পুশ–ইন, পুশ–ব্যাক
পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ঠিক এভাবেই হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকেরা। লাগাতার সেই আক্রমণ প্রবল হয়ে উঠেছে। এর বিরুদ্ধে সড়কে নামতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্ত এলাকায় মাছ শিকারের সময় তিন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মাঝরাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক বিওপির হরিপুর এলাকা থেকে তাঁদের নিয়ে যায়।
গত দুই মাসে আট দফায় পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ মোট ১১৬ জনকে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।
সিলেট সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তবে বিভিন্ন সময়ে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল।
৬ মাসে ১৫ হত্যা
চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন বিএসএফের গুলিতে। বাকি পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ভারতীয়দের নির্যাতনে।
ঘটনার পরপরই সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
গুজরাট পুলিশ জানায়, আটককৃতদের বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোয় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইচড়া সীমান্ত দিয়ে এবার নারী ও শিশুসহ ১৪ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১০টার দিকে তাদের আটক করে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী (বিজিবি)। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করেছে তারা। এর আগে ৭ মে
সীমান্তে বাংলাদেশিদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ও মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ১৯ মে বিএসএফের গুলিতে আহত হন বাংলাদেশি তরুণ শামসুল হক। ভারতের দাবি, কেবল অপরাধীদেরই গুলি করা হচ্ছে। আসলেই কি তাই? তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানাচ্ছেন কৌরিত্র পোদ্দার তীর্থ ১৯ মে সোমবার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের
মৌলভীবাজারের দুটি উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২৯ জনকে ঠেলে পাঠিছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (৩০ মে) ভোরের দিকে দুটি উপজেলার তিনটি সীমান্ত দিয়ে তাদের ঠেলে পাঠানো হয়। পরে তাদের আটক করে বিজিবি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক
মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে দুই দিনের ব্যবধানে আবারও ৩০ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ছাড়া সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ২৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বাহিনীটি।আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে এ সব ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবি তাদের আটক করে স্থানীয়
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের ওপাশে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি দুই যুবক। এ ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁদের মরদেহ ফেরত আনাযায়নি। এত দিনেও বিএসএফ মরদেহ ফেরত না দেওয়ায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারে থামছে না শোক।
পাটগ্রাম উপজেলার দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২০ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। আজ বুধবার রাত ১২টার দিকে ১১ নারী, ২ পুরুষ ও ৭ শিশুকে ঠেলে দেয় তারা। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বৃহস্পতিবার (২২ মে) পাটগ্রাম থানায় সোপর্দ করা হয়।
পঞ্চগড়ের বড়বাড়ি সীমান্তে নারী, শিশুসহ ২১ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশইন) করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোরের দিকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৭-এর ১০ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে
আলী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতের গুজরাটে বাস করতেন। সেখান থেকে প্রথমে বিমানে, পরে বাসে গুজরাট থেকে ত্রিপুরায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার (২১ মে) রাতে হাত-চোখ বেঁধে তাঁর পরিবারের সদস্যসহ আরও অনেককে ফেনী নদীতে ছেড়ে দিলে কোনোমতে বাংলাদেশ সীমান্তে উঠে আসেন। আবার ভারত সীমান্তে ফেরত গেল