.png)
ক্যালেন্ডারের পাতায় গতকাল ছিল ১৭ নভেম্বর। এক বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে এই দিনটি ‘আনফ্রেন্ড ডে’। আপনি কতজনকে আনফ্রেন্ড বা মোস্তফা জব্বারের ভাষায় ‘অবন্ধু’ করলেন?

অমিত বাপি বিশ্বাস

গতকাল ছিল আনফ্রেন্ড দিবস। কারও কাছে এটা বার্ষিক পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মতো। ফেসবুকীয় পরিভাষায় এর নাম ‘ন্যাশনাল আনফ্রেন্ড ডে’ বা জাতীয় আনফ্রেন্ড দিবস। প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ এলে কিছু মানুষের আঙুল বড্ড নিশপিশ করে। মাউসের কার্সরটা ‘আনফ্রেন্ড’ বাটনটার ওপর কাঁপতে থাকে। বুকটা একটু ধড়ফড় করে। মনে হয়, এই বুঝি মাইনফিল্ডে পা দিলাম!
সত্যি বলতে এই যে এতগুলো বছর ধরে আমরা ‘ফ্রেন্ডলিস্ট’ নামক একটা ডিজিটাল চিড়িয়াখানা পুষছি, এর একটা বিহিত হওয়া দরকার ছিল। এজন্য আমেরিকান কমেডিয়ান জিমি কিমেলকে ধন্যবাদ দেওয়া যেতে পারে। ২০১০ সালে তিনিই প্রথম এই দিবসের ডাক দেন। তার যুক্তি ছিল সোজাসাপ্টা। আপনার লিস্টে যে পাঁচ হাজার ‘বন্ধু’ আছে, তাঁদের মধ্যে কয়জনকে আপনি সত্যি সত্যি চেনেন? কয়জনের বিপদে আপনি দৌড়ে যাবেন (বা সে আপনার বিপদে আসবে)?
জিমি কিমেলের সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিশ্বজুড়ে (আসলে ফেসবুকজুড়ে) কিছু মানুষ পালন করে এই ছাঁটাই অভিযান। আপনিও কি সাড়া দিয়েছিলেন জিমি কিমেলের ডাকে? কতজনকে আনফ্রেন্ড বা মোস্তফা জব্বারের ভাষায় ‘অবন্ধু’ করলেন?
আমি করেছি। কাকে?

ভদ্রলোকের নামধাম উল্লেখ করে তাঁকে আর বিব্রত করছি না। তাঁর কাজ হলো প্রতিদিন সকালে উঠে ফুলের ছবি দিয়ে লেখা, ‘শুভ সকাল, বন্ধুরা। দিনটি সবার ভালো কাটুক।’ প্রথম প্রথম ভালোই লাগত। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে তিনি একটানা এই রুটিন মেনে চলছেন। আমার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, তিনি কি মানুষ নাকি কোনো বট? আর মনে হয় বন্ধুটি কি ফেসবুকের পাবলিক পেজগুলোর কমেন্টবক্সে ’১০ সেকেন্ড ব্যাক টু ব্যাক ফলো’ লিখে কমেন্ট করে?
আরেকজন ফেসবুক ফ্রেন্ডের কথা বলি। প্রতি ঘণ্টায় নিজের ছবি পোস্ট করেন, দিনে ১০১টা পোস্ট শেয়ার দেন। যেখানে সেখানে পথে-প্রান্তরে ফেসবুক লাইভ করেন, ‘হ্যাল্লো গাইজ, আমি অমুক একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আমাকে সাপোর্ট করুন।’ আমরা কি এসব দেখার জন্য ফেসবুকে এসেছিলাম?
জিমি কিমেল যখন এই দিবসের ডাক দেন, তখন ফেসবুক ছিল আজকের তুলনায় অনেক সরল। মানুষ তখন একে অপরকে ‘পোক’ করে বিরক্ত করত। এখন মানুষ বিরক্ত করে অনবরত মিম আর রিলস সেন্ড করে, পলিটিক্যাল স্ট্যাটাস, ভুয়া খবর আর অপ্রাসঙ্গিক তর্কে ট্যাগ করে।
সংস্কৃতিটা বদলে গেছে। আগে ‘আনফ্রেন্ড’ করাকে ভাবা হতো চরম অভদ্রতা, সম্পর্কচ্ছেদের ডিজিটাল ঘোষণা। আর এখন? এখন এটা নিতান্তই ‘টাইমলাইন হাইজিন’ বা নিউজফিড পরিচ্ছন্ন রাখার একটা প্রক্রিয়া।
বিশেষজ্ঞরা (যারা মূলত চায়ের দোকানে বসে ফেসবুক নিয়েই গবেষণা করেন) বলছেন, আনফ্রেন্ড করাটা এখন এক ধরনের ‘প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ’ আচরণ। আপনি কাউকে সরাসরি বলতে পারছেন না যে, ‘ভাই, আপনার পোস্ট আমার আর সহ্য হচ্ছে না।’ তাই আপনি নীরবে, নিভৃতে তাকে আপনার ডিজিটাল জীবন থেকে বিদায় দিচ্ছেন।
মজার ব্যাপার হলো, আনফ্রেন্ড করার পর একটা অদ্ভুত শান্তি কাজ করে। যেন কাঁধ থেকে মস্ত বড় একটা বোঝা নেমে গেল। মনোবিজ্ঞানীরা একে বলছেন ‘ডিজিটাল ডিটক্স’-এর প্রথম ধাপ। বর্তমানে বিভিন্ন মিমস আর রিলসেও এই ‘আনফ্রেন্ড’ কালচারের স্যাটায়ারিস্টিক নির্দশন পাওয়া যায়। প্রাসঙ্গিক দুটো কৌতুক এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে।
ক.
চাকরির ইন্টারভিউ
নিয়োগ বোর্ড: আপনার বিশেষ কোনো দক্ষতা থাকলে বলুন।
চাকরীপ্রার্থী: স্যার, আমি খুব দ্রুত টাইপ করতে পারি। আর গত আনফ্রেন্ড দিবসে এক বসায় প্রায় আট শ জনকে লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছি। আমার ফোকাস খুব শার্প।
খ.
বল্টুর কৌতুক
শিক্ষক: বল্টু, বল তো ‘বন্ধুত্ব’ আর ‘ফেসবুক বন্ধুত্ব’-এর মধ্যে পার্থক্য কী?
বল্টু: স্যার, বন্ধুত্বে বিপদে পাশে দাঁড়াতে হয়। আর ফেসবুক বন্ধুত্বে শুধু লাইক, কমেন্ট আর জন্মদিনে ‘HBD’ লিখলেই চলে। আর বেশি বিরক্ত করলে আনফ্রেন্ড করে দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়।
এগুলো পড়ে হাসি আসলো না? সমস্যা নেই। হাসি পাওয়ানোর জন্য কৌতুক দুইটা বলিনি। আমাদের সামাজিক সম্পর্কের ঠুনকো দিকটাকেই বলার চেষ্টা করলাম। যে সম্পর্ক এক ক্লিকে তৈরি হয়, তা ভাঙতেও এক ক্লিকের বেশি লাগে না।
অনেক আমেরিকানদের জন্য এটা অনেকটা ‘থ্যাঙ্কসগিভিং’-এর ডিজিটাল সংস্করণ। ‘আনফ্রেন্ড ডে’-তে কেউ কেউ কফির মগ হাতে ল্যাপটপের সামনে বসে অপ্রয়োজনীয় বন্ধুদের তালিকা থেকে বাদ দেয় এবং নিউজফিড পরিচ্ছন্ন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
ইউরোপের কেউ কেউ এই দিনটিকে আরও বেশি প্রতীকীরূপে পালন করেন। ফরাসিরা হয়তো এটাকে ‘Liberté, Égalité, Fraternité’ (স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব)—এর ডিজিটাল রূপ বলে মনে করে। ‘ফ্রেন্ডলিস্ট’ থেকে মুক্তি পাওয়াটা তাঁদের কাছে এক ধরনের ‘স্বাধীনতা’।
তবে এই দিনটি নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। কেউ কেউ বলেন, এটা একপ্রকার অসামাজিকতা। এটা মানুষের মধ্যে বিভেদ বাড়ায়। এর জবাবে জিমি কিমেল হয়তো বলতেন, ‘যার সঙ্গে আপনার বছরে একবারও কথা হয় না, তাঁকে লিস্টে রেখে কীসের সামাজিকতা রক্ষা করছেন আপনি?’
দিনশেষে আনফ্রেন্ড ডে একটা প্রতীকী দিন মাত্র। এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ভার্চুয়াল জীবনে ‘কোয়ান্টিটির’ চেয়ে ‘কোয়ালিটির’ গুরুত্ব বেশি। পাঁচ হাজার ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ থাকার চেয়ে পাঁচজন সত্যিকারের বন্ধু থাকা অনেক বেশি স্বস্তির।
তবে একটা ঝুঁকিও আছে। আজ যাকে আপনি ‘অপ্রয়োজনীয়’ ভেবে আনফ্রেন্ড করছেন, কাল হয়তো কোনো বিপদে পড়ে তার কাছেই মেসেজ পাঠাতে হতে পারে, ‘ভাই, একটা হেল্প লাগবে।’
তাই আনফ্রেন্ড করার আগে দুবার ভাবুন। সত্যিই কি তাকে আপনার জীবনে (বা টাইমলাইনে) প্রয়োজন নেই? যদি উত্তর ‘না’ হয়, তবে আর দেরি কেন? মাউসের ক্লিকে মুক্তি আনুন।
তবে সাবধান! যাকে আনফ্রেন্ড করছেন, সে যদি আপনার অফিসের বস বা জীবনসঙ্গীর নিকটাত্মীয় হয়, তবে সেই ক্লিকের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ‘আনফলো’ বাটন তো আছেই।

গতকাল ছিল আনফ্রেন্ড দিবস। কারও কাছে এটা বার্ষিক পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মতো। ফেসবুকীয় পরিভাষায় এর নাম ‘ন্যাশনাল আনফ্রেন্ড ডে’ বা জাতীয় আনফ্রেন্ড দিবস। প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ এলে কিছু মানুষের আঙুল বড্ড নিশপিশ করে। মাউসের কার্সরটা ‘আনফ্রেন্ড’ বাটনটার ওপর কাঁপতে থাকে। বুকটা একটু ধড়ফড় করে। মনে হয়, এই বুঝি মাইনফিল্ডে পা দিলাম!
সত্যি বলতে এই যে এতগুলো বছর ধরে আমরা ‘ফ্রেন্ডলিস্ট’ নামক একটা ডিজিটাল চিড়িয়াখানা পুষছি, এর একটা বিহিত হওয়া দরকার ছিল। এজন্য আমেরিকান কমেডিয়ান জিমি কিমেলকে ধন্যবাদ দেওয়া যেতে পারে। ২০১০ সালে তিনিই প্রথম এই দিবসের ডাক দেন। তার যুক্তি ছিল সোজাসাপ্টা। আপনার লিস্টে যে পাঁচ হাজার ‘বন্ধু’ আছে, তাঁদের মধ্যে কয়জনকে আপনি সত্যি সত্যি চেনেন? কয়জনের বিপদে আপনি দৌড়ে যাবেন (বা সে আপনার বিপদে আসবে)?
জিমি কিমেলের সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিশ্বজুড়ে (আসলে ফেসবুকজুড়ে) কিছু মানুষ পালন করে এই ছাঁটাই অভিযান। আপনিও কি সাড়া দিয়েছিলেন জিমি কিমেলের ডাকে? কতজনকে আনফ্রেন্ড বা মোস্তফা জব্বারের ভাষায় ‘অবন্ধু’ করলেন?
আমি করেছি। কাকে?

ভদ্রলোকের নামধাম উল্লেখ করে তাঁকে আর বিব্রত করছি না। তাঁর কাজ হলো প্রতিদিন সকালে উঠে ফুলের ছবি দিয়ে লেখা, ‘শুভ সকাল, বন্ধুরা। দিনটি সবার ভালো কাটুক।’ প্রথম প্রথম ভালোই লাগত। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে তিনি একটানা এই রুটিন মেনে চলছেন। আমার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, তিনি কি মানুষ নাকি কোনো বট? আর মনে হয় বন্ধুটি কি ফেসবুকের পাবলিক পেজগুলোর কমেন্টবক্সে ’১০ সেকেন্ড ব্যাক টু ব্যাক ফলো’ লিখে কমেন্ট করে?
আরেকজন ফেসবুক ফ্রেন্ডের কথা বলি। প্রতি ঘণ্টায় নিজের ছবি পোস্ট করেন, দিনে ১০১টা পোস্ট শেয়ার দেন। যেখানে সেখানে পথে-প্রান্তরে ফেসবুক লাইভ করেন, ‘হ্যাল্লো গাইজ, আমি অমুক একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আমাকে সাপোর্ট করুন।’ আমরা কি এসব দেখার জন্য ফেসবুকে এসেছিলাম?
জিমি কিমেল যখন এই দিবসের ডাক দেন, তখন ফেসবুক ছিল আজকের তুলনায় অনেক সরল। মানুষ তখন একে অপরকে ‘পোক’ করে বিরক্ত করত। এখন মানুষ বিরক্ত করে অনবরত মিম আর রিলস সেন্ড করে, পলিটিক্যাল স্ট্যাটাস, ভুয়া খবর আর অপ্রাসঙ্গিক তর্কে ট্যাগ করে।
সংস্কৃতিটা বদলে গেছে। আগে ‘আনফ্রেন্ড’ করাকে ভাবা হতো চরম অভদ্রতা, সম্পর্কচ্ছেদের ডিজিটাল ঘোষণা। আর এখন? এখন এটা নিতান্তই ‘টাইমলাইন হাইজিন’ বা নিউজফিড পরিচ্ছন্ন রাখার একটা প্রক্রিয়া।
বিশেষজ্ঞরা (যারা মূলত চায়ের দোকানে বসে ফেসবুক নিয়েই গবেষণা করেন) বলছেন, আনফ্রেন্ড করাটা এখন এক ধরনের ‘প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ’ আচরণ। আপনি কাউকে সরাসরি বলতে পারছেন না যে, ‘ভাই, আপনার পোস্ট আমার আর সহ্য হচ্ছে না।’ তাই আপনি নীরবে, নিভৃতে তাকে আপনার ডিজিটাল জীবন থেকে বিদায় দিচ্ছেন।
মজার ব্যাপার হলো, আনফ্রেন্ড করার পর একটা অদ্ভুত শান্তি কাজ করে। যেন কাঁধ থেকে মস্ত বড় একটা বোঝা নেমে গেল। মনোবিজ্ঞানীরা একে বলছেন ‘ডিজিটাল ডিটক্স’-এর প্রথম ধাপ। বর্তমানে বিভিন্ন মিমস আর রিলসেও এই ‘আনফ্রেন্ড’ কালচারের স্যাটায়ারিস্টিক নির্দশন পাওয়া যায়। প্রাসঙ্গিক দুটো কৌতুক এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে।
ক.
চাকরির ইন্টারভিউ
নিয়োগ বোর্ড: আপনার বিশেষ কোনো দক্ষতা থাকলে বলুন।
চাকরীপ্রার্থী: স্যার, আমি খুব দ্রুত টাইপ করতে পারি। আর গত আনফ্রেন্ড দিবসে এক বসায় প্রায় আট শ জনকে লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছি। আমার ফোকাস খুব শার্প।
খ.
বল্টুর কৌতুক
শিক্ষক: বল্টু, বল তো ‘বন্ধুত্ব’ আর ‘ফেসবুক বন্ধুত্ব’-এর মধ্যে পার্থক্য কী?
বল্টু: স্যার, বন্ধুত্বে বিপদে পাশে দাঁড়াতে হয়। আর ফেসবুক বন্ধুত্বে শুধু লাইক, কমেন্ট আর জন্মদিনে ‘HBD’ লিখলেই চলে। আর বেশি বিরক্ত করলে আনফ্রেন্ড করে দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়।
এগুলো পড়ে হাসি আসলো না? সমস্যা নেই। হাসি পাওয়ানোর জন্য কৌতুক দুইটা বলিনি। আমাদের সামাজিক সম্পর্কের ঠুনকো দিকটাকেই বলার চেষ্টা করলাম। যে সম্পর্ক এক ক্লিকে তৈরি হয়, তা ভাঙতেও এক ক্লিকের বেশি লাগে না।
অনেক আমেরিকানদের জন্য এটা অনেকটা ‘থ্যাঙ্কসগিভিং’-এর ডিজিটাল সংস্করণ। ‘আনফ্রেন্ড ডে’-তে কেউ কেউ কফির মগ হাতে ল্যাপটপের সামনে বসে অপ্রয়োজনীয় বন্ধুদের তালিকা থেকে বাদ দেয় এবং নিউজফিড পরিচ্ছন্ন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
ইউরোপের কেউ কেউ এই দিনটিকে আরও বেশি প্রতীকীরূপে পালন করেন। ফরাসিরা হয়তো এটাকে ‘Liberté, Égalité, Fraternité’ (স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব)—এর ডিজিটাল রূপ বলে মনে করে। ‘ফ্রেন্ডলিস্ট’ থেকে মুক্তি পাওয়াটা তাঁদের কাছে এক ধরনের ‘স্বাধীনতা’।
তবে এই দিনটি নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। কেউ কেউ বলেন, এটা একপ্রকার অসামাজিকতা। এটা মানুষের মধ্যে বিভেদ বাড়ায়। এর জবাবে জিমি কিমেল হয়তো বলতেন, ‘যার সঙ্গে আপনার বছরে একবারও কথা হয় না, তাঁকে লিস্টে রেখে কীসের সামাজিকতা রক্ষা করছেন আপনি?’
দিনশেষে আনফ্রেন্ড ডে একটা প্রতীকী দিন মাত্র। এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ভার্চুয়াল জীবনে ‘কোয়ান্টিটির’ চেয়ে ‘কোয়ালিটির’ গুরুত্ব বেশি। পাঁচ হাজার ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ থাকার চেয়ে পাঁচজন সত্যিকারের বন্ধু থাকা অনেক বেশি স্বস্তির।
তবে একটা ঝুঁকিও আছে। আজ যাকে আপনি ‘অপ্রয়োজনীয়’ ভেবে আনফ্রেন্ড করছেন, কাল হয়তো কোনো বিপদে পড়ে তার কাছেই মেসেজ পাঠাতে হতে পারে, ‘ভাই, একটা হেল্প লাগবে।’
তাই আনফ্রেন্ড করার আগে দুবার ভাবুন। সত্যিই কি তাকে আপনার জীবনে (বা টাইমলাইনে) প্রয়োজন নেই? যদি উত্তর ‘না’ হয়, তবে আর দেরি কেন? মাউসের ক্লিকে মুক্তি আনুন।
তবে সাবধান! যাকে আনফ্রেন্ড করছেন, সে যদি আপনার অফিসের বস বা জীবনসঙ্গীর নিকটাত্মীয় হয়, তবে সেই ক্লিকের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ‘আনফলো’ বাটন তো আছেই।
.png)

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির এক কিংবদন্তিতুল্য পুরুষ। তাঁর সংগ্রামী ও আপোষহীন নেতৃত্ব অগণিত মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবে পরিচিত এই নেতার রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকেই রাজনীতিতে এসেছিলেন।
২০ ঘণ্টা আগে
আজ সুর-সম্রাজ্ঞী রুনা লায়লার জন্মদিন। রুনা লায়লা ও তাঁর গানে লুকিয়ে থাকা অনুভূতি, সময়ের আবেশ, প্রেম ও একাকিত্ব নিয়ে ‘মায়ার সিংহাসন’ গীতি-উপন্যাস লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির। উপন্যাস লেখার ঘোরলাগা ভ্রমণ লেখক শেয়ার করেছেন স্ট্রিম পাঠকদের সঙ্গে।
২১ ঘণ্টা আগে
আজ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়ে এ লেখা।
১ দিন আগে
আজ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর ছিল বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক পরিকল্পনাও। কোন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা তিনি ভেবেছিলেন, তা জানা যাবে এ লেখায়।
১ দিন আগে