সজল মিত্র রিচার্ড

ফুটবল এক বিস্ময়কর নাট্যমঞ্চ। যেখানে প্রতিটি পাস, প্রতিটি দৌড়, প্রতিটি নিশ্বাসে গল্প লেখা হয় জয়ের বা পরাজয়ের। গতরাতে হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের ফুটবল ম্যাচ যেন ছিল এক দীর্ঘশ্বাসের মঞ্চায়ন। সম্ভাবনার গায়ে লেখা আক্ষেপের অধ্যায়। শেষ বাঁশি বাজতেই চারপাশে নেমে আসে নীরবতা। শুধু বাতাসে ভাসে কিছু নাম হামজা, সামিত এবং এক অবদমিত প্রতিশ্রুতি—এবার নয়, পরের বার হয়তো পারব।
বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, তারা হারেনি লড়াইয়ে, হেরেছে কাঠামোয়। গত ছয় মাসে খেলা আটটি ম্যাচের মধ্যে জিতেছে মাত্র দুটি, ড্র করেছে তিনটি, আর হার স্বীকার করতে হয়েছে তিনবার। গোলের হিসাবেও ছবিটা একই রকম কৌতূহলোদ্দীপক, বাংলাদেশের করা গোল ৭, হজমের সংখ্যাটা নান্দনিকভাবে ১১। সংখ্যার পেছনে কিন্তু গল্পটা আরও বড়। কারণ, প্রতিটি হার এসেছে জয়ের কাছাকাছি গিয়ে। প্রতিটি জয় এসেছে ঘামের বিনিময়ে, আর প্রতিটি ড্র যেন এক অসমাপ্ত কবিতা, যেখানে শেষ লাইনে শব্দ ফুরিয়ে গেছে কিন্তু ব্যথা ফুরোয়নি।
হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধেই দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক মানসিকতা। বল দখলে ছিল ৫২ শতাংশ সময়, অন টার্গেট শট ছিল চারটি। তবুও স্কোরবোর্ডে গোলের জায়গায় শূন্যই রয়ে যায়। সুযোগ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু তা পরিণত হয়নি ফলাফলে। সামিতের ফ্রি-কিক বারের উপর দিয়ে যাওয়া, হামজার পা থেকে বলের এক মুহূর্তের বিচ্যুতি। এই ছোট ছোট ভুলই বড় হতাশার জন্ম দিয়েছে।
হামজা যেন এই দলের প্রাণস্পন্দন। তার চোখে ছিল জয়ের নেশা, পায়ে ছিল আগুন, কিন্তু সহায়তা ছিল না প্রয়োজনীয় সমন্বয়ে। একক প্রচেষ্টা যখন দলীয় কাঠামোর সীমায় এসে থেমে যায়, তখন প্রতিপক্ষের ঠান্ডা মাথার রক্ষণব্যূহে সেই আগুন ধীরে ধীরে নিভে যায়। এ যেন বাংলাদেশের ফুটবলের চিরচেনা ছবি। ব্যক্তিগত মেধা আছে, কিন্তু দলীয় গাঁথুনীর সেলাইয়ে ছিদ্র রয়ে গেছে।
বাংলাদেশের ফুটবলে এক নতুন প্রজন্মের আবির্ভাব ঘটছে—যাদের চোখে স্বপ্ন, কিন্তু পায়ের নিচে মাটি এখনো শক্ত নয়। কোচরা বদলাচ্ছেন, কৌশল বদলাচ্ছে, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি যেন কাটছে না। সাম্প্রতিক পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৬টি সুযোগ তৈরি করেছে, যার মধ্যে কেবল ৭টি রূপ নিয়েছে অন টার্গেট শটে। এ পরিসংখ্যান বলে দেয়, প্রচেষ্টা আছে, কিন্তু যথাযথ সমন্বয় অনুপস্থিত।
একসময়কার আক্রমণভাগের শক্তি এখন নির্ভর করছে তরুণ কাঁধে। সামিত, হামজা এরা নতুন যুগের প্রতীক। তাদের পায়ের কারিকুরিতে দর্শক আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু ফুটবল শুধুই কৌশল নয়, এটি মানসিক শক্তিরও খেলা। প্রতিবার লিড নেওয়ার পর যেন দলটি ভেতরে ভেতরে ভয় পায়, হারানোর ভয়, ভুল করার ভয়, ব্যর্থতার অন্ধকার ছায়া। সেই ভয়ই যেন প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশের ফুটবল মাঠে এখনো প্রতিধ্বনিত হয় সেই পুরনো প্রশ্ন! আমরা ঠিক কোথায় পিছিয়ে আছি? টেকনিক্যাল দিক থেকে? না, সেখানে অনেক উন্নতি হয়েছে। পাসের গতি বেড়েছে, প্লেসিংয়ের ধরন পাল্টেছে, ফিটনেসের গ্রাফ উঠেছে উর্ধ্বমুখী। কিন্তু দলীয় কৌশলের গভীরতা, ম্যাচ রিডিংয়ের তীক্ষ্ণতা, এই দুই জায়গায় ঘাটতি এখনো চোখে পড়ে। যখন প্রতিপক্ষ ধীরে ধীরে ছন্দ বদলায়, বাংলাদেশ দল সেখানে হারিয়ে ফেলে নিজেদের ছন্দ।
হংকং ম্যাচের শেষ মুহূর্তের গোলটাই তার প্রমাণ। নব্বই মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণ এক মুহূর্তের অসতর্কতায় যেভাবে ছিটকে পড়ল, তা শুধু গোল নয়, আত্মবিশ্বাসের পতনও ঘটিয়েছে। শেষ বাঁশি বাজতেই হামজা হাঁটুতে হাত রেখে বসে পড়েছিলেন মাঠে। ঘামে ভেজা মুখে এক ধরনের নীরবতা, যেন নিজের প্রতি ক্ষোভ। আমরা তো পারতাম, ম্যাচ শেষে সেই কথাটিই বারবার উচ্চারিত হচ্ছিল ড্রেসিং রুমে।
ফুটবল বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের ফুটবল এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। হার আর জয়ের মাঝের ব্যবধান আর কৌশলের নয়, বরং মানসিক পরিপক্বতার। দলীয় ঐক্য তৈরি করতে হলে শুধু প্রশিক্ষণ নয়, দরকার ধারাবাহিকতা, একে অপরের প্রতি আস্থা। দলকে এখন প্রয়োজন এমন এক রূপরেখা, যা মৌসুমের পর মৌসুম ধরে একই দর্শনে পরিচালিত হবে। কোচ, কৌশল, আর খেলোয়াড়, এই তিন উপাদানকে এক সুতায় গাঁথতে না পারলে প্রতিটি ম্যাচ এমনই আক্ষেপের শেষাংশে থেমে যাবে।
তবুও আশার আলো ম্লান হয়নি। দেশের তরুণরা এখন ফুটবলের মাঠে ফিরছে, স্টেডিয়ামে আবারও বাজছে ঢাক-ঢোল, পতাকা উড়ছে উল্লাসে। হারের মধ্যেও তারা খুঁজে নিচ্ছে সাহসের গল্প। কারণ, হার মানে সবসময় পরাজয় নয়। অনেক সময় হার মানে শেখার সুযোগ, প্রস্তুতির প্রথম ধাপ। বাংলাদেশ দল ঠিক সেই ধাপে আছে, যেখানে প্রতিটি হোঁচট এক একটি শিক্ষা, প্রতিটি ব্যর্থতা এক একটি বিনিয়োগ ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য।
বাংলাদেশ ফুটবল এখনো প্রতিদিন লিখছে তার নিজের মহাকাব্য। সেখানে হামজার চোখের আগুন, সামিতের মৃদু হাসি, রিয়াদের ঘর্মাক্ত শ্রম! সব মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে এক নতুন যুগের প্রতিশ্রুতি। হয়তো এই প্রজন্মই ভাঙবে সেই আক্ষেপের শৃঙ্খল, হয়তো পরের ম্যাচেই ফুটবল মাঠে দেখা যাবে সত্যিকারের দল হয়ে ওঠা এক বাংলাদেশ।
কিন্তু আপাতত, রাতের নিস্তব্ধতায় যখন টিভি স্ক্রিনে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় স্কোরবোর্ডের সংখ্যাগুলো, তখন দেশের প্রতিটি ফুটবলপ্রেমীর হৃদয়ে একটাই প্রশ্ন বাজে, আমরা এত কাছাকাছি গিয়েও কেন পারলাম না? এই প্রশ্নই হয়তো একদিন হয়ে উঠবে জয়ের প্রেরণা। কারণ, প্রতিটি আক্ষেপই আসলে ভবিষ্যতের আশার বীজ। আর সেই বীজই হয়তো একদিন ফুটিয়ে তুলবে বাংলাদেশের ফুটবলের স্বপ্নের ফুল, যেখানে আর হার থাকবে না, থাকবে কেবল গর্বের ইতিহাস।

ফুটবল এক বিস্ময়কর নাট্যমঞ্চ। যেখানে প্রতিটি পাস, প্রতিটি দৌড়, প্রতিটি নিশ্বাসে গল্প লেখা হয় জয়ের বা পরাজয়ের। গতরাতে হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের ফুটবল ম্যাচ যেন ছিল এক দীর্ঘশ্বাসের মঞ্চায়ন। সম্ভাবনার গায়ে লেখা আক্ষেপের অধ্যায়। শেষ বাঁশি বাজতেই চারপাশে নেমে আসে নীরবতা। শুধু বাতাসে ভাসে কিছু নাম হামজা, সামিত এবং এক অবদমিত প্রতিশ্রুতি—এবার নয়, পরের বার হয়তো পারব।
বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, তারা হারেনি লড়াইয়ে, হেরেছে কাঠামোয়। গত ছয় মাসে খেলা আটটি ম্যাচের মধ্যে জিতেছে মাত্র দুটি, ড্র করেছে তিনটি, আর হার স্বীকার করতে হয়েছে তিনবার। গোলের হিসাবেও ছবিটা একই রকম কৌতূহলোদ্দীপক, বাংলাদেশের করা গোল ৭, হজমের সংখ্যাটা নান্দনিকভাবে ১১। সংখ্যার পেছনে কিন্তু গল্পটা আরও বড়। কারণ, প্রতিটি হার এসেছে জয়ের কাছাকাছি গিয়ে। প্রতিটি জয় এসেছে ঘামের বিনিময়ে, আর প্রতিটি ড্র যেন এক অসমাপ্ত কবিতা, যেখানে শেষ লাইনে শব্দ ফুরিয়ে গেছে কিন্তু ব্যথা ফুরোয়নি।
হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধেই দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক মানসিকতা। বল দখলে ছিল ৫২ শতাংশ সময়, অন টার্গেট শট ছিল চারটি। তবুও স্কোরবোর্ডে গোলের জায়গায় শূন্যই রয়ে যায়। সুযোগ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু তা পরিণত হয়নি ফলাফলে। সামিতের ফ্রি-কিক বারের উপর দিয়ে যাওয়া, হামজার পা থেকে বলের এক মুহূর্তের বিচ্যুতি। এই ছোট ছোট ভুলই বড় হতাশার জন্ম দিয়েছে।
হামজা যেন এই দলের প্রাণস্পন্দন। তার চোখে ছিল জয়ের নেশা, পায়ে ছিল আগুন, কিন্তু সহায়তা ছিল না প্রয়োজনীয় সমন্বয়ে। একক প্রচেষ্টা যখন দলীয় কাঠামোর সীমায় এসে থেমে যায়, তখন প্রতিপক্ষের ঠান্ডা মাথার রক্ষণব্যূহে সেই আগুন ধীরে ধীরে নিভে যায়। এ যেন বাংলাদেশের ফুটবলের চিরচেনা ছবি। ব্যক্তিগত মেধা আছে, কিন্তু দলীয় গাঁথুনীর সেলাইয়ে ছিদ্র রয়ে গেছে।
