.png)

সালেহ ফুয়াদ

বাবা জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। ছেলে একই এলাকার বিএনপির প্রভাবশালী নেতা। বরিশালে এক সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাবাকে ইউটিউব দেখে শেখা পাইলটের সঙ্গে তুলনা করে দেওয়া তাঁর বক্তব্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সারা দেশে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াত নেতা কামরুল ইসলাম খান। তিনি বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝড়া) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। তাঁর ছেলে আরাফাত বিল্লাহ খান একই এলাকার বিএনপির প্রভাবশালী নেতা।
গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বরিশালের গৌরনদীর পাইলট স্কুল মাঠে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব হুমায়ুন কবির। সমাবেশে বরিশাল-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের উপস্থিতিতে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীর ছেলে আরাফাত বিল্লাহ খান তাঁর পিতাকে ইঙ্গিত করে একটি ভাষণ দেন। ভাষণটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে চাপের মুখে পড়েন ওই জামায়াত নেতা। এরপর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেন তিনি।
ওইদিন ভাষণে বিএনপি নেতা আরাফাত বিল্লাহ খান বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমার বাবা কামরুল ইসলাম খান জামায়াত থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। আপনাদের কেউ যদি বলে, আপনি যে বিমানে ওঠেছেