
.png)

ভারতীয় নাগরিক এক বৃদ্ধার মরদেহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এনে শেষবারের মতো দেখানো হয়েছে তাঁর বাংলাদেশি স্বজনদের। শনিবার সকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর সীমান্তের শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে এ মরদেহ দেখানো হয়।

সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফের) সদস্যরা ‘অনধিকার প্রবেশ’ করে কৃষকদের ফসলরক্ষায় তৈরি বাঁশের খুঁটি উপড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদ ও ভিডিও ধারণের মুখে অবশেষে বাংলাদেশের সীমান্ত ত্যাগ করে তারা ফিরে যায়।

মেহেরপুরের গাংনী সীমান্ত দিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের ছয়জনসহ মোট ৬০ জন বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

কাজের সন্ধানে ভারতে যাওয়ার পর ওই দেশের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে ছিলেন বাংলাদেশি এই নাগরিকেরা।

পুশ ব্যাক চলছেই
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকর গ্রাম। ভাঙা ঘরের দাওয়ায় বিষণ্ন মুখে বসে আছেন বৃদ্ধ ভাদু শেখ। কপালের ভাঁজে ভাঁজে দুশ্চিন্তা—তাঁর মেয়েটি কি সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারবে? গর্ভপাত হয়ে যাবে না তো?

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পরশুরাম উপজেলার গুথুমা বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ২১৬৪/৩এস অতিক্রম করে কাঁটাতারের কাছে চলে যান মিল্লাত হোসেন ও মো. আফছার। এ সময় তাঁদের লক্ষ্য করে বিএসএফের সদস্যরা গুলি ছোড়েন।
পুশ–ইন, পুশ–ব্যাক
পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ঠিক এভাবেই হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকেরা। লাগাতার সেই আক্রমণ প্রবল হয়ে উঠেছে। এর বিরুদ্ধে সড়কে নামতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্ত এলাকায় মাছ শিকারের সময় তিন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মাঝরাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক বিওপির হরিপুর এলাকা থেকে তাঁদের নিয়ে যায়।

গত দুই মাসে আট দফায় পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ মোট ১১৬ জনকে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

সিলেট সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তবে বিভিন্ন সময়ে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল।

৬ মাসে ১৫ হত্যা
চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন বিএসএফের গুলিতে। বাকি পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ভারতীয়দের নির্যাতনে।

ঘটনার পরপরই সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

গুজরাট পুলিশ জানায়, আটককৃতদের বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোয় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইচড়া সীমান্ত দিয়ে এবার নারী ও শিশুসহ ১৪ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১০টার দিকে তাদের আটক করে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী (বিজিবি)। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করেছে তারা। এর আগে ৭ মে

সীমান্তে বাংলাদেশিদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ও মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ১৯ মে বিএসএফের গুলিতে আহত হন বাংলাদেশি তরুণ শামসুল হক। ভারতের দাবি, কেবল অপরাধীদেরই গুলি করা হচ্ছে। আসলেই কি তাই? তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানাচ্ছেন কৌরিত্র পোদ্দার তীর্থ ১৯ মে সোমবার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের

মৌলভীবাজারের দুটি উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২৯ জনকে ঠেলে পাঠিছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (৩০ মে) ভোরের দিকে দুটি উপজেলার তিনটি সীমান্ত দিয়ে তাদের ঠেলে পাঠানো হয়। পরে তাদের আটক করে বিজিবি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক