leadT1ad

গাজা সিটিতে সহস্রাধিক ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল: সিভিল ডিফেন্স

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধ বন্ধের আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করছে নেতানিয়াহুর সরকার।

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ৪৯
গাজা সিটিতে এক ফিলিস্তিনি বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন, পেছনে ইসরায়েলি হামলার পর ধোঁয়ার কুন্ডলী উঠছে। ছবি: আবু আলকাস/রয়টার্স

ফিলিস্তিন সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত ৬ আগস্ট থেকে গাজা সিটিতে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত জেইতুন ও সাবরা এলাকায় এক হাজারের বেশি ভবন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে এবং শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।

গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, চলমান গোলাবর্ষণ ও রাস্তাগুলোর ওপর অবরোধ থাকার কারণে অনেক উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, তারা ক্রমাগত নিখোঁজ লোকজনের খোঁজে অনুরোধ পাচ্ছে, কিন্তু কিছু করতে না। কারণ, হাসপাতালগুলো আসা রোগীর চাপ সামলাতে পারছে না।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা সিটিতে ক্রমাগত অনুপ্রবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে, যখন আমাদের ফিল্ড ক্রুদের পক্ষে চলমান ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে না।’

সিভিল ডিফেন্স আরও জানিয়েছে, ‘গাজা উপত্যকার কোনো এলাকাই এখন নিরাপদ নয় —উত্তরে হোক বা দক্ষিণে—গোলাবর্ষণ অব্যাহতভাবে সাধারণ মানুষকে তাদের বাড়িতে, আশ্রয়কেন্দ্রে, এমনকি বাস্তুচ্যুতদের শিবিরেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।‘

গাজা সিটির পূর্ণ দখল নিতে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো সাবরা অঞ্চলে প্রবেশ করছে, যার ফলে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

সিভিল ডিফেন্সের এই বিবৃতিটি সেই আশঙ্কাকে জোরালো করছে যে ইসরায়েল গাজা সিটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে চায়— যেমনটি রাফায় করেছিল। তাছাড়া মানবাধিকারকর্মীদের মতে, এর লক্ষ্য হতে পারে গাজা থেকে সকল ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে দেওয়া।

গাজা সিটির আল-জালায়া স্ট্রিটে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে — এমন তথ্য দিয়েছে অঞ্চলটির জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স বিভাগ।

এই অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে এবং গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে নিরবচ্ছিন্ন ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত বিস্ফোরণের শব্দে এলাকা কেঁপে উঠছে, আর উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও অনেক ভবন ধ্বংস করা হয়েছে।

Ad 300x250

যে ছয় মাস আছি, প্রত্যেক জেলায় লিগ্যাল এইডের ব্যবস্থা করে যাব: আইন উপদেষ্টা

মুসলমানি-বাংলা থেকে বাংলাদেশি: ভাষার রাজনৈতিক বিভাজন

রোহিঙ্গারা অধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরতে প্রস্তুত: খলিলুর রহমান

ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের পাটশিল্পে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা

‘রোহিঙ্গা সংকট স্থবির হয়ে আছে, সমাধানে আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক সক্রিয়তা জরুরি’

সম্পর্কিত