্লাহ সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠার পর। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২৬ নভেম্বর ২০২৪ এ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ১৭০১ এর মাধ্যমে এই চুক্তি শক্তিশালী হয়। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউনিফিল এবং দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধবিরতি বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। ইসরায়েল হিজবুল্লাহর হুমকির কথা বলে লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে। অপরদিকে লেবাননের অভিযোগ, ইসরায়েল এখনো বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছে। শক্তিশালী সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহ জানিয়ে দিয়েছে, তারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অধিকার রাখে এবং নিরস্ত্রীকরণের চাপ মেনে নেবে না।
এসব অবস্থার কারণে নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রও সতর্ক করেছে, যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেলে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যেতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্ত বিরোধ ও নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে আপস না হলে এ আলোচনা থেকে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া কঠিন। এতে পুনরায় উত্তেজনা ও সংঘাতের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স

কিছু দিন আগে বাইডেনকে তিনি একই কারণে ‘স্লিপি জো’ বলে বিদ্রূপ করেছিলেন। এখন সেই বিদ্রূপ উলটো ট্রাম্পের দিকেই ফিরে আসছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট অস্থায়ী চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
১৯ ঘণ্টা আগে
শরীরে তখনো লেগেছিল জন্মের সময়কার রক্ত। হিম শীতল ঠান্ডায় একটি বাড়ির টয়লেটের পাশে পড়ে কাঁদতেছিল এক নবজাতক। তখন ভোর। শিশুর কান্নার শব্দ শুনে বাড়িটির লোকজন ভেবেছিল, প্রতিবেশী কোনো বাড়ির কোনো শিশু হয়তো কাঁদছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ইউরোপিয়ান নয়; এমন ১৯টি দেশ থেকে অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড, নাগরিকত্বের প্রক্রিয়াসহ অভিবাসন সংক্রান্ত সব ধরনের আবেদন স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
১ দিন আগে