
.png)

বর্তমান অর্থনীতির অবস্থাকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। প্রথমটি হলো সামষ্টিক স্থিতিশীলতা, যা ৫ আগস্টের আগে বেশ কয়েক বছর ধরেই একটি সংকটের মধ্যে ছিল। দ্বিতীয়টি হলো অর্থনীতির সার্বিক কর্মচাঞ্চল্য বা গতিশীলতা।

বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের পরিচয় আজ শুধু একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নীরবে, নিভৃতে নতুন পরিচয় গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ; যা দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনন্য সম্মান ও মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।

চলতি বছরের অক্টোবরে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আগের মাসের (সেপ্টেম্বর) তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে।

সাক্ষাৎকারে ড. জাহিদ হোসেন
আগস্ট-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও সার্বিক কর্মচাঞ্চল্যে গতি ফেরানো এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা, সংকট উত্তরণের পথ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ঢাকা স্ট্রিম-এর সঙ্গে কথা বলেছেন অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন

রেমিট্যান্স প্রবাহ বছর ভিত্তিতে ১১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে অক্টোবরের প্রথম ২৬ দিনে তা ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গত বছরের একই সময়ে দেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৯৪ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার।

রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের জন্য পাসপোর্টের ফি কমানো হবে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেটগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা সরাসরি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ই-গেট

আগের দুই মাসের (জুলাই–আগস্ট) তুলনায় দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। এ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।


প্রবাসী বাংলাদেশিরা আগস্ট মাসে ২ হাজার ৪২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ বেশি। গত বছরের আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ২২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আগস্টের প্রথম ১৭ দিনেই দেশে এসেছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬১ কোটি ৯০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৯ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।

নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বড় সুখবর দিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। জুলাই মাসে তারা দেশে পাঠিয়েছেন ২.৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় এই আয় ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি।

গত ১০ দিনে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। গতকাল রোববার (১৩ জুলাই) বেশিরভাগ ব্যাংক ডলার বিনিময় করেছে প্রতি ডলার ১২০ দশমিক ৩০ টাকা থেকে ১২১ দশমিক ২০ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহের শুরুতে ডলারের দর ছিল ১২২ দশমিক ৮০ টাকা থেকে ১২২ দশমিক ৯০ টাকা।