leadT1ad

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

জোহরান মামদানি। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এপি। সংবাদ সংস্থাটির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে পরাজিত করে তিনি শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র হচ্ছেন। খবর আল জাজিরা।

মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর এই জয়কে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। এনবিসি নিউজও এপির পরপরই মামদানির জয় ঘোষণা করেছে।

নিউইয়র্ক থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক ক্রিস্টেন সালুমি জানিয়েছেন, মামদানি তরুণ ভোটারদের বিশেষভাবে উজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর নির্বাচনী প্রচারে শহরটিকে সাশ্রয়ী ও বাসযোগ্য করে তোলার প্রতিশ্রুতি প্রাধান্য পেয়েছে—যে লক্ষ্য জাতীয় পর্যায়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অর্জন করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বিভিন্ন ডেমোক্র্যাটিক শহরে ন্যাশনাল গার্ড ও অভিবাসন পুলিশ পাঠাচ্ছেন, তখন এই নির্বাচনের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।

মামদানির প্রচার শিবির জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রচার–সচিব ডোরা পেকেক বলেছেন, ‘আজকের ফলাফল এক বছরের আন্দোলনের ফসল। আমরা নতুন মানুষদের রাজনীতির প্রক্রিয়ায় এনেছি।’

অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া পরাজয় স্বীকার করে মামদানিকে অভিনন্দন জানালেও সতর্ক করে বলেছেন, যদি তিনি সমাজতান্ত্রিক নীতি প্রয়োগে এগিয়ে যান, তবে তাঁর সমর্থকেরা সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

এ নির্বাচনের আগে সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই শহর সমাজতান্ত্রিক নয়। এটি এমন একটি শহর, যেখানে একজন বাসন মাজার কর্মীও একদিন মেয়র হতে পারে, যদি সে পরিশ্রম করে।’ অ্যাডামস নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে এসে কুয়োমোকে সমর্থন দিয়েছিলেন।

নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশনস জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি দুই মিলিয়ন ছাড়িয়েছে, যা ১৯৮৯ সালের পর প্রথমবারের মতো।

মামদানির জয়ের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ইতিহাস রচিত হয়েছে—তিনি শুধু নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নন, বরং দেশের প্রগতিশীল রাজনীতির নতুন মুখ হিসেবেও উঠে এসেছেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত