leadT1ad

নির্বাচনী অনিয়ম ঠেকাতে মনিটরিং সেল চাইলেন রূহিন হোসেন প্রিন্স

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ০৮
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রূহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সাধারণত তফসিল ঘোষণার পর অভিযোগের ভিত্তিতে আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করে, যা যথেষ্ট নয়। আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ বছরব্যাপী একটি কার্যক্রম হওয়া উচিত।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপকে সামনে রেখে শনিবার (১৩ নভেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি আলোচ্যসূচির কার্যকারিতা এবং কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ ও দাবি তুলে ধরেন।

বিবৃতিতে প্রিন্স উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের জন্য নির্ধারিত ১১টি আলোচ্যসূচির মধ্যে নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট সংক্রান্ত ৩টি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার ও ভুয়া তথ্য প্রতিরোধ বিষয়ে ২টি বিষয় রয়েছে। তাঁর মতে, এসব আলোচনায় আচরণবিধির সংযোজন বা পরিবর্তন নিয়ে কথা হলেও এর কার্যকর প্রয়োগ নিয়ে কোনো কার্যকর সমাধান নাও আসতে পারে।

প্রিন্স বলেন, নির্বাচন কমিশন সাধারণত তফসিল ঘোষণার পর অভিযোগের ভিত্তিতে আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করে, যা যথেষ্ট নয়। তিনি মন্তব্য করেন, আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ সারাবছর – ৩৬৫ দিনের একটি কার্যক্রম হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোকে আচরণবিধি মানতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কমিশনেরও সার্বক্ষণিকভাবে এটি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

নির্বাচনী এজেন্টদের জন্য ভয়মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রিন্স বলেন, প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এজেন্টদের নিরাপদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ তৈরি করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে দৃশ্যমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এবারের নির্বাচনে “ভুল তথ্য ও এআই-এর অপব্যবহার” বড় সংকট হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠনের আহ্বান জানান প্রিন্স। এসব সেল থেকে সঠিক তথ্য জনগণের কাছে তুলে ধরা এবং ভুয়া তথ্য ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার ও সাম্প্রদায়িক প্রচারণাকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, এ ধরনের প্রচারণা ইতিমধ্যেই বাড়ছে, কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি এ বিষয়ে “শেষ হুঁশিয়ারি” দিয়ে কমিশনকে কঠোর হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান।

বিবৃতির শেষে রূহিন হোসেন প্রিন্স আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন শুধু আলোচনার মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবে না, বরং দৃশ্যমান পদক্ষেপের মাধ্যমে আচরণবিধির বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের হাতে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করতেই দেওয়া হয়েছে। তরুণ ও সচেতন নাগরিকদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের তথ্য দিয়ে কমিশনকে সহায়তা করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিশেষ সেল গঠনের পরামর্শও দেন তিনি। তাঁর মতে, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম করতে পারে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত