leadT1ad

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা ভারতকে কী বার্তা দিচ্ছে

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক সবসময়ই টানাপড়েনের মধ্যে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দুই দেশ দ্রুত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেছে। এই ঘনিষ্ঠতা ভারতের কৌশলগত অবস্থানের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এবং আঞ্চলিক ভারসাম্যে এই কী প্রভাব ফেলতে পারে?

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ৫৯
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১০: ০৩
ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক

গত ২৩ আগস্ট পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকা সফর করেছেন। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের সাম্প্রতিক এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে ইসলামাবাদ ‘ঐতিহাসিক’ ও ‘তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ২০১২ সালের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের এই পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে ‘অপ্রত্যাশিত’পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশের। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সব সময়ই একধরনের টানাপোড়েন ছিল। কিন্তু বর্তমানে দুই দেশই দ্রুত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চেষ্টা করছে। এই কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন পাকিস্তান ও চীনের সাম্প্রতিক নৈকট্যের কারণে ভারত কৌশলগত চাপে রয়েছে। এতদিন নয়াদিল্লি চীন-পাকিস্তান সম্পর্কের দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়ে আসছিল। কিন্তু, ঢাকা-ইসলামাবাদের দ্রুত ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিন ধরে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন জটিলতা তৈরি করছে বলে ধারণা অনেকের।

এই পরিবর্তন কেবল আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্যকেই প্রতিফলিত করছে না। এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির পুনর্নির্ধারণের বিষয়কেও সামনে আনছে। ভারত থেকে দূরত্ব বজায় রেখে বাংলাদেশ যখন নতুন অংশীদারত্ব খুঁজছে, তখন ইসলামাবাদ এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নতুনভাবে ইতিহাস লিখতে চাইছে। এই অংশীদারত্ব দক্ষিণ এশিয়ার ভারসাম্যে ও ভারতের কৌশলগত অবস্থানে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে বিশেষ বই উপহার দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে বিশেষ বই উপহার দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন মোড়

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন শেখ হাসিনা। এক দশকের বেশি সময় ধরে হাসিনার সরকার নয়াদিল্লির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এ সম্পর্ক আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন। অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার বৈদেশিক নীতিতে নতুন সূচনার প্রতিশ্রুতি দেয়। নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে প্রথম দিকেই এগিয়ে আসে পাকিস্তান।

খুব দ্রুত এই সম্পর্ক গভীর হয়। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে দু’বার বৈঠক করেন। পাশাপাশি ঢাকায় পাকিস্তানি কূটনীতিকরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। দুই দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন করে চালু করে। সমুদ্রপথে যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। প্রযুক্তি, ওষুধ, খাদ্য ও নির্মাণসামগ্রীতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা নতুন মাত্রা পায়।

সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাকিস্তানের গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খানের ঢাকা কনসার্ট ছিল সফট পাওয়ারের প্রতীকী দৃষ্টান্ত। এমনকি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো করাচি ও গওয়াদর থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে পণ্য খালাস করে। এই ঘটনা সম্পর্কের বরফ ভাঙার প্রতীকী ও বাস্তব উভয় দিকেই গুরুত্ব বহন করে।

তবে ভারতের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস.এম. কামরুল হাসান ইসলামাবাদে পাকিস্তানের বিমান প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দুর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে পারস্পরিক কৌশলগত স্বার্থ, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয় আলোচিত হয়। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা যৌথ প্রশিক্ষণ, মহড়া ও সম্ভাব্য অস্ত্র সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। চীন-পাকিস্তানের যৌথভাবে নির্মিত জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। এ ঘটনা পশ্চিমা ও রুশ সরবরাহকারীদের পরিবর্তে ভারতবিরোধী আঞ্চলিক অংশীদারদের দিকে ঝোঁকার ইঙ্গিত বহন করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান পাকিস্তান সফর করেন। এসময় তিনি দেশটির সেনাবাহিনীর জেনারেল আসিম মুনির, জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা ও পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ২০১০ সালের পর একই মাসে প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি)। এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

পর্দার আড়ালে চীনের ভূমিকা

এই পরিস্থিতির পেছনে চীনের প্রভাবশালী ভূমিকা রয়েছে। ইতিমধ্যে বেইজিং আবির্ভূত হয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে। ঢাকাকে ইসলামাবাদের কাছাকাছি নিয়ে আসা ও পরোক্ষভাবে নয়াদিল্লির আঞ্চলিক প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে এই ত্রিপাক্ষিক সমীকরণকে ভিত্তি করেছে চীন। আনুষ্ঠানিক জোটে রূপ না নিলেও তিন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ১৯ জুন কুনমিং-এ অনুষ্ঠিত বৈঠকটি স্পষ্টভাবে যৌথ কৌশলগত স্বার্থের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ভারতের যত শঙ্কা

পশ্চিমে পাকিস্তান, উত্তরে চীন ও পূর্বে বাংলাদেশ—ভারতকে শিগগিরই চারদিক থেকে চাপের মুখে পড়তে হতে পারে। ভারতের সবচেয়ে তাত্ক্ষণিক উদ্বেগ হলো এই কৌশলগত ঘেরাও।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল (আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল) কৌশলগত কারণে খুবই স্পর্শকাতর এলাকা। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলায় ভারতের আশঙ্কা—পাকিস্তান বা চীন চাইলে এই অসন্তোষকে কাজে লাগাতে পারে।

গত কয়েক বছর ধরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে শেখ হাসিনা সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা ছিল। সেই স্থিতিশীলতা এখন হুমকির মুখে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আবার অনুপ্রবেশ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে সমর্থনের আশঙ্কা তৈরি করছে।

ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রিয়জিৎ দেব সরকারের মতে, বিগত বহু দশক ধরে পাকিস্তানের ঘোষিত নীতিই হলো—যত পারো ধারালো আঘাত করে ভারতকে রক্তাক্ত করো। ভারত মনে করে মুম্বাই, উরি, পুলওয়ামা বা পেহেলগাম হামলা পাকিস্তানের সেই নীতিরই প্রতিফলন। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে তাদের সে চেষ্টা অব্যাহতভাবেই চলছে বলে মনে করে ভারত। এখন বাংলাদেশের দিক থেকে ভারতের পূর্ব সীমান্তেও যদিই একই কাজ করা যায় তাহলে পাকিস্তানের লাভ ছাড়া ক্ষতির কিছু নেই।

১৯ জুন চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। ছবি: ইউএনবি
১৯ জুন চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। ছবি: ইউএনবি

চট্টগ্রাম ও সিলেটে চীনের ক্রমবর্ধমান অবকাঠামো বিনিয়োগ ভারতের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বাংলাদেশের বন্দর ও লজিস্টিক নেটওয়ার্ক যদি চীন ও পাকিস্তানের প্রভাবাধীন হয়, তবে বঙ্গোপসাগরে ভারতের শক্তি প্রদর্শনের ক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যাবে। তাছাড়া ঢাকা, ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক নিরাপত্তা সমঝোতা ভারতের অবস্থানকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।

ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান পর্যন্ত গত জুনে এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন যে, চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা স্বার্থের ক্ষেত্রে এক ধরনের ‘অভিন্নতা’ দেখা যাচ্ছে। এটি ভারতের জন্য এর প্রভাব হতে পারে সুদূরপ্রসারী।

সবমিলিয়ে ভারতের এই বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়েছে যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা আগাগোড়াই ভারতের স্বার্থবিরোধী হতে যাচ্ছে।

ভারত কি তবে ভুল পদক্ষেপ নিয়েছিল

এই সমস্যার আংশিক শিকড় পাওয়া যাবে ভারতের নিজের কূটনৈতিক ব্যর্থতায়। গত দশকে নয়াদিল্লি বাংলাদেশে প্রায় সম্পূর্ণভাবে শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করে একধরনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক কূটনীতি অনুসরণ করেছে। এ সম্পর্ক বাণিজ্য ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে স্বল্পমেয়াদি লাভ এনে দিলেও দীর্ঘমেয়াদে ভারতের জন্য বিপজ্জনক দুর্বলতা তৈরি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রাজনীতি বিশেষজ্ঞ আলী রীয়াজের মতে, ‘ভারত খুবই সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে হাসিনা ও তার দলের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশে কাজ করেছে। তাঁরা রাষ্ট্র-রাষ্ট্র সম্পর্ক গড়েনি। ফলে ভারত এখন তাদের নিজেদের তৈরি এক জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে।’

হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতের প্রভাব দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। বারবার শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন করে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের তীব্র ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে। যা আদতে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ভারতের প্রভাব কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এই কূটনৈতিক ভুলের সুযোগ নিয়েছে পাকিস্তান ও চীন।

সামনে কী অপেক্ষা করছে

২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে যদি খালেদা জিয়ার বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে ইসলামাবাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হতে পারে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতে সক্রিয় থাকার লক্ষ্যে পাকিস্তান ইতোমধ্যেই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে।

বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ৬০-এর দশকের মতো চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সম্মিলিত পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে পারে ভারত। যদিও বাংলাদেশ দাবি করেছে যে তারা জোটে আগ্রহী নয়। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে নৌ-মহড়ায় অংশ নেওয়া ও যৌথভাবে তৈরি যুদ্ধবিমান কেনার আগ্রহ কৌশলগত দিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে। নয়াদিল্লির জন্য চ্যালেঞ্জ কেবল বাইরের নয়, ভেতরেরও। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ ও অনুপ্রবেশের মতো পরোক্ষ হুমকি ফিরে আসতে পারে।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন এসব অগ্রগতি কেবল কূটনৈতিক সমন্বয় নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে। ঢাকায় প্রভাব হারানোর পাশাপাশি এটি ভারতের জন্য কৌশলগত এক নতুন চ্যালেঞ্জ। প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করা, অভ্যন্তরীণ অগ্রাধিকার থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার মতো ফল বয়ে নিয়ে আসতে পারে এই চ্যালেঞ্জ। উল্টে দিতে পারে গত কয়েক দশকে এই অঞ্চলে অর্জিত ভারতের সাফল্যকে।

(ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রলে প্রকাশিত সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘাত গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক অশোক সোয়েনের মতামত এবং দ্য ডিপ্লোম্যাট, বিবিসি ও ডনের প্রতিবেদন অবলম্বনে লিখেছেন তুফায়েল আহমদ)

Ad 300x250

জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছাবে, আশা সিইসির

ডাকসু নির্বাচন: সিএমপি ফাইল দায়েরের পর কাল শুনানি

যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়: ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত

একটি রিট ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যত কাণ্ড

নোয়াখালীতে অভিযানে হামলা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর

সম্পর্কিত