leadT1ad

নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান চায় বামপন্থী সাত দল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৫৭
বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছয় দল ও বাংলাদেশ জাসদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। সংগৃহীত ছবি

জনগণের নতুন বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উত্থান চায় বামপন্থী সাত দল। নতুন এই বিকল্প শক্তির উত্থানে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছয় দল ও বাংলাদেশ জাসদ মিলে আগামী ২৯ নভেম্বর জাতীয় কনভেনশনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কার্যালয় মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়। জাতীয় কনভেনশনে অন্যান্য গণতন্ত্রমনা প্রগতিশীল দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে এই বিকল্প রাজনৈতিক স্রোতে মিলিত হওয়ার আহ্বান জানায় নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা নতুন রাজনীতি দেখতে চাই। দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে দেশে পর্যায়ক্রমে নৌকা–ধানের শীষ, দাঁড়িপাল্লা–লাঙ্গল ইত্যাদি মার্কা সরকার দেখেছি। দেখা হয়েছে সামরিক সরকারের অপশাসন ও দুঃশাসন। এদিকে দেশ আজ গভীর সংকট ও ধ্বংসের মুখোমুখি। মানুষ অতীত ও বর্তমানের এসব বৈষম্য থেকে চিরস্থায়ী মুক্তি চায়।

সংবাদ সম্মেলনে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির লক্ষ্যে ৮ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনা পড়ে শোনান বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। প্রস্তাবনাগুলো হলো—মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ রক্ষা; মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ; ২০২৪-এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ হতে না দেওয়া; ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সংগঠিত খুন–গুম–লুণ্ঠন ও সম্পদ পাচারের উপযুক্ত বিচার করা; নব্য ফ্যাসিবাদ ও উগ্র ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান প্রতিরোধ; গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় জাতীয় সংসদের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান ও নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখা; শোষণ, লুণ্ঠন, গুম–খুন, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিপরীতে মুক্ত জনবান্ধব শাসন কায়েম করা।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, কর্মসংস্থানভিত্তিক উন্নয়ন কৌশল অবলম্বন, আধুনিক সার্বজনীন একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা এবং দরিদ্রবান্ধব জনস্বাস্থ্যভিত্তিক সার্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা বাস্তবায়ন; সব ধরনের বৈষম্যমুক্ত সমাজ–অর্থনীতি–রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা; বিদেশি শোষণের নিয়ন্ত্রণমুক্ত দেশ গড়ে তোলা; জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করে সমমর্যাদার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নীতি মেনে চলা; সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবিরোধী আগ্রাসন–লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলা।

দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় আন্দোলন–সংগ্রাম ও নির্বাচনে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতেই নতুন বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উত্থান নিয়ে এ কনভেনশনের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান বক্তারা। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ২৯ নভেম্বর সকাল ১০টায় এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছয়টি দল এবং বাংলাদেশ জাসদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) এবং বাংলাদেশ জাসদ—এই সাত দলের উদ্যোগে আয়োজিত হবে জাতীয় কনভেনশন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত