.png)
২০২২ সালে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তৌহিদ আফ্রিদির সেই ভিডিওর কথা মনে আছে? আফ্রিদির স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী, পুলিশ তাঁর বাসায় আসবে ধরে নিয়ে যেতে। সবশেষে জানা যাবে, এটা আসলে ‘প্র্যাংক’। সেই আফ্রিদি আজ নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ‘রিয়েল প্র্যাংক’-এর শিকার। গত ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল বাংলাবাজারের একটি বাড়ি থেকে সিআইডি তাঁকে যাত্রাবাড়ী থানায় করা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে। তৌহিদ আফ্রিদির এই ঘটনা কি নিছক এক ট্র্যাজেডি, নাকি ট্রাজি-কমেডিও বটে?

অনন্ত রায়হান

জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির কাহিনি এখন এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে হাসতে গিয়েও কেমন জানি কষ্ট কষ্ট লাগে। আবার কাঁদতে গেলেও মনে হয়, এটা তো আসলে এক ধরনের ট্র্যাজি-কমেডি!
২০২২ সালের অক্টোরর মাসে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওর কথা মনে আছে? আফ্রিদির স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী পুলিশ তাঁর বাসায় আসবে তাঁকে ধরে নিয়ে যেতে; আর তাঁর মা হাউমাউ করে কাঁদবেন। সবশেষে জানা যাবে, আসলে এটা একটা ‘প্র্যাংক’। প্রায় ১৬ মিনিটের ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, এটা ছিল একটা সাজানো স্ক্রিপ্ট।
তখন তৌহিদ আফ্রিদির ভিডিওটি যেসব পেজ-গ্রুপ আর আইডিতে আপলোড হয়েছিল, সবখানেই লাইক-কমেন্টে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল। কেউ মজা পেয়েছিলেন, আবার কেউ-বা হয়েছিলেন বিরক্ত। আবার ২০২২ সালের ওই সময়ে কেউ কেউ বলেছিলেন, দেশে যেখানে গুম, খুন আর বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়ে উঠেছে নিয়মিত বাস্তবতা, সেখানে পুলিশ, গ্রেপ্তার নিয়ে মজা করা আসলে নির্মম।
তৌহিদ আফ্রিদি অবশ্য কমেন্ট সেকশনের এই ‘জনগণের পার্লামেন্ট’কে সে সময় পাত্তা দেননি। কারণ, কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে লাইক, শেয়ার ও ভিউ তো তাঁর আসল লাইফলাইন। ক্যামেরা চালু হলে তিনি সুপারহিরো। হাজারো ফলোয়ারের দুলাল। সমালোচনা নিয়ে ভাবার সময় কোথায় তাঁর?
কিন্তু হায়! ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর!
তিন বছর পর সেই ‘প্র্যাংক’ যেন তাঁর জীবনে বাস্তব হয়ে নেমে এল। এবার পুলিশের সিআইডি বিভাগ আসলেই গিয়েছে তাঁর ঘরে। তবে আগের মতো স্ক্রিপ্টেড নয়, এবারে তাঁকে দেখা গেল অরিজিনাল হাতকড়াসহ। আর প্র্যাংক ভিডিওটার মতো মায়ের রিঅ্যাকশন দেখতে চাওয়া, এবারে একেবারে রিয়েল। আফ্রিদির মা-ও নিশ্চয় রিয়েল কান্নাই কাঁদছেন ছেলের গ্রেপ্তারের পরে। ইউটিউবে আপলোডের আগে আগে যেটিকে এডিট করা যেত, সেটা এখন খবরের শিরোনামে চলে এসেছে, কোনো রকম ফিল্টার ছাড়াই।
একসময় যিনি পরিচিত পুলিশ বড় ভাইকে রাজি করিয়ে ইউটিউবের জন্য ভিডিও বানিয়েছিলেন, সেই তিনিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছেন তাঁর আসল গ্রেপ্তারের ভিডিওর মাধ্যমে। সেখানে আগের মতো কৃত্রিম আলো, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বা ‘কাট’ নেই। আছে শুধু চোখে দেখা নির্জলা বাস্তবতা। ভিডিওতে তাঁর স্ত্রীর অসহায় উপস্থিতি আর আফ্রিদির ভেঙে পড়া কণ্ঠ বলছে, ‘আমার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’

এই কয়েকটি শব্দই যেন পুরো দৃশ্যের ভার একেবারে বদলে দেয়। আগের সব প্র্যাংক, সব কনটেন্ট যেন এক মুহূর্তেই ভুলে যেতে হয়। দৃশ্যটা আগের মেকি প্র্যাংককে ছাপিয়ে গেছে। এবার তাঁর ভয়ের অজুহাত কনটেন্ট নয়; বরং পরিবার, অনাগত সন্তান আর অসহায় বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক স্বামী ও হবু-অভিভাবকের আতঙ্ক।
তৌহিদ আফ্রিদি কি শুধুই কনটেন্ট ক্রিয়েটর? বা জনপ্রিয় ইউটিউবার? মোটেও না। আওয়ামী লীগের আমলে তিনি সরকারপন্থী প্রচারণায় সবসময়ই যুক্ত ছিলেন। জুলাই-আন্দোলনের সময় তিনি এবং আরও কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সার আওয়ামী লীগের ‘থিংক ট্যাংক’ সিআরআইয়ের (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন) হয়ে অন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সরকারের পক্ষে ভিডিও বানাতে বলেছেন বলে অভিযোগও আছে।
অবশ্য ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৌহিদ আফ্রিদি দাবি করেছেন, ‘ভয়ে করেছিলাম। আমি তো জান বাঁচানোর জন্য করেছিলাম।’ হ্যাঁ জনাব, ভয় বড় কারণ। তবে মাঝেমধ্যে ভয় আর সুবিধা একে অপরকে খুব ভালোভাবে কভার দেয়। আফ্রিদির ব্যাপারটা অনেকটা পরীক্ষার হলে নকল করতে গিয়ে ধরা খাওয়ার পর শিক্ষককে বলা, ‘স্যার, পাশ করার জন্যই তো করছিলাম।’
সত্যি বলতে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইদানীংকালের থিওরি হলো বড় ইউটিউবার, ফেসবুক ইনফ্লুয়েন্সারদের দিয়ে প্রচারণা চালানো। আফ্রিদি এখানে ভালো খেলেছেন। সুবিধা নিয়েছেন। আবার যখন ঝামেলা হয়েছে তখন বলেছেন, ‘ডিবি হারুন ফোনে হুমকি দিয়েছিল। তাই মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
মোট কথা, কখন কোনদিকে হেলতে হয়, কোন দিকে দুলতে হয়, তা তিনি ভালোই বোঝেন। আর তাই বিখ্যাত ‘ভাতের হোটেল’-এর মালিক ডিবি হারুনকেও এই আদমি পটাতে পেরেছিলেন। ডিবি হারুনকে নিয়ে তিনি বানিয়েছিলেন ভ্লগ। হারুনই নাকি আফ্রিদির ‘প্রিয় চাচা’!
কিন্তু চাচা আপন প্রাণ বাঁচাতে কোথায় আছেন? সুপারম্যানের মতো উড়ে এসে চাচা কি এখন পারবেন ‘প্রিয় ভাতিজা’কে রক্ষা করতে?
আহা! কোথায় গেল সেই প্র্যাংক, আর কোথায় গেল সেই নাটুকেপনা! তৌহিদ আফ্রিদি এখন সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে প্র্যাংক আর বাস্তবের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। ৬৩ লাখ ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার, কোটি-কোটি ভিউ থাকা সত্ত্বেও তিনি এখন ক্যামেরার সামনে নন; বরং ক্যামেরা তাঁকে ধরছে হাতকড়া পরা আসামি হিসেবে। বাস্তবতা হলো, সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দৃশ্যেরও ভিউ বাড়ছে, শেয়ারের পর শেয়ার হচ্ছে। তবে এইবার লাইক বাটন চাপার সময় ফলোয়ারদেরও একটু অস্বস্তি হচ্ছে, তা-ই নয় কি!
তৌহিদ আফ্রিদির এই ঘটনা নিছক এক ট্র্যাজেডি, আবার খানিকটা স্যাটায়ারও বটে। কারণ একসময় যে ছেলে নিজের মাকে পুলিশ-প্র্যাংক দিয়ে কাঁদিয়েছিল, এখন সে নিজেই কাঁদছে বাস্তবের থ্রিলার নাটকে। পার্থক্য এখানে একটাই। তখনকার শো শেষে হাসাহাসি হয়েছিল। আর এবারের শো শেষে তাঁকে কোর্টরুমে হাজিরা দিতে হবে।

জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির কাহিনি এখন এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে হাসতে গিয়েও কেমন জানি কষ্ট কষ্ট লাগে। আবার কাঁদতে গেলেও মনে হয়, এটা তো আসলে এক ধরনের ট্র্যাজি-কমেডি!
২০২২ সালের অক্টোরর মাসে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওর কথা মনে আছে? আফ্রিদির স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী পুলিশ তাঁর বাসায় আসবে তাঁকে ধরে নিয়ে যেতে; আর তাঁর মা হাউমাউ করে কাঁদবেন। সবশেষে জানা যাবে, আসলে এটা একটা ‘প্র্যাংক’। প্রায় ১৬ মিনিটের ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, এটা ছিল একটা সাজানো স্ক্রিপ্ট।
তখন তৌহিদ আফ্রিদির ভিডিওটি যেসব পেজ-গ্রুপ আর আইডিতে আপলোড হয়েছিল, সবখানেই লাইক-কমেন্টে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল। কেউ মজা পেয়েছিলেন, আবার কেউ-বা হয়েছিলেন বিরক্ত। আবার ২০২২ সালের ওই সময়ে কেউ কেউ বলেছিলেন, দেশে যেখানে গুম, খুন আর বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়ে উঠেছে নিয়মিত বাস্তবতা, সেখানে পুলিশ, গ্রেপ্তার নিয়ে মজা করা আসলে নির্মম।
তৌহিদ আফ্রিদি অবশ্য কমেন্ট সেকশনের এই ‘জনগণের পার্লামেন্ট’কে সে সময় পাত্তা দেননি। কারণ, কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে লাইক, শেয়ার ও ভিউ তো তাঁর আসল লাইফলাইন। ক্যামেরা চালু হলে তিনি সুপারহিরো। হাজারো ফলোয়ারের দুলাল। সমালোচনা নিয়ে ভাবার সময় কোথায় তাঁর?
কিন্তু হায়! ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর!
তিন বছর পর সেই ‘প্র্যাংক’ যেন তাঁর জীবনে বাস্তব হয়ে নেমে এল। এবার পুলিশের সিআইডি বিভাগ আসলেই গিয়েছে তাঁর ঘরে। তবে আগের মতো স্ক্রিপ্টেড নয়, এবারে তাঁকে দেখা গেল অরিজিনাল হাতকড়াসহ। আর প্র্যাংক ভিডিওটার মতো মায়ের রিঅ্যাকশন দেখতে চাওয়া, এবারে একেবারে রিয়েল। আফ্রিদির মা-ও নিশ্চয় রিয়েল কান্নাই কাঁদছেন ছেলের গ্রেপ্তারের পরে। ইউটিউবে আপলোডের আগে আগে যেটিকে এডিট করা যেত, সেটা এখন খবরের শিরোনামে চলে এসেছে, কোনো রকম ফিল্টার ছাড়াই।
একসময় যিনি পরিচিত পুলিশ বড় ভাইকে রাজি করিয়ে ইউটিউবের জন্য ভিডিও বানিয়েছিলেন, সেই তিনিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছেন তাঁর আসল গ্রেপ্তারের ভিডিওর মাধ্যমে। সেখানে আগের মতো কৃত্রিম আলো, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বা ‘কাট’ নেই। আছে শুধু চোখে দেখা নির্জলা বাস্তবতা। ভিডিওতে তাঁর স্ত্রীর অসহায় উপস্থিতি আর আফ্রিদির ভেঙে পড়া কণ্ঠ বলছে, ‘আমার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’

এই কয়েকটি শব্দই যেন পুরো দৃশ্যের ভার একেবারে বদলে দেয়। আগের সব প্র্যাংক, সব কনটেন্ট যেন এক মুহূর্তেই ভুলে যেতে হয়। দৃশ্যটা আগের মেকি প্র্যাংককে ছাপিয়ে গেছে। এবার তাঁর ভয়ের অজুহাত কনটেন্ট নয়; বরং পরিবার, অনাগত সন্তান আর অসহায় বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক স্বামী ও হবু-অভিভাবকের আতঙ্ক।
তৌহিদ আফ্রিদি কি শুধুই কনটেন্ট ক্রিয়েটর? বা জনপ্রিয় ইউটিউবার? মোটেও না। আওয়ামী লীগের আমলে তিনি সরকারপন্থী প্রচারণায় সবসময়ই যুক্ত ছিলেন। জুলাই-আন্দোলনের সময় তিনি এবং আরও কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সার আওয়ামী লীগের ‘থিংক ট্যাংক’ সিআরআইয়ের (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন) হয়ে অন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সরকারের পক্ষে ভিডিও বানাতে বলেছেন বলে অভিযোগও আছে।
অবশ্য ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৌহিদ আফ্রিদি দাবি করেছেন, ‘ভয়ে করেছিলাম। আমি তো জান বাঁচানোর জন্য করেছিলাম।’ হ্যাঁ জনাব, ভয় বড় কারণ। তবে মাঝেমধ্যে ভয় আর সুবিধা একে অপরকে খুব ভালোভাবে কভার দেয়। আফ্রিদির ব্যাপারটা অনেকটা পরীক্ষার হলে নকল করতে গিয়ে ধরা খাওয়ার পর শিক্ষককে বলা, ‘স্যার, পাশ করার জন্যই তো করছিলাম।’
সত্যি বলতে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইদানীংকালের থিওরি হলো বড় ইউটিউবার, ফেসবুক ইনফ্লুয়েন্সারদের দিয়ে প্রচারণা চালানো। আফ্রিদি এখানে ভালো খেলেছেন। সুবিধা নিয়েছেন। আবার যখন ঝামেলা হয়েছে তখন বলেছেন, ‘ডিবি হারুন ফোনে হুমকি দিয়েছিল। তাই মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
মোট কথা, কখন কোনদিকে হেলতে হয়, কোন দিকে দুলতে হয়, তা তিনি ভালোই বোঝেন। আর তাই বিখ্যাত ‘ভাতের হোটেল’-এর মালিক ডিবি হারুনকেও এই আদমি পটাতে পেরেছিলেন। ডিবি হারুনকে নিয়ে তিনি বানিয়েছিলেন ভ্লগ। হারুনই নাকি আফ্রিদির ‘প্রিয় চাচা’!
কিন্তু চাচা আপন প্রাণ বাঁচাতে কোথায় আছেন? সুপারম্যানের মতো উড়ে এসে চাচা কি এখন পারবেন ‘প্রিয় ভাতিজা’কে রক্ষা করতে?
আহা! কোথায় গেল সেই প্র্যাংক, আর কোথায় গেল সেই নাটুকেপনা! তৌহিদ আফ্রিদি এখন সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে প্র্যাংক আর বাস্তবের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। ৬৩ লাখ ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার, কোটি-কোটি ভিউ থাকা সত্ত্বেও তিনি এখন ক্যামেরার সামনে নন; বরং ক্যামেরা তাঁকে ধরছে হাতকড়া পরা আসামি হিসেবে। বাস্তবতা হলো, সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দৃশ্যেরও ভিউ বাড়ছে, শেয়ারের পর শেয়ার হচ্ছে। তবে এইবার লাইক বাটন চাপার সময় ফলোয়ারদেরও একটু অস্বস্তি হচ্ছে, তা-ই নয় কি!
তৌহিদ আফ্রিদির এই ঘটনা নিছক এক ট্র্যাজেডি, আবার খানিকটা স্যাটায়ারও বটে। কারণ একসময় যে ছেলে নিজের মাকে পুলিশ-প্র্যাংক দিয়ে কাঁদিয়েছিল, এখন সে নিজেই কাঁদছে বাস্তবের থ্রিলার নাটকে। পার্থক্য এখানে একটাই। তখনকার শো শেষে হাসাহাসি হয়েছিল। আর এবারের শো শেষে তাঁকে কোর্টরুমে হাজিরা দিতে হবে।
.png)

১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর মুহাম্মদ ইকবাল জন্মেছিলেন, পাঞ্জাবের সিয়ালকোটে—যা বর্তমানে পাকিস্তানের পশ্চিম পাঞ্জাব অঞ্চলে অবস্থিত। তাঁর পূর্বপুরুষেরা ছিলেন কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ। পরে সপ্তদশ শতকে মুঘল আমলে তাঁরা ইসলামে ধর্মান্তরিত হন।
৩ ঘণ্টা আগে
ফেসবুকে নতুন গৃহযুদ্ধের সূচনা যেন একদম দরজায় এসে থেমে আছে। এখনও সবার জন্য সেই ভয়ঙ্কর অস্ত্র কমেন্টে ‘ডিসলাইক’ বাটন চালু হয়নি। খুব শিগগিরই হয়ত একদিন সকালে চা হাতে ফোন খুলে দেখবেন, কমেন্টের নিচে একটা ছোট্ট থাম্বস নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
৮ ঘণ্টা আগে
আজকাল প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখার কথা ভাবলেই নাকে এসে লাগে গরম পপকর্নের ঘ্রাণ। দুনিয়াজুড়েই এই খাবার ছাড়া আজকের সময়ে সিনেমা দেখাটা অসম্পূর্ণ মনে হয়। কিন্তু কীভাবে ভুট্টার খই কীভাবে হয়ে উঠল সিনেমা-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ? এর পেছনের গল্প কিন্তু সিনেমার কাহিনীর চেয়ে কম আকর্ষণীয় নয়।
১২ ঘণ্টা আগে
এমনও অনেক মানুষ আছেন যারা গভীর দুঃখ, কষ্ট বা মানসিক আঘাতে চাইলেও কাঁদতে পারেন না। কিন্তু কেন এমন হয়? এই বিষয়টিকে শারীরবৃত্তীয়, মানসিক ও সামাজিক নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ রয়েছে।
১ দিন আগে