ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের সময় ঘনিয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু দ্বিপাক্ষিক নয়, বহুপাক্ষিক কূটনীতি, আইনি পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়েই গঙ্গা-পদ্মার পানি নিয়ে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতি, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামসহ বিভিন্ন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয়কে ‘ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক ইঙ্গিত’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় কংগ্রেস দলের এমপি শশী থারুর।
একসময় ভারতের কাছে বাংলাদেশ ছিল কেবল কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক অংশীদার। কিন্তু সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লি সর্বত্র নির্বাচনী কৌশলের কেন্দ্রে চলে এসেছে।
গত ২৩ আগস্ট পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকায় সফর করেন। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের সাম্প্রতিক এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে ইসলামাবাদ ‘ঐতিহাসিক’ ও ‘একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে বর্ণনা করে। ২০১২ সালের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ।
কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের কয়েকজন গবেষক ‘দেশভাগ’কে ‘পার্টিশন’ হিসেবে দেখছেন। কেন তাঁরা এভাবে দেখতে চান? ভারতীয় ইতিহাসবিদদের বয়ানে এতকাল যা ছিল ‘দেশভাগ’, পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে তা কি আসলে দেশভাগ, নাকি এতে প্রাপ্তিও আছে?
পুশ ব্যাক চলছেই
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকর গ্রাম। ভাঙা ঘরের দাওয়ায় বিষণ্ন মুখে বসে আছেন বৃদ্ধ ভাদু শেখ। কপালের ভাঁজে ভাঁজে দুশ্চিন্তা—তাঁর মেয়েটি কি সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারবে? গর্ভপাত হয়ে যাবে না তো?
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন
ভারত সরকারের দাবি, তাঁরা অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দিচ্ছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি, এদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর ভারতীয় নাগরিক।
পুশ–ইন, পুশ–ব্যাক
পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ঠিক এভাবেই হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকেরা। লাগাতার সেই আক্রমণ প্রবল হয়ে উঠেছে। এর বিরুদ্ধে সড়কে নামতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
সিলেট সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তবে বিভিন্ন সময়ে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল।
গুজরাট পুলিশ জানায়, আটককৃতদের বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোয় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।
বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে হাজার হাজার মানুষকে (যাদের বেশির ভাগই মুসলমান) ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাদের অনেককেই যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ‘ঠেলে পাঠিয়েছে’ তারা।
পটপরিবর্তনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রকল্প নতুন করে পর্যালোচনা শুরু করে। শেষমেশ নেপালে নির্মাণাধীন ভারতীয় কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি সঞ্চালন লাইন স্থাপনের পরিকল্পনা থেকেও সরে আসছে সরকার।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। গত শুক্রবার (১৭ মে) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনার ফলে বাংলাদেশের