leadT1ad

শপথ নিলেন জাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেছেন।

স্ট্রিম সংবাদদাতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ১৭
নবনির্বাচিতদের শপথ বাক্য পাঠ করান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট কক্ষে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জুলাই আন্দোলনে সাভার এলাকায় নিহত শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়াম ও শহীদ শ্রাবণ গাজীর পরিবারের সদস্যরা এবং শহীদ মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন, পবিত্র গীতা, পবিত্র বাইবেল, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এরপর জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনার কাজে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করা চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এই যে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী আমল, দীর্ঘ জুলুমতন্ত্র, এই জুলুমতন্ত্রের যাঁরা অবসান ঘটিয়েছেন তাঁরা আমাদের চব্বিশের বীর শহীদেরা। সেই বীর শহীদরা আমাদের ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন, যে স্বপ্ন দেখেছেন তারই একটি বাস্তব প্রতিফলন শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনগুলো। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যাঁরা এই জায়গা থেকে সারাদেশ এবং বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে—সেটা হতে হবে আদর্শ জায়গা। সেই আদর্শ জায়গার জন্য উচিত সবার মত প্রকাশের অধিকার থাকা, সবার অধিকারগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হওয়া। সে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ যে ভূমিকা পালন করে সেটি হচ্ছে শিক্ষার্থী সংসদ।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাইকে এড্রেস করতে চাই, সবাইকে অ্যাকনলেজ করতে চাই। আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত করেছেন, আমাদের ওপর যে আস্থা সবাই রেখেছেন তার প্রতিদান আমরা আগামী এক বছরে দিতে বদ্ধপরিকর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান হলো গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের। বাংলাদেশে গণতন্ত্র হারিয়ে গিয়েছিলো। সেই গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ডাকসু-জাকসুর মাধ্যমে৷ এই নির্বাচন অনুষ্ঠান করা মানে জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনের একটি সম্ভাবনা তৈরি করা৷ বাংলাদেশকে মানুষের পছন্দের একটি সরকারের হাতে সোপর্দ করা। জাবি ক্ষুদ্র পরিসর থেকে তা চেষ্টা করেছে৷

Ad 300x250

সম্পর্কিত