বাংলাদেশের ফুটবলে এক নতুন প্রজন্মের আবির্ভাব ঘটছে—যাদের চোখে স্বপ্ন, কিন্তু পায়ের নিচে মাটি এখনো শক্ত নয়। কোচরা বদলাচ্ছেন, কৌশল বদলাচ্ছে, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি যেন কাটছে না। সাম্প্রতিক পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৬টি সুযোগ তৈরি করেছে, যার মধ্যে কেবল ৭টি রূপ নিয়েছে অন টার্গেট শটে। এ পরিসংখ্যান বলে দেয়, প্রচেষ্টা আছে, কিন্তু যথাযথ সমন্বয় অনুপস্থিত।
একসময়কার আক্রমণভাগের শক্তি এখন নির্ভর করছে তরুণ কাঁধে। সামিত, হামজা এরা নতুন যুগের প্রতীক। তাদের পায়ের কারিকুরিতে দর্শক আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু ফুটবল শুধুই কৌশল নয়, এটি মানসিক শক্তিরও খেলা। প্রতিবার লিড নেওয়ার পর যেন দলটি ভেতরে ভেতরে ভয় পায়, হারানোর ভয়, ভুল করার ভয়, ব্যর্থতার অন্ধকার ছায়া। সেই ভয়ই যেন প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশের ফুটবল মাঠে এখনো প্রতিধ্বনিত হয় সেই পুরনো প্রশ্ন! আমরা ঠিক কোথায় পিছিয়ে আছি? টেকনিক্যাল দিক থেকে? না, সেখানে অনেক উন্নতি হয়েছে। পাসের গতি বেড়েছে, প্লেসিংয়ের ধরন পাল্টেছে, ফিটনেসের গ্রাফ উঠেছে উর্ধ্বমুখী। কিন্তু দলীয় কৌশলের গভীরতা, ম্যাচ রিডিংয়ের তীক্ষ্ণতা, এই দুই জায়গায় ঘাটতি এখনো চোখে পড়ে। যখন প্রতিপক্ষ ধীরে ধীরে ছন্দ বদলায়, বাংলাদেশ দল সেখানে হারিয়ে ফেলে নিজেদের ছন্দ।
হংকং ম্যাচের শেষ মুহূর্তের গোলটাই তার প্রমাণ। নব্বই মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণ এক মুহূর্তের অসতর্কতায় যেভাবে ছিটকে পড়ল, তা শুধু গোল নয়, আত্মবিশ্বাসের পতনও ঘটিয়েছে। শেষ বাঁশি বাজতেই হামজা হাঁটুতে হাত রেখে বসে পড়েছিলেন মাঠে। ঘামে ভেজা মুখে এক ধরনের নীরবতা, যেন নিজের প্রতি ক্ষোভ। আমরা তো পারতাম, ম্যাচ শেষে সেই কথাটিই বারবার উচ্চারিত হচ্ছিল ড্রেসিং রুমে।
ফুটবল বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের ফুটবল এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। হার আর জয়ের মাঝের ব্যবধান আর কৌশলের নয়, বরং মানসিক পরিপক্বতার। দলীয় ঐক্য তৈরি করতে হলে শুধু প্রশিক্ষণ নয়, দরকার ধারাবাহিকতা, একে অপরের প্রতি আস্থা। দলকে এখন প্রয়োজন এমন এক রূপরেখা, যা মৌসুমের পর মৌসুম ধরে একই দর্শনে পরিচালিত হবে। কোচ, কৌশল, আর খেলোয়াড়, এই তিন উপাদানকে এক সুতায় গাঁথতে না পারলে প্রতিটি ম্যাচ এমনই আক্ষেপের শেষাংশে থেমে যাবে।
তবুও আশার আলো ম্লান হয়নি। দেশের তরুণরা এখন ফুটবলের মাঠে ফিরছে, স্টেডিয়ামে আবারও বাজছে ঢাক-ঢোল, পতাকা উড়ছে উল্লাসে। হারের মধ্যেও তারা খুঁজে নিচ্ছে সাহসের গল্প। কারণ, হার মানে সবসময় পরাজয় নয়। অনেক সময় হার মানে শেখার সুযোগ, প্রস্তুতির প্রথম ধাপ। বাংলাদেশ দল ঠিক সেই ধাপে আছে, যেখানে প্রতিটি হোঁচট এক একটি শিক্ষা, প্রতিটি ব্যর্থতা এক একটি বিনিয়োগ ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য।
বাংলাদেশ ফুটবল এখনো প্রতিদিন লিখছে তার নিজের মহাকাব্য। সেখানে হামজার চোখের আগুন, সামিতের মৃদু হাসি, রিয়াদের ঘর্মাক্ত শ্রম! সব মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে এক নতুন যুগের প্রতিশ্রুতি। হয়তো এই প্রজন্মই ভাঙবে সেই আক্ষেপের শৃঙ্খল, হয়তো পরের ম্যাচেই ফুটবল মাঠে দেখা যাবে সত্যিকারের দল হয়ে ওঠা এক বাংলাদেশ।
কিন্তু আপাতত, রাতের নিস্তব্ধতায় যখন টিভি স্ক্রিনে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় স্কোরবোর্ডের সংখ্যাগুলো, তখন দেশের প্রতিটি ফুটবলপ্রেমীর হৃদয়ে একটাই প্রশ্ন বাজে, আমরা এত কাছাকাছি গিয়েও কেন পারলাম না? এই প্রশ্নই হয়তো একদিন হয়ে উঠবে জয়ের প্রেরণা। কারণ, প্রতিটি আক্ষেপই আসলে ভবিষ্যতের আশার বীজ। আর সেই বীজই হয়তো একদিন ফুটিয়ে তুলবে বাংলাদেশের ফুটবলের স্বপ্নের ফুল, যেখানে আর হার থাকবে না, থাকবে কেবল গর্বের ইতিহাস।

বিশ্বমানের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অনুপ্রেরণাদায়ক টুর্নামেন্ট আয়োজনের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক ট্রফি উন্মোচন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই প্রথমবার আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কাবাডি অঙ্গনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।
১১ দিন আগে
দেশের ক্রিকেট অঙ্গন এখন এক অন্ধকার সময় পার করছে। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম অভিযোগ করেছেন, ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ চলাকালে নারী দলের তৎকালীন নির্বাচক ও ম্যানেজার মনজুরুল ইসলাম তাঁকে যৌন হয়রানি করেন।
১৮ দিন আগে
রাত গভীর, অন্ধকারে ঢাকা শহর যেন চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আর তার বাইরে, গ্যালারিরা ফাঁকা, প্রতিফলিত একটু নীরবতা যে নীরবতায় রয়েছে ব্যাকরণবিধ্বস্ত স্বপ্ন। তিনটি ওয়ানডে সিরিজ, তিনটি ভয়াল পরাজয়।
১৩ অক্টোবর ২০২৫
আবুধাবির প্রকৃতিতে আলো-ছায়ার খেলা যখন সন্ধ্যার আবরণে ঢেকে যাচ্ছিল, বাংলাদেশের ইনিংসের আলো নিভে গেছে তার অনেক আগেই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যা ঘটল, তা নতুন কিছু নয়, বরং পুরনো এক হতাশার প্রতিধ্বনি।
১২ অক্টোবর ২০২৫