স্ট্রিম ডেস্ক

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক কাজ শুরু হলো স্বভাবসিদ্ধ মেজাজে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে ‘স্লিপি জো’ বলে কটাক্ষ করলেন। এরপরই তিনি গত সপ্তাহে প্রকাশিত দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেন। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্পের কার্যক্ষমতা ও শারীরিক সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
ট্রাম্প অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘২৫ বছর আগে আমি যেমন ছিলাম, তার চেয়েও এখন আমি বেশি চটপটে।’ তিনি সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতা নিয়ে 'অন্যায্য' আচরণের জন্য তীব্র ভর্ৎসনাও করেন।
কিন্তু এর পরের প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ট্রাম্প নিজেই ঘুম ত্থেকে নিজের চোখ খুলে রাখতে লড়াই করে গেলেন। আর শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে হেরে গেলেন। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা যখন ট্রাম্পের প্রিয় কাজ, মানে তাঁর সরকারের গুণগান গাওয়ায় ব্যস্ত, তখনই দৃশ্যত ট্রাম্পকে বারবার ঘুমের সাথে যুদ্ধ করতে দেখা যায়।
মন্ত্রীদের প্রশংসার মাঝেই ঘুম
স্বাস্থ্য নিয়ে তীব্র আক্রমণের মাত্র ১৫ মিনিট পরই দেখা যায় এক বিপরীত দৃশ্য। বাণিজ্যমন্ত্রী হাউয়ার্ড লুটনিক যখন ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির প্রশংসা করছেন, ট্রাম্প তখন চোখ খোলা রাখতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন।
এরপর আবাসন ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, এমনকি শ্রম ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রীরা কথা বলার সময়ও ট্রাম্পের চোখের পলক ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসতে দেখা যায়। শিক্ষামন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় ট্রাম্পকে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড ধরে চোখ বন্ধ করে স্থির থাকতে দেখা যায়।
সকাল ১টা ৪৫ মিনিটের কাছাকাছি সময়ে পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও যখন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের উদ্যোগ নিয়ে বলছিলেন, তখন ট্রাম্পের ঝিমুনি ছিল আরও স্পষ্ট। এবার তিনি রুবিওর ঠিক পাশেই বসেছিলেন। ক্যামেরা সরাসরি তাঁদের ওপর জুম করা ছিল।
ট্রাম্পের নিজের তৈরি মানদণ্ড
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট অবশ্য দাবি করেছেন, ট্রাম্প ‘মনোযোগ সহকারে শুনছিলেন’ এবং ‘পুরো তিন ঘণ্টার ম্যারাথন মন্ত্রিসভার সভা পরিচালনা করেছেন’। তবে গত এক মাসের মধ্যে এমন দৃশ্য এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ঘটল। এর আগে ৬ নভেম্বরের একটি অনুষ্ঠানেও তিনি প্রায় ২০ মিনিট চোখ খোলা রাখতে সংগ্রাম করেছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন ৭৯ বছর বয়সী ব্যক্তির ঘুম আসা অস্বাভাবিক নয়। ট্রাম্প বৈঠকের পরেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যাটি হলো—ট্রাম্প নিজেই তাঁর আগের রাষ্ট্রপতিকে শারীরিক সক্ষমতার অভাব নিয়ে যে বিদ্রূপের ভাষা ব্যবহার করেছেন, এখন তিনি নিজেই তার শিকার হচ্ছেন।
ট্রাম্প একাধিকবার জো বাইডেনকে ‘স্লিপি জো’ বলেছেন। আর তা ক্যামেরার সামনে আক্ষরিক অর্থে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে। ২০২১ সালে বাইডেন যখন স্কটল্যান্ডে একটি জলবায়ু সম্মেলনে ঝিমিয়ে পড়েছিলেন, তখন ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, ‘যার সত্যিকারের উৎসাহ ও বিশ্বাস থাকে, সে কখনোই ঘুমিয়ে পড়বে না!’
২০২৪ সালের প্রচারণাতেও ট্রাম্প বারবার বাইডেনের ঘুমন্ত অবস্থার ছবি তুলে ধরেছেন। সমুদ্র সৈকতে তাঁর ঘুমিয়ে পড়াকে 'অশোভন ও অদ্ভুত' বলেও মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্পের নিজের ভাষ্য ছিল, ‘ক্যামেরাগুলো যখন সমানে ক্লিক করে যাচ্ছে, তখন আপনি কীভাবে ঘুমিয়ে পড়েন?’
ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে দীর্ঘদিনের অস্বচ্ছতা আর পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য তথ্য প্রকাশে অনীহা—এসবের কারণেই তাঁর শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। এখন তিনি নিজেই প্রকাশ্য সভায় বারবার ঝিমিয়ে পড়ছেন। কিছু দিন আগে বাইডেনকে তিনি একই কারণে ‘স্লিপি জো’ বলে বিদ্রূপ করেছিলেন। এখন সেই বিদ্রূপ উলটো ট্রাম্পের দিকেই ফিরে আসছে।
সিএনএন অবলম্বনে

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক কাজ শুরু হলো স্বভাবসিদ্ধ মেজাজে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে ‘স্লিপি জো’ বলে কটাক্ষ করলেন। এরপরই তিনি গত সপ্তাহে প্রকাশিত দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেন। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্পের কার্যক্ষমতা ও শারীরিক সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
ট্রাম্প অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘২৫ বছর আগে আমি যেমন ছিলাম, তার চেয়েও এখন আমি বেশি চটপটে।’ তিনি সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতা নিয়ে 'অন্যায্য' আচরণের জন্য তীব্র ভর্ৎসনাও করেন।
কিন্তু এর পরের প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ট্রাম্প নিজেই ঘুম ত্থেকে নিজের চোখ খুলে রাখতে লড়াই করে গেলেন। আর শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে হেরে গেলেন। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা যখন ট্রাম্পের প্রিয় কাজ, মানে তাঁর সরকারের গুণগান গাওয়ায় ব্যস্ত, তখনই দৃশ্যত ট্রাম্পকে বারবার ঘুমের সাথে যুদ্ধ করতে দেখা যায়।
মন্ত্রীদের প্রশংসার মাঝেই ঘুম
স্বাস্থ্য নিয়ে তীব্র আক্রমণের মাত্র ১৫ মিনিট পরই দেখা যায় এক বিপরীত দৃশ্য। বাণিজ্যমন্ত্রী হাউয়ার্ড লুটনিক যখন ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির প্রশংসা করছেন, ট্রাম্প তখন চোখ খোলা রাখতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন।
এরপর আবাসন ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, এমনকি শ্রম ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রীরা কথা বলার সময়ও ট্রাম্পের চোখের পলক ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসতে দেখা যায়। শিক্ষামন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় ট্রাম্পকে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড ধরে চোখ বন্ধ করে স্থির থাকতে দেখা যায়।
সকাল ১টা ৪৫ মিনিটের কাছাকাছি সময়ে পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও যখন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের উদ্যোগ নিয়ে বলছিলেন, তখন ট্রাম্পের ঝিমুনি ছিল আরও স্পষ্ট। এবার তিনি রুবিওর ঠিক পাশেই বসেছিলেন। ক্যামেরা সরাসরি তাঁদের ওপর জুম করা ছিল।
ট্রাম্পের নিজের তৈরি মানদণ্ড
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট অবশ্য দাবি করেছেন, ট্রাম্প ‘মনোযোগ সহকারে শুনছিলেন’ এবং ‘পুরো তিন ঘণ্টার ম্যারাথন মন্ত্রিসভার সভা পরিচালনা করেছেন’। তবে গত এক মাসের মধ্যে এমন দৃশ্য এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ঘটল। এর আগে ৬ নভেম্বরের একটি অনুষ্ঠানেও তিনি প্রায় ২০ মিনিট চোখ খোলা রাখতে সংগ্রাম করেছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন ৭৯ বছর বয়সী ব্যক্তির ঘুম আসা অস্বাভাবিক নয়। ট্রাম্প বৈঠকের পরেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যাটি হলো—ট্রাম্প নিজেই তাঁর আগের রাষ্ট্রপতিকে শারীরিক সক্ষমতার অভাব নিয়ে যে বিদ্রূপের ভাষা ব্যবহার করেছেন, এখন তিনি নিজেই তার শিকার হচ্ছেন।
ট্রাম্প একাধিকবার জো বাইডেনকে ‘স্লিপি জো’ বলেছেন। আর তা ক্যামেরার সামনে আক্ষরিক অর্থে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে। ২০২১ সালে বাইডেন যখন স্কটল্যান্ডে একটি জলবায়ু সম্মেলনে ঝিমিয়ে পড়েছিলেন, তখন ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, ‘যার সত্যিকারের উৎসাহ ও বিশ্বাস থাকে, সে কখনোই ঘুমিয়ে পড়বে না!’
২০২৪ সালের প্রচারণাতেও ট্রাম্প বারবার বাইডেনের ঘুমন্ত অবস্থার ছবি তুলে ধরেছেন। সমুদ্র সৈকতে তাঁর ঘুমিয়ে পড়াকে 'অশোভন ও অদ্ভুত' বলেও মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্পের নিজের ভাষ্য ছিল, ‘ক্যামেরাগুলো যখন সমানে ক্লিক করে যাচ্ছে, তখন আপনি কীভাবে ঘুমিয়ে পড়েন?’
ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে দীর্ঘদিনের অস্বচ্ছতা আর পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য তথ্য প্রকাশে অনীহা—এসবের কারণেই তাঁর শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। এখন তিনি নিজেই প্রকাশ্য সভায় বারবার ঝিমিয়ে পড়ছেন। কিছু দিন আগে বাইডেনকে তিনি একই কারণে ‘স্লিপি জো’ বলে বিদ্রূপ করেছিলেন। এখন সেই বিদ্রূপ উলটো ট্রাম্পের দিকেই ফিরে আসছে।
সিএনএন অবলম্বনে

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে দুই দিনের সফর শুরু করছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটি পুতিনের প্রথম ভারক সফর। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং দুই দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সফরে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৩৩ মিনিট আগে
লেবানন ও ইসরায়েল প্রায় ৪০ বছর পর প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় বসেছে। বুধবার দক্ষিণ লেবাননের নাকউরা শহরে যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে পরিচালিত যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির বৈঠকে দুই দেশের বেসামরিক প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে দীর্ঘ চার দশকের অচলাবস্থা ভেঙে নতুন যোগাযোগের পথ খুলে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট অস্থায়ী চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
২০ ঘণ্টা আগে
শরীরে তখনো লেগেছিল জন্মের সময়কার রক্ত। হিম শীতল ঠান্ডায় একটি বাড়ির টয়লেটের পাশে পড়ে কাঁদতেছিল এক নবজাতক। তখন ভোর। শিশুর কান্নার শব্দ শুনে বাড়িটির লোকজন ভেবেছিল, প্রতিবেশী কোনো বাড়ির কোনো শিশু হয়তো কাঁদছে।
২০ ঘণ্টা আগে