
.png)

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্য দিয়ে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য যুদ্ধের নতুন ও তীব্রতর অধ্যায়ের সূচনা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার মার্কিন বার্তা সংস্থা সিবিএসের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই দাবি করেন।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধের দামার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পাঁচ দিনের এশিয়া সফর শেষ করেন বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর)। ট্রাম্প মালয়েশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া সফর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের পরিবর্তিত শক্তির ভারসাম্য স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। উভয় নেতা বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের বিদেশ সফর সাধারণত বিশ্বমঞ্চে আমেরিকার শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পাঁচ দিনের পূর্ব এশিয়া সফরও ছিল মূলত তার ক্ষমতা ও প্রভাবের প্রদর্শন। তবে এবার একই সঙ্গে, সেই ক্ষমতার সীমাবদ্ধতাও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

দুই নেতা দক্ষিণ কোরিয়ায় এপেক সম্মেলনের ফাঁকে এক বছরের জন্য এই বাণিজ্য চুক্তি করেন। এটি ছিল ২০১৯ সালের পর তাদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা ও বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে ‘বিরল খনিজ’ বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। ১৭টি রেয়ার আর্থ এলিমেন্ট (আরইই) বা বিরল মৃত্তিকা উপাদানকে বলা বিরল হয় বিরল খনিজ। এই ধাতুগুলো রাসায়নিকভাবে প্রায় একইরকম।

এই চুক্তির লক্ষ্য হলো চীনের ওপর নির্ভরতা কমানো এবং উভয় দেশের শিল্পক্ষেত্রে এসব কাঁচামালের সরবরাহ নিরাপদ করা।

চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান তাদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নতুনভাবে জোরদার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য ক্রমেই বাড়ছে।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে রবিবার অনুষ্ঠিত আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা একটি সম্ভাব্য চুক্তির দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর এশিয়া সফর শুরু করেন। এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের চাপের মধ্যে কৌশলগত স্বাধীনতা রক্ষার চেষ্টা করছে।

পাঁচ থেকে ছয় দিনের এই সফরে তিনি মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাবেন। সফরের মূল লক্ষ্য হলো ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আলোকে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বিরোধ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংকট তীব্র হয়ে উঠছে।

এক টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের জেরে কানাডার সঙ্গে ‘সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা’ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প কানাডা সরকারের ওই বিজ্ঞাপনকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে ‘ভয়াবহ আচরণ’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে প্রচারিত বলে উল্লে

বিশ্বে বিরল খনিজ সম্পদের প্রতিযোগিতায় চীন অন্য সব দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এই খনিজ সম্পদ আধুনিক প্রযুক্তি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার মূল অর্থনৈতিক উৎস—জ্বালানি আয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশি পণ্যে আরোপিত মার্কিন শুল্ক আরও হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।