leadT1ad

লালমনিরহাট সীমান্তে গুলিতে যুবক নিহত, লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
লালমনিরহাট

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৬
বিএসএফ গুলিতে নিহত গরু ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া। সংগৃহীত ছবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার শমসেরনগর সীমান্তের ৮৬৪ নাম্বার মেইন সীমান্ত পিলারের (৫ নাম্বার সাব-পিলার) কাছে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত চেয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা থানার ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চেনাকাটা বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডারকে চিঠি দিয়েছে বিজিবি। ৬১ বিজিবির তিস্তা ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার কামাল উদ্দিন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নিহত গরু ব্যবসায়ীর নাম সবুজ মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের পাঁচভাণ্ডার এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে গরু আনার জন্য ৮-১০ জন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ভারতের ভেতর যান। এ সময় বিএসএফের চেনাকাটা ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে সবুজ মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকিরা বাংলাদেশে ফেরত আসতে সক্ষম হন।

বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীদের ওই দলে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘আমরা দশজন একসাথে ভারতে ঢুকেছিলাম। একসাথে ২০টি গরু আনার কথা ছিল। তার আগেই বিএসএফ সদস্যদের হাতে পড়ে যাই। তাঁরা ৭-৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। সবুজ গুলি লেগে মাটিতে পড়ে গেলে আমরা ফিরে আসি। পরে সবুজের লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ।’

ওই গরু ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা ভারতীয় গরুর ব্যবসা করি। শুধু ভারত থেকে গরু আনি। আমাদের মহাজন অন্য ব্যক্তি। ভারত থেকে একটি গরু আনার জন্য ৫ হাজার টাকা পাই।’

বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কামাল উদ্দিন বলেন, ‘লাশ ফেরত আনতে চেষ্টা চলছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ লাশ ফেরত দেবে। ঘটনার পর ওই সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত