পুশ ব্যাক চলছেই
স্ট্রিম প্রতিবেদক
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকর গ্রাম। ভাঙা ঘরের দাওয়ায় বিষণ্ন মুখে বসে আছেন বৃদ্ধ ভাদু শেখ। কপালের ভাঁজে ভাঁজে দুশ্চিন্তা—তাঁর মেয়েটি কি সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারবে? গর্ভপাত হয়ে যাবে না তো?
জীবনের শেষপ্রান্তে এসে ভাদু শেখের এই দুশ্চিন্তার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী দরিদ্র মুসলমানদের বঞ্চনার ইতিহাস।
ভাদু শেখের আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে সোনালি খাতুন। গত ১৮ জুন সোনালি, তাঁর স্বামী ও সন্তানকে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তারপর চোখে কাপড় বেঁধে রাতের অন্ধকারে ঠেলে দেয় বাংলাদেশে। পুশব্যাকের পর এখন তাঁরা বাংলাদেশেই রয়েছেন।
গত কয়েক মাসে ভারতের রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষী, বিশেষত বাংলাভাষী মুসলমান পরিযায়ী শ্রমিক নিগ্রহের যেসব ঘটনা ঘটছে, এবার সেই তালিকায় উঠে এসেছে সোনালি খাতুন দম্পতির নাম।
পাইকর গ্রামে নিজের ভাঙা দাওয়ায় বসে ভাদু শেখ স্ট্রিম ও ইনস্ক্রিপ্টকে জানান, ভাগ্য ফেরাতে আর কাজের সন্ধানে আজ থেকে ৩০ বছর আগে দিল্লিতে গিয়েছিলেন তিনি। তিন দশক ধরে সেখানে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এখন বয়সের কারণে আর কাজ করতে পারেন না। তাই ফিরে এসেছেন গ্রামের বাড়িতে, বীরভূমের পাইকরে। তবে দিল্লিতেই বসবাস করছিলেন তাঁর মেয়ে সোনালি খাতুন। দিল্লিরই বাসিন্দা দানিশ শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। স্বামী-স্ত্রী থাকতেন দিল্লির রোহিনী এলাকার ২৬ নম্বর সেক্টরে।
গত ১৮ জুন দিল্লির কে এন কাটজু মার্গ থানার পুলিশ তাঁদের আটক করে। ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র দেখালেও পুলিশ তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। তারপর ভারতের মেহেদি সীমান্ত দিয়ে ‘ঘাড়ধাক্কা’ (পুশব্যাক) দেওয়া হয় বাংলাদেশে। সোনালির পরিবারের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করানোর সময় তাঁদের চোখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। বন্দুক তাক করে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, ফিরলেই গুলি করা হবে। এক কাপড়েই বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয় সোনালি খাতুন (২৫), দানিশ শেখ (২৯) আর তাঁদের আট বছরের ছেলে সাবির শেখকে।
শুধু সোনালির পরিবারই নয়, একই সঙ্গে খেদানো হয়েছে পাইকরেরই বাসিন্দা সোনালির বান্ধবী সুইটি বিবিকে (৩৩)। সুইটির স্বামী অকালপ্রয়াত। তাঁর সঙ্গে রয়েছে দুই সন্তান—১৬ বছর বয়সী কুরবান শেখ ও ৫ বছরের ইমান। এখন বীরভূমের পাইকরে সুইটির মা একা মেয়ের অপেক্ষায় দিন পার করছেন।
বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার পর সোনালির ঠাঁই হয় রাজশাহী অঞ্চলে। সেখানে স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। এরপর মেয়েকে দেশে ফেরাতে সোনালির পরিবার যোগাযোগ করে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের সঙ্গে। সোনালির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে এখন দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে এ দম্পতির। সোনালির বাবা ভাদু শেখের আশঙ্কা, বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি এভাবে দিনের পর দিন দুশ্চিন্তায়, অপুষ্টিতে ভুগে সুস্থ থাকতে পারবে তো? এভাবে চলতে থাকলে সোনালির গর্ভপাত হওয়ার ভয় পাচ্ছে তাঁর পরিবার।
স্ট্রিম ও ইনস্ক্রিপ্টকে সোনালির বাবা বলেন, ‘দিল্লিতে ৩০ বছর থেকেছি। কোনোদিন এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারিনি।’
পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের আরিফ শেখ স্ট্রিম ও ইনস্ক্রিপ্টকে জানিয়েছেন, সোনালিদের পরিবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা প্রথমে আইনি কাগজ সংগ্রহ করেন। ১৯৫২ সালের দলিল আছে সোনালির পরিবারের। স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক প্রজন্ম ধরে বীরভূমের পাইকরে বাস করছেন ভাদু শেখরা। পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্যমঞ্চের সাহায্যে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ভাদু শেখ। চেষ্টা চলছে সোনালিদের বাংলাদেশে থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার।
গেল ঈদের সময় (৬ জুন) দিল্লি থেকে বীরভূমের গ্রামের বাড়িতে এসেছিল সোনালির পরিবার। তাঁর এক সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিল তাঁরা। তখন থেকে সন্তানটি বীরভূমে ভাদু শেখের বাড়িতেই আছে। এরপর আকস্মিকভাবে সোনালির পরিবারকে পুশব্যাক করা হয়েছে বাংলাদেশে।
এখন একদিকে অন্তঃসত্ত্বা সোনালির দেশে ফেরার লড়াই, অন্যদিকে মায়ের অপেক্ষায় সীমান্তের ওপারে প্রহর গুনছে তাঁর ছোট্ট সন্তান ও পরিবারের অন্যরা।
কেন সোনালিরা বীরভূম ছেড়ে এত দূর-দূরান্তে কাজে যান? স্থানীয়রা বলছেন, গ্রামে তেমন জমি নেই। অন্যের জমিতে ভাগচাষী হিসেবে কাজ করে যে টাকাপয়সা পাওয়া যায়, তাতে সংসার চলে না। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন এক শ দিনের কাজ বন্ধ। ফলে গ্রামের পর গ্রাম খালি হয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের জন্যে গ্রামে বিঁড়ি বাঁধার কাজ আছে। এক হাজার বিঁড়ি বাঁধলে ২০০-২৫০ টাকা পাওয়া যায়। আর এক হাজার বিঁড়ি বাঁধতে সময় লাগে পাঁচ দিন। অর্থাৎ দিনে ৪০ টাকা আয়। ফলে ভদ্রভাবে বাঁচার আশায় বিপদ মাথায় পাড়ি দিতে হয় ভিনরাজ্যে।
গত কয়েক মাসে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিক নিগ্রহের ঘটনায় শোরগোল উঠেছে। এই ঘটনার আঁচ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও। তবে সব রাজনৈতিক হিসাবনিকাশের বাইরে গিয়ে দেখলে যা ধরা পড়বে তা হলো, এ রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের অর্থনৈতিক দুর্দশা এবং বাংলাভাষী মুসলমানদের নিজের দেশেই ‘বেনগরিক’ আখ্যার অপমান, এমনই বলছেন পশ্চিমবঙ্গের সচেতন বুদ্ধিজীবী সমাজ।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকর গ্রাম। ভাঙা ঘরের দাওয়ায় বিষণ্ন মুখে বসে আছেন বৃদ্ধ ভাদু শেখ। কপালের ভাঁজে ভাঁজে দুশ্চিন্তা—তাঁর মেয়েটি কি সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারবে? গর্ভপাত হয়ে যাবে না তো?
জীবনের শেষপ্রান্তে এসে ভাদু শেখের এই দুশ্চিন্তার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী দরিদ্র মুসলমানদের বঞ্চনার ইতিহাস।
ভাদু শেখের আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে সোনালি খাতুন। গত ১৮ জুন সোনালি, তাঁর স্বামী ও সন্তানকে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তারপর চোখে কাপড় বেঁধে রাতের অন্ধকারে ঠেলে দেয় বাংলাদেশে। পুশব্যাকের পর এখন তাঁরা বাংলাদেশেই রয়েছেন।
গত কয়েক মাসে ভারতের রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষী, বিশেষত বাংলাভাষী মুসলমান পরিযায়ী শ্রমিক নিগ্রহের যেসব ঘটনা ঘটছে, এবার সেই তালিকায় উঠে এসেছে সোনালি খাতুন দম্পতির নাম।
পাইকর গ্রামে নিজের ভাঙা দাওয়ায় বসে ভাদু শেখ স্ট্রিম ও ইনস্ক্রিপ্টকে জানান, ভাগ্য ফেরাতে আর কাজের সন্ধানে আজ থেকে ৩০ বছর আগে দিল্লিতে গিয়েছিলেন তিনি। তিন দশক ধরে সেখানে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এখন বয়সের কারণে আর কাজ করতে পারেন না। তাই ফিরে এসেছেন গ্রামের বাড়িতে, বীরভূমের পাইকরে। তবে দিল্লিতেই বসবাস করছিলেন তাঁর মেয়ে সোনালি খাতুন। দিল্লিরই বাসিন্দা দানিশ শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। স্বামী-স্ত্রী থাকতেন দিল্লির রোহিনী এলাকার ২৬ নম্বর সেক্টরে।
গত ১৮ জুন দিল্লির কে এন কাটজু মার্গ থানার পুলিশ তাঁদের আটক করে। ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র দেখালেও পুলিশ তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। তারপর ভারতের মেহেদি সীমান্ত দিয়ে ‘ঘাড়ধাক্কা’ (পুশব্যাক) দেওয়া হয় বাংলাদেশে। সোনালির পরিবারের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করানোর সময় তাঁদের চোখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। বন্দুক তাক করে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, ফিরলেই গুলি করা হবে। এক কাপড়েই বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয় সোনালি খাতুন (২৫), দানিশ শেখ (২৯) আর তাঁদের আট বছরের ছেলে সাবির শেখকে।
শুধু সোনালির পরিবারই নয়, একই সঙ্গে খেদানো হয়েছে পাইকরেরই বাসিন্দা সোনালির বান্ধবী সুইটি বিবিকে (৩৩)। সুইটির স্বামী অকালপ্রয়াত। তাঁর সঙ্গে রয়েছে দুই সন্তান—১৬ বছর বয়সী কুরবান শেখ ও ৫ বছরের ইমান। এখন বীরভূমের পাইকরে সুইটির মা একা মেয়ের অপেক্ষায় দিন পার করছেন।
বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার পর সোনালির ঠাঁই হয় রাজশাহী অঞ্চলে। সেখানে স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। এরপর মেয়েকে দেশে ফেরাতে সোনালির পরিবার যোগাযোগ করে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের সঙ্গে। সোনালির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে এখন দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে এ দম্পতির। সোনালির বাবা ভাদু শেখের আশঙ্কা, বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি এভাবে দিনের পর দিন দুশ্চিন্তায়, অপুষ্টিতে ভুগে সুস্থ থাকতে পারবে তো? এভাবে চলতে থাকলে সোনালির গর্ভপাত হওয়ার ভয় পাচ্ছে তাঁর পরিবার।
স্ট্রিম ও ইনস্ক্রিপ্টকে সোনালির বাবা বলেন, ‘দিল্লিতে ৩০ বছর থেকেছি। কোনোদিন এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারিনি।’
পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের আরিফ শেখ স্ট্রিম ও ইনস্ক্রিপ্টকে জানিয়েছেন, সোনালিদের পরিবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা প্রথমে আইনি কাগজ সংগ্রহ করেন। ১৯৫২ সালের দলিল আছে সোনালির পরিবারের। স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক প্রজন্ম ধরে বীরভূমের পাইকরে বাস করছেন ভাদু শেখরা। পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্যমঞ্চের সাহায্যে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ভাদু শেখ। চেষ্টা চলছে সোনালিদের বাংলাদেশে থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার।
গেল ঈদের সময় (৬ জুন) দিল্লি থেকে বীরভূমের গ্রামের বাড়িতে এসেছিল সোনালির পরিবার। তাঁর এক সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিল তাঁরা। তখন থেকে সন্তানটি বীরভূমে ভাদু শেখের বাড়িতেই আছে। এরপর আকস্মিকভাবে সোনালির পরিবারকে পুশব্যাক করা হয়েছে বাংলাদেশে।
এখন একদিকে অন্তঃসত্ত্বা সোনালির দেশে ফেরার লড়াই, অন্যদিকে মায়ের অপেক্ষায় সীমান্তের ওপারে প্রহর গুনছে তাঁর ছোট্ট সন্তান ও পরিবারের অন্যরা।
কেন সোনালিরা বীরভূম ছেড়ে এত দূর-দূরান্তে কাজে যান? স্থানীয়রা বলছেন, গ্রামে তেমন জমি নেই। অন্যের জমিতে ভাগচাষী হিসেবে কাজ করে যে টাকাপয়সা পাওয়া যায়, তাতে সংসার চলে না। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন এক শ দিনের কাজ বন্ধ। ফলে গ্রামের পর গ্রাম খালি হয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের জন্যে গ্রামে বিঁড়ি বাঁধার কাজ আছে। এক হাজার বিঁড়ি বাঁধলে ২০০-২৫০ টাকা পাওয়া যায়। আর এক হাজার বিঁড়ি বাঁধতে সময় লাগে পাঁচ দিন। অর্থাৎ দিনে ৪০ টাকা আয়। ফলে ভদ্রভাবে বাঁচার আশায় বিপদ মাথায় পাড়ি দিতে হয় ভিনরাজ্যে।
গত কয়েক মাসে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিক নিগ্রহের ঘটনায় শোরগোল উঠেছে। এই ঘটনার আঁচ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও। তবে সব রাজনৈতিক হিসাবনিকাশের বাইরে গিয়ে দেখলে যা ধরা পড়বে তা হলো, এ রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের অর্থনৈতিক দুর্দশা এবং বাংলাভাষী মুসলমানদের নিজের দেশেই ‘বেনগরিক’ আখ্যার অপমান, এমনই বলছেন পশ্চিমবঙ্গের সচেতন বুদ্ধিজীবী সমাজ।
টিকটক হইল এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম। সোশ্যাল মিডিয়ার এই ভার্শনটা এমন যে আপনি দুইটা ট্যাপ দিলেই একটা ভিডিও বানায়া আপলোড করতে পারবেন। ক্যামেরা, এডিটিং, মিউজিক, ট্রেন্ডি সাউন্ড সব এক জায়গায়।
১ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দীর্ঘ দিনের স্বৈরশাসন ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন ঘটায়নি, বরং অনেক ক্ষেত্রে সমাজের রাজনৈতিক কাঠামো, শাসন ব্যবস্থা ও মানুষের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের দৃষ্টিকোণও বদলে দিয়েছে।
১ দিন আগেফেনীতে নারী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার সূচনা হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ‘কোটা পূর্ণবহাল চলবে না’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে অনেকেই প্রথমবার মতামত জানান। সরাসরি অংশ নিতে ইচ্ছুকদের যুক্ত করা হয় একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে। সেখান থেকেই শুরু রাজপথে সক্রিয়তা।
১ দিন আগে২ আগস্ট ঢাকার গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। এতে দেশের সব সংবাদমাধ্যমই খবরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই গুলিস্তান নামটি উল্লেখ করেছে। কিন্তু ঢাকার প্রশাসনিক কাঠামোয় গুলিস্তান নামে কিছু নেই!
৫ দিন আগে