স্ট্রিম ডেস্ক
রাত গভীর, অন্ধকারে ঢাকা শহর যেন চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আর তার বাইরে, গ্যালারিরা ফাঁকা, প্রতিফলিত একটু নীরবতা যে নীরবতায় রয়েছে ব্যাকরণবিধ্বস্ত স্বপ্ন। তিনটি ওয়ানডে সিরিজ, তিনটি ভয়াল পরাজয়। সবশেষ ১১টি ম্যাচ, তার মধ্যে ১০টিতে পতন ধ্বনিতে মাঠ ত্যাগের গ্লানি। প্রতিটি হার যেন ঘোরসংকেত, বারবারের প্রতীক যে আজ টাইগাররা হার মানছে এক অর্থহীন যুদ্ধে।
মেহেদী হাসান মিরাজ নতুন পতাকা হাতে পেয়েছেন, কিন্তু পতাকা কি শুধু হাতে ধরলেই পতাকাধারী? অধিনায়কের চোখে থাকতে হবে জ্বলন্ত দীপ, যেটি দলকে জানিয়ে দেয়, হেরেই তো জয় খোঁজা যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি সেই দীপের আলো। শুধু ছায়া, শুধু ধোঁয়া।
টপ অর্ডার। শুরুতেই ভাঙে শৃঙ্খলা। উইকেট নতুন, প্রতিপক্ষ সজাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাটারদের ভাবনায় নীরবতা। একে একে গড়িয়ে যায় বিদ্যমান প্রত্যাশার ঢেউ। সময়মতো শট আসে না, সময়মতো প্রতিরোধ হয় না। প্রতিপক্ষেকে ছুড়ে দেয়ার মতো কোনো ধমকি নেই, কোনো স্রোত নেই রানের খেলায়, শুধু পড়ে আছে পাথরের মতো বিরক্তিকর পারফরমেন্সের প্রদর্শনী। এ যেনো চোখে অনিশ্চয়তার ধুলো।
মাঝেমধ্যে এসেছে একরাশ হাহাকার। যাকে বলা যেতে পারে সিদ্ধান্তজনিত নির্বোধতা। কখনো ব্যাটিং অর্ডারে রসাত্মক পরিবর্তন, কখনো অপ্রয়োজনীয় আক্রমণ। এলোমেলো শট! পদক্ষেপ নেই পরিকল্পিত, নেই রং–বৈচিত্র্য। এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে ছুটে যাচ্ছে, কিন্তু গন্তব্য নেই।
শেষ দিকে যখন ইনিংস সাজানোর সুযোগ থাকে, সেখানেও ছবি ভয়ানক। দায়িত্বহীনতা, আত্মনিয়ন্ত্রণহীনতা। ধাক্কায় পড়ে শাটার বন্ধ করে দেয়া ছবি। একটি ইনিংস চলার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় একটি দেশ উত্তেজিত থাকে, উত্তেজনায়, প্রত্যাশায়। কিন্তু এবার সেই উত্তেজনা জেগে ওঠে না। কারণ ভিত্তি নেই, স্তর নেই, অভ্যন্তর থেকে ফাটল।
এই দৃশ্যপটে, ব্যাটারদের চোখে আর কোনো লক্ষ্য নেই, কোনো ধ্যান নেই, শুধু আসে ভয়, আসে অনিশ্চয়তা। ২২ গজে নয়, ভেতরে নেই কোনো গল্প। প্রতিপক্ষের বল-বাজির চাপে যেন অবলীলায় ভেঙে যাচ্ছে কাঠামো।
হারের অগ্নিপরীক্ষা হোক, কিন্তু আত্মসমর্পণ নয়। কিন্তু এখনকার যে দৃশ্য! এক খোলস, তার ভেতরে শ্মশান। প্রতিরোধ নেই, আগুন নেই, জীবন নেই। শুধু হারবো বলেই প্রত্যাশা।
ক্রিকেট হিসেবে এটি রাজনৈতিক যুদ্ধ। আলোচ্য নেই শুধু রঙিন পরিসংখ্যানে। একটি দল, একটি জাতি, এক মনোবল। ১৫ বছরের বাংলাদেশ ক্রিকেট জয়-পরাজয়, উত্থান-পতন! সব মিলিয়ে ছোঁয়া গিয়েছে শীর্ষে, কিন্তু শীর্ষের গতি ধরে রাখা স্বপ্নের দেয়াল আজ ধসে পড়ছে।
বহু বছর ধরে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ আগলেছেন তামিম, মুশফিক, সাকিব, রিয়াদরা। আজ তারা ইতিহাস, স্মৃতিতে রহস্যময় নক্ষত্র। তামিমই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, মুশফিকও বিস্তৃত ছাপ রেখেছেন, রিয়াদ ছিলেন বহু যুদ্ধ জয়ের আস্থাভাজন যোদ্ধা, আর ক্রিকেটার সাকিবের পারফরমেন্সের বিবরণতো তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা নেই। তারা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের গভীরতাকে। কিন্তু এখন নতুন প্রজন্মের ওপর পড়েছে ভার।
বছর ও সময়ের সঙ্গে ক্রিকেট শাণপ্রাপ্ত হয়েছে। উইকেট নরম হয়, বল ঘুরে আসে, ইনিংসের গতি বাড়ে। সেই গতি ধরতে হয়, ধ্যান ভাঙতে হয় না। নতুন ব্যাটারদের উচিত শৃঙ্খল ভঙ্গ করা, ভয়কে ধ্বংস করে আগ্রাসী মনোবল তৈরি করা।
নাম না ধরে যদি বলি, যে ব্যাটাররা এখনো স্বপ্নের ছায়ায় হাঁটছে, তাদের বলতে চাই, তোমরা কথা বলো। বলো, ‘আমি আছি’, ‘আমি তৈরি’—না হলে ফিরে যাব অতলে। মেন্টাল কোচ, স্নায়ুসংযোগ, অন্তর্দৃষ্টি, এই দিকগুলিতে ধার বাড়াতে হবে। মাঠের অনুশীলনই যথেষ্ট নয়; মাঠের ঝড় তুলতে হবে মনোবলে।
কোচ ও অধিনায়ককে এক কণ্ঠে চালাতে হবে রণকৌশল। কোচকে হবে প্রকৌশলিক, মানসিক শক্তির তীক্ষ্ণতাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে পরিকল্পনায়। অধিনায়ককে হবে সময়োচিত, শান্ত, ধৈর্যশীল, ভয়হীণ শক্তির অধিকারী, সিদ্ধান্তগ্রহণে স্বচ্ছতায় দক্ষ। তার দৃষ্টিতে বুঝতে হবে, কেউ নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করবে, কেউ পরিবর্তনের চাবি ধরবে।
প্রথম ধাক্কা হতে পারে, টপ অর্ডারে স্থায়ী রূপ দেওয়া। ধীরে ধীরে গড়তে হবে ধারাবাহিকতা। একটু একটু করে জিতে যেতে হবে মনোবল এবং জয়ের ধারায় গড়ে তুলতে হবে আত্মবিশ্বাস।
এর পাশাপাশি, গতিশীল পরিকল্পনায় স্পেকট্রাম তৈরি হওয়া উচিত। কখন আগ্রাসী হতে হবে, কখন ধৈর্য ধরতে হবে।
২০২৭ এর বিশ্বকাপের মঞ্চে টাইগারদের সরাসরি খেলতে না পারার ভয় আছে। সাহসী ভুমিকার অভাবে সুযোগ হাতছাড়া হলে, ইতিহাসে একটি কলঙ্ক গড়ে উঠবে নিবিড়ভাবে। যা ২৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হতে পারে। কিন্তু ভয়কে শিখিয়ে দাও! আমি নই ভয়গ্রস্ত, আমি প্রস্তুত। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জিততে না পারলে সামনের বিশ্বকাপ খাবে নিশ্চিত ধাক্কা। জেনে, শুনে বুঝে তাই শঙ্কার ধাক্কাকে উল্টো ধাক্কা দিতে হবে!
যেখানে একসময় বড় দলের নামে বাংলাদেশ উচ্চারণ করতো সবাই এই ফরমেটে। সেখানে আজ সেই নাম খুঁজে ফিরছে জয়ের ধ্বনি। মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একবার হেরে যাবে! কিন্তু হারবে কি মনোবল? হার মানবে কি আত্মসমর্পণ? বাংলাদেশের হার মানে আত্মত্যাগ নয়, হার মানে নতুন জাগরণের প্রদীপ জ্বালানো। এভাবেতো আর চলতে পারে না।
ক্লান্তি যতই অনিবার্য হোক, হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। ছায়াময় রাত পার করে আমাদের অপেক্ষা করে নতুন ভোর। টাইগার সমর্থকদের আস্থা ঠিক এখনও শেষ হয়নি; যে বিশ্বাস এতদিন টেকে ছিল, সেটি আজ পুনরুজ্জীবিত হোক।
হালেরই এক দোলাচলে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। কিন্তু দোল না স্থির হয়ে থাকুক। প্রত্যাবর্তনী দোল এসে পড়ুক অভ্যুদয়ের দিকে। সূর্য যেমন অন্ধকার ভেঙে আকাশকে নতুন আলো দেয়, তেমনই বাংলাদেশকে সেই নতুন সূর্য খুঁজে নিতে হবে, হারিয়ে যাওয়া আত্মার দীপ্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।
কি হয়? হেরেই কি শেষ? না, শুধু শুরু।
টাইগাররা রণভূমিতে অপেক্ষা করছে — আলোকে ফিরে আসার লড়াইতে।
রাত যতই গভীরে হোক — ভোর যে সক্রিয় হবে, সে আশা রাখতে হবে।
হারের ঘোরে নড়ে না—হারে উঠে দাঁড়াতে হবে।
এই যাত্রা যে শেষ নয়, সে লেখা হবে একদিন — জয়–আলো–আত্মবিশ্বাসের অধ্যায়ে।
রাত গভীর, অন্ধকারে ঢাকা শহর যেন চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আর তার বাইরে, গ্যালারিরা ফাঁকা, প্রতিফলিত একটু নীরবতা যে নীরবতায় রয়েছে ব্যাকরণবিধ্বস্ত স্বপ্ন। তিনটি ওয়ানডে সিরিজ, তিনটি ভয়াল পরাজয়। সবশেষ ১১টি ম্যাচ, তার মধ্যে ১০টিতে পতন ধ্বনিতে মাঠ ত্যাগের গ্লানি। প্রতিটি হার যেন ঘোরসংকেত, বারবারের প্রতীক যে আজ টাইগাররা হার মানছে এক অর্থহীন যুদ্ধে।
মেহেদী হাসান মিরাজ নতুন পতাকা হাতে পেয়েছেন, কিন্তু পতাকা কি শুধু হাতে ধরলেই পতাকাধারী? অধিনায়কের চোখে থাকতে হবে জ্বলন্ত দীপ, যেটি দলকে জানিয়ে দেয়, হেরেই তো জয় খোঁজা যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি সেই দীপের আলো। শুধু ছায়া, শুধু ধোঁয়া।
টপ অর্ডার। শুরুতেই ভাঙে শৃঙ্খলা। উইকেট নতুন, প্রতিপক্ষ সজাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাটারদের ভাবনায় নীরবতা। একে একে গড়িয়ে যায় বিদ্যমান প্রত্যাশার ঢেউ। সময়মতো শট আসে না, সময়মতো প্রতিরোধ হয় না। প্রতিপক্ষেকে ছুড়ে দেয়ার মতো কোনো ধমকি নেই, কোনো স্রোত নেই রানের খেলায়, শুধু পড়ে আছে পাথরের মতো বিরক্তিকর পারফরমেন্সের প্রদর্শনী। এ যেনো চোখে অনিশ্চয়তার ধুলো।
মাঝেমধ্যে এসেছে একরাশ হাহাকার। যাকে বলা যেতে পারে সিদ্ধান্তজনিত নির্বোধতা। কখনো ব্যাটিং অর্ডারে রসাত্মক পরিবর্তন, কখনো অপ্রয়োজনীয় আক্রমণ। এলোমেলো শট! পদক্ষেপ নেই পরিকল্পিত, নেই রং–বৈচিত্র্য। এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে ছুটে যাচ্ছে, কিন্তু গন্তব্য নেই।
শেষ দিকে যখন ইনিংস সাজানোর সুযোগ থাকে, সেখানেও ছবি ভয়ানক। দায়িত্বহীনতা, আত্মনিয়ন্ত্রণহীনতা। ধাক্কায় পড়ে শাটার বন্ধ করে দেয়া ছবি। একটি ইনিংস চলার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় একটি দেশ উত্তেজিত থাকে, উত্তেজনায়, প্রত্যাশায়। কিন্তু এবার সেই উত্তেজনা জেগে ওঠে না। কারণ ভিত্তি নেই, স্তর নেই, অভ্যন্তর থেকে ফাটল।
এই দৃশ্যপটে, ব্যাটারদের চোখে আর কোনো লক্ষ্য নেই, কোনো ধ্যান নেই, শুধু আসে ভয়, আসে অনিশ্চয়তা। ২২ গজে নয়, ভেতরে নেই কোনো গল্প। প্রতিপক্ষের বল-বাজির চাপে যেন অবলীলায় ভেঙে যাচ্ছে কাঠামো।
হারের অগ্নিপরীক্ষা হোক, কিন্তু আত্মসমর্পণ নয়। কিন্তু এখনকার যে দৃশ্য! এক খোলস, তার ভেতরে শ্মশান। প্রতিরোধ নেই, আগুন নেই, জীবন নেই। শুধু হারবো বলেই প্রত্যাশা।
ক্রিকেট হিসেবে এটি রাজনৈতিক যুদ্ধ। আলোচ্য নেই শুধু রঙিন পরিসংখ্যানে। একটি দল, একটি জাতি, এক মনোবল। ১৫ বছরের বাংলাদেশ ক্রিকেট জয়-পরাজয়, উত্থান-পতন! সব মিলিয়ে ছোঁয়া গিয়েছে শীর্ষে, কিন্তু শীর্ষের গতি ধরে রাখা স্বপ্নের দেয়াল আজ ধসে পড়ছে।
বহু বছর ধরে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ আগলেছেন তামিম, মুশফিক, সাকিব, রিয়াদরা। আজ তারা ইতিহাস, স্মৃতিতে রহস্যময় নক্ষত্র। তামিমই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, মুশফিকও বিস্তৃত ছাপ রেখেছেন, রিয়াদ ছিলেন বহু যুদ্ধ জয়ের আস্থাভাজন যোদ্ধা, আর ক্রিকেটার সাকিবের পারফরমেন্সের বিবরণতো তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা নেই। তারা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের গভীরতাকে। কিন্তু এখন নতুন প্রজন্মের ওপর পড়েছে ভার।
বছর ও সময়ের সঙ্গে ক্রিকেট শাণপ্রাপ্ত হয়েছে। উইকেট নরম হয়, বল ঘুরে আসে, ইনিংসের গতি বাড়ে। সেই গতি ধরতে হয়, ধ্যান ভাঙতে হয় না। নতুন ব্যাটারদের উচিত শৃঙ্খল ভঙ্গ করা, ভয়কে ধ্বংস করে আগ্রাসী মনোবল তৈরি করা।
নাম না ধরে যদি বলি, যে ব্যাটাররা এখনো স্বপ্নের ছায়ায় হাঁটছে, তাদের বলতে চাই, তোমরা কথা বলো। বলো, ‘আমি আছি’, ‘আমি তৈরি’—না হলে ফিরে যাব অতলে। মেন্টাল কোচ, স্নায়ুসংযোগ, অন্তর্দৃষ্টি, এই দিকগুলিতে ধার বাড়াতে হবে। মাঠের অনুশীলনই যথেষ্ট নয়; মাঠের ঝড় তুলতে হবে মনোবলে।
কোচ ও অধিনায়ককে এক কণ্ঠে চালাতে হবে রণকৌশল। কোচকে হবে প্রকৌশলিক, মানসিক শক্তির তীক্ষ্ণতাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে পরিকল্পনায়। অধিনায়ককে হবে সময়োচিত, শান্ত, ধৈর্যশীল, ভয়হীণ শক্তির অধিকারী, সিদ্ধান্তগ্রহণে স্বচ্ছতায় দক্ষ। তার দৃষ্টিতে বুঝতে হবে, কেউ নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করবে, কেউ পরিবর্তনের চাবি ধরবে।
প্রথম ধাক্কা হতে পারে, টপ অর্ডারে স্থায়ী রূপ দেওয়া। ধীরে ধীরে গড়তে হবে ধারাবাহিকতা। একটু একটু করে জিতে যেতে হবে মনোবল এবং জয়ের ধারায় গড়ে তুলতে হবে আত্মবিশ্বাস।
এর পাশাপাশি, গতিশীল পরিকল্পনায় স্পেকট্রাম তৈরি হওয়া উচিত। কখন আগ্রাসী হতে হবে, কখন ধৈর্য ধরতে হবে।
২০২৭ এর বিশ্বকাপের মঞ্চে টাইগারদের সরাসরি খেলতে না পারার ভয় আছে। সাহসী ভুমিকার অভাবে সুযোগ হাতছাড়া হলে, ইতিহাসে একটি কলঙ্ক গড়ে উঠবে নিবিড়ভাবে। যা ২৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হতে পারে। কিন্তু ভয়কে শিখিয়ে দাও! আমি নই ভয়গ্রস্ত, আমি প্রস্তুত। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জিততে না পারলে সামনের বিশ্বকাপ খাবে নিশ্চিত ধাক্কা। জেনে, শুনে বুঝে তাই শঙ্কার ধাক্কাকে উল্টো ধাক্কা দিতে হবে!
যেখানে একসময় বড় দলের নামে বাংলাদেশ উচ্চারণ করতো সবাই এই ফরমেটে। সেখানে আজ সেই নাম খুঁজে ফিরছে জয়ের ধ্বনি। মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একবার হেরে যাবে! কিন্তু হারবে কি মনোবল? হার মানবে কি আত্মসমর্পণ? বাংলাদেশের হার মানে আত্মত্যাগ নয়, হার মানে নতুন জাগরণের প্রদীপ জ্বালানো। এভাবেতো আর চলতে পারে না।
ক্লান্তি যতই অনিবার্য হোক, হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। ছায়াময় রাত পার করে আমাদের অপেক্ষা করে নতুন ভোর। টাইগার সমর্থকদের আস্থা ঠিক এখনও শেষ হয়নি; যে বিশ্বাস এতদিন টেকে ছিল, সেটি আজ পুনরুজ্জীবিত হোক।
হালেরই এক দোলাচলে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। কিন্তু দোল না স্থির হয়ে থাকুক। প্রত্যাবর্তনী দোল এসে পড়ুক অভ্যুদয়ের দিকে। সূর্য যেমন অন্ধকার ভেঙে আকাশকে নতুন আলো দেয়, তেমনই বাংলাদেশকে সেই নতুন সূর্য খুঁজে নিতে হবে, হারিয়ে যাওয়া আত্মার দীপ্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।
কি হয়? হেরেই কি শেষ? না, শুধু শুরু।
টাইগাররা রণভূমিতে অপেক্ষা করছে — আলোকে ফিরে আসার লড়াইতে।
রাত যতই গভীরে হোক — ভোর যে সক্রিয় হবে, সে আশা রাখতে হবে।
হারের ঘোরে নড়ে না—হারে উঠে দাঁড়াতে হবে।
এই যাত্রা যে শেষ নয়, সে লেখা হবে একদিন — জয়–আলো–আত্মবিশ্বাসের অধ্যায়ে।
আবুধাবির প্রকৃতিতে আলো-ছায়ার খেলা যখন সন্ধ্যার আবরণে ঢেকে যাচ্ছিল, বাংলাদেশের ইনিংসের আলো নিভে গেছে তার অনেক আগেই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যা ঘটল, তা নতুন কিছু নয়, বরং পুরনো এক হতাশার প্রতিধ্বনি।
১ দিন আগেফুটবল এক বিস্ময়কর নাট্যমঞ্চ। যেখানে প্রতিটি পাস, প্রতিটি দৌড়, প্রতিটি নিশ্বাসে গল্প লেখা হয় জয়ের বা পরাজয়ের। গতরাতে হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের ফুটবল ম্যাচ যেন ছিল এক দীর্ঘশ্বাসের মঞ্চায়ন।
২ দিন আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত দুই পরিচালকের একজন হয়েছিলেন ব্যবসায়ী ইসফাক আহসান। তবে এনএসসি সোমবার (৬ অক্টোবর) বিসিবির নির্বাচনের পর রাতেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার কারণে ইসফাকের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেসরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আদালতে পাল্টাপাল্টি রিট—গত কয়েক মাস ধরে বিতর্ক আর নাটকের চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
৭ দিন আগে