leadT1ad

শেখ হাসিনার রায় ঘিরে আবার নৈরাজ্যের পাঁয়তারা চলছে: মির্জা ফখরুল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্ট্রিম ছবি

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সারা দেশে ‘অনিশ্চয়তা এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে যে ট্রায়াল হয়েছে, রায় বের হবে। এ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা ও আতঙ্ক সারা দেশে বিরাজ করছে। এটা বলার কোনো অপেক্ষা রাখে না এবং একটা মহল বাংলাদেশে আবার একটা নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য পাঁয়তারা করছে। আমাদের আজ রুখে দাঁড়াতে হবে।’

আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্য দিয়ে যে সুযোগ আমরা পেয়েছি, সেটা যেন নষ্ট না করি এবং গণতন্ত্রের উত্তোরণের পথকে যেন আমরা আরও সহজ করে তুলি, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি যে নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র পথ, যা দিয়ে গণতন্ত্রে আমরা যেতে পারব এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সেখানে আমরা প্রতিফলিত করবার চেষ্টা করতে পারব। অনেকটা বিভ্রান্তি, হতাশা এবং অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে কিন্তু এই নির্বাচনের এখন একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে যে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে কিছু গোষ্ঠী কিছু মহল আজকে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায় এবং তারা বিভিন্ন রকম দাবি তুলে নির্বাচনকে ব্যাহত, বন্ধ বা বিলম্বিত করতে চায়।’

জাতীয় নির্বাচনের ওপরে গুরুত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। নির্বাচিত সরকার না থাকলে আরো খারাপ হবে। দিন দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ হচ্ছে। নির্বাচিত সরকার না থাকলে খুবই খারাপ হবে।’

এ সময় তিনি মওলানা ভাসানীর আদর্শ ও কর্মের ওপর আলোকপাত করে বলেন, ‘মওলানা ভাসানী দেশকে, রাষ্ট্রকে একটা সত্যিকার একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। আমাদের নেতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মধ্যে তিনি সেই নেতা দেখতে পেয়েছিলেন, যে নেতা এই দেশের ভাগ্যে পরিবর্তন আনতে পারে। বিএনপি করলেও আমাদের একটা দায় আছে মওলানা ভাসানীর প্রতি। সে দায়টা হচ্ছে, যিনি আমাদের নেতা, জিয়াউর রহমানকে তিনি দোয়া করেছিলেন। তিনি মশিউর রহমান জাদু মিয়াকে যে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এই দায়গুলো আমাদের স্বীকার করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বই পড়া উচিত, তাঁর জীবনী পড়া উচিত এবং তাকে আমাদের ফলো করা উচিত। আমরা সেটা করি না। আমরা আজকাল কেউ পড়ি না। এই একটা মোবাইল সেট আছে, এটার মধ্যে ফেসবুক চালাতে থাকি। আর কোনো কিছু দেখার দায় আমাদের কাছে নাই।’

এ কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতি একটা বিভ্রান্ত অবস্থার মধ্যে চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত