leadT1ad

যুবদল নেতাকে খুনের পর রিকশা চালাতে দেরি করায় চালককেও গুলি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

পল্লবীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সংগৃহীত ছবি

রাজধানী পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে দুর্বৃত্তের গুলিতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় রিকশা চালাতে দেরি করায় চালককেও গুলি করে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার স্ট্রিমকে জানান, নিহত গোলাম কিবরিয়া যুবদল নেতা।

গণমাধ্যমকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক জানিয়েছেন, গোলাম কিবরিয়া পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন। তাঁর শরীরে ৯টি গুলি লেগেছে বলেও জানান তিনি।

গোলাম কিবরিয়ার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মিরপুর সাড়ে ১১-তে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এদিকে যুবদলের ওই নেতা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর একই এলাকার আরিফ নামে এক রিকশাচালকের কোমরে গুলি করে দুই দুর্বৃত্ত।

পল্লবী জোনের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গোলাম কিবরিয়াকে যাঁরা গুলি করেছেন, পালানোর সময় তাঁরাই রিকশাচালককে গুলি করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ আরিফ সাংবাদিকদের জানান, রিকশা চালাতে দেরি করায় দুই দুর্বৃত্ত তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

আরিফ আরও জানান, পল্লবীর সি- ব্লক ও বি- ব্লকের মাঝামাঝি মোড়ে হেলমেট পরা দুই যুবক দৌড়ে এসে তাঁর রিকশায় ওঠেন। তাঁর কোমরে পিস্তল ঠেকিয়ে রিকশা চালাতে বলেন। চালাতে একটু দেরি হওয়ায় তাঁরা আরিফের কোমরে গুলি করেন।

আশেপাশের লোকজন আরিফকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে রাত পৌনে ৯টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক জানান, বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ডিসি মাকসুদুর রহমান স্ট্রিমকে বলেন, 'যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা এলোপাতারি গুলি করে। এ সময় আরেকজন গুলিবৃদ্ধ হন। গুলির ঘটনায় সরাসরি জড়িত জনি নামে একজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। জনির সঙ্গে আর কে কে ছিল, তারা কী কারণে হত্যা করেছেন, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।'

এদিকে গোলাম কিবরিয়ার মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এখনো ঘটনাস্থলে পুলিশের কর্মকর্তারা রয়েছেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত