.png)
কানাডা তার সাম্প্রতিক দশকগুলোর সবচেয়ে বড় অভিবাসন সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। দেশটি আগামী বছর থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫–৩২ শতাংশ পর্যন্ত কমাবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এইচ–১বি ভিসাধারী ও দক্ষ গবেষকদের জন্য বিশেষ ভিসা চালুর পরিকল্পনা করেছে সরকার। নতুন বাজেটে ১২০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে আন্তর্জাতিক পেশাজীবী আকৃষ্টে। ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত স্থায়ী অভিবাসীর সংখ্যা সীমিত রেখে অস্থায়ী বাসিন্দা কমাবে ৪০ শতাংশ। সরকারের লক্ষ্য, ২০২৭ সালের মধ্যে অস্থায়ী বাসিন্দার হার ৫ শতাংশের নিচে নামানো।

স্ট্রিম ডেস্ক

সাম্প্রতিক দশকগুলোর সবচেয়ে বড় অভিবাসন সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কানাডা। এর অংশ হিসেবে দেশটি আগামী বছর থেকেই বিদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ থেকে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এইচ–১বি ভিসাধারী ও বিশ্বসেরা গবেষকদের জন্য বিশেষ ভিসার পথ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে দেশটি।
নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সরকারের প্রথম বাজেটে বিভিন্ন দেশের প্রতিভাবান ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে বড় একটি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে ১২০ কোটি কানাডিয়ান ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০৬ কোটি টাকা) বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মাধ্যমে এক হাজারের বেশি দক্ষ পেশাজীবী নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাজেটের নথিতে বলা হয়েছে, ‘এই গবেষকদের অভিজ্ঞতা কানাডার বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং ভবিষ্যতের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।’
কানাডা সরকার আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ‘দ্রুত প্রক্রিয়ায় ভিসা’ বা ‘অ্যাকসেলারেটেড পাথওয়ে’ চালু করতে যাচ্ছে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দক্ষ জনশক্তিকে আকৃষ্ট করার আশা করছে কানাডা। পদক্ষেপটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ–১বি ভিসার ফি বাড়িয়ে দেড় হাজার ডলার থেকে এক লাখ ডলার করেছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর প্রশাসনের ভিসা ও গ্রিন কার্ড নীতির অনিশ্চয়তা নিয়ে মার্কিন অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দ্রুত বাড়ায় কানাডা অভিবাসনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখছে।
নতুন অভিবাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটি আগামী কয়েক বছর স্থায়ী অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা সীমিত রাখবে। ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ৩ লাখ ৮০ হাজার স্থায়ী অভিবাসী নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কানাডা।
তবে অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা কমিয়ে ২০২৬ সালে ৩ লাখ ৮৫ হাজার এবং পরের দুই বছর তা ৩ লাখ ৭০ হাজারে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে—যা চলতি বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কম।
একই সঙ্গে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নতুন স্টাডি পারমিটও ব্যাপক হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—২০২৬ সালে ১ লাখ ৫৫ হাজার এবং ২০২৭ ও ২০২৮ সালে ১ লাখ ৫০ হাজার পারমিট দেওয়া হবে।
এই সংখ্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক। ট্রুডো সরকার ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের জন্য প্রতি বছর ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় সংগঠন ‘ইউনিভার্সিটিজ কানাডা’ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সরকারের টেকসই অভিবাসন ব্যবস্থার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায়, তবে এই পরিকল্পনা যেন দেশের প্রতিভা আকর্ষণ ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
কানাডার আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডেসজারডিনস–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসীর সংখ্যা কমলে স্বল্পমেয়াদে শ্রমবাজারে মজুরি বৃদ্ধি পাবে, কারণ কম জনবল আকর্ষণ করতে নিয়োগকর্তারা বেশি প্রতিযোগিতা করবে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, অভিবাসন কমলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি কিছুটা ধীর হবে, যার ফলে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও অস্থায়ী কর্মীরা সাধারণত ভাড়া বাসায় থাকেন, তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি কমলে বাড়ি ভাড়াও কিছুটা কম থাকবে।
এ ছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধীর হলে মাথাপিছু জিডিপি বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকার জানিয়েছে, ২০২৭ সালের শেষে দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা ৫ শতাংশের নিচে নামানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই হার প্রায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

সাম্প্রতিক দশকগুলোর সবচেয়ে বড় অভিবাসন সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কানাডা। এর অংশ হিসেবে দেশটি আগামী বছর থেকেই বিদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ থেকে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এইচ–১বি ভিসাধারী ও বিশ্বসেরা গবেষকদের জন্য বিশেষ ভিসার পথ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে দেশটি।
নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সরকারের প্রথম বাজেটে বিভিন্ন দেশের প্রতিভাবান ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে বড় একটি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে ১২০ কোটি কানাডিয়ান ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০৬ কোটি টাকা) বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মাধ্যমে এক হাজারের বেশি দক্ষ পেশাজীবী নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাজেটের নথিতে বলা হয়েছে, ‘এই গবেষকদের অভিজ্ঞতা কানাডার বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং ভবিষ্যতের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।’
কানাডা সরকার আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ‘দ্রুত প্রক্রিয়ায় ভিসা’ বা ‘অ্যাকসেলারেটেড পাথওয়ে’ চালু করতে যাচ্ছে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দক্ষ জনশক্তিকে আকৃষ্ট করার আশা করছে কানাডা। পদক্ষেপটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ–১বি ভিসার ফি বাড়িয়ে দেড় হাজার ডলার থেকে এক লাখ ডলার করেছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর প্রশাসনের ভিসা ও গ্রিন কার্ড নীতির অনিশ্চয়তা নিয়ে মার্কিন অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দ্রুত বাড়ায় কানাডা অভিবাসনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখছে।
নতুন অভিবাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটি আগামী কয়েক বছর স্থায়ী অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা সীমিত রাখবে। ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ৩ লাখ ৮০ হাজার স্থায়ী অভিবাসী নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কানাডা।
তবে অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা কমিয়ে ২০২৬ সালে ৩ লাখ ৮৫ হাজার এবং পরের দুই বছর তা ৩ লাখ ৭০ হাজারে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে—যা চলতি বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কম।
একই সঙ্গে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নতুন স্টাডি পারমিটও ব্যাপক হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—২০২৬ সালে ১ লাখ ৫৫ হাজার এবং ২০২৭ ও ২০২৮ সালে ১ লাখ ৫০ হাজার পারমিট দেওয়া হবে।
এই সংখ্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক। ট্রুডো সরকার ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের জন্য প্রতি বছর ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় সংগঠন ‘ইউনিভার্সিটিজ কানাডা’ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সরকারের টেকসই অভিবাসন ব্যবস্থার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায়, তবে এই পরিকল্পনা যেন দেশের প্রতিভা আকর্ষণ ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
কানাডার আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডেসজারডিনস–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসীর সংখ্যা কমলে স্বল্পমেয়াদে শ্রমবাজারে মজুরি বৃদ্ধি পাবে, কারণ কম জনবল আকর্ষণ করতে নিয়োগকর্তারা বেশি প্রতিযোগিতা করবে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, অভিবাসন কমলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি কিছুটা ধীর হবে, যার ফলে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও অস্থায়ী কর্মীরা সাধারণত ভাড়া বাসায় থাকেন, তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি কমলে বাড়ি ভাড়াও কিছুটা কম থাকবে।
এ ছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধীর হলে মাথাপিছু জিডিপি বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকার জানিয়েছে, ২০২৭ সালের শেষে দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা ৫ শতাংশের নিচে নামানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই হার প্রায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
.png)

গাজা সিটির পাশের এক উঁচু বাঁধ থেকে তাকালে বোঝা যায়, যুদ্ধ এই শহরকে কীভাবে ধ্বংস করেছে। মানচিত্রের গাজার চিহ্ন এখন নেই। স্মৃতির শহরটি পরিণত হয়েছে ধূসর ধ্বংসস্তূপে, যা একদিক থেকে অন্যদিকে প্রসারিত। বেইত হানুন থেকে গাজা সিটি পর্যন্ত যতদূর চোখ যায়, শুধু ভাঙাচোরা ইট-পাথর।
৮ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনে জয়ের পর বুধবার নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি তাঁর প্রশাসনের রূপরেখা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করবেন।
১০ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী ফার্স্ট লেডি হতে যাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সী রামা দুয়াজি। মঙ্গলবার রাতে তাঁর স্বামী জোহরান মামদানি মেয়র নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম নগরী নিউইয়র্ক সিটির রাজনীতিতে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটেছে। ৩৪ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সাবেক ডেমোক্র্যাট গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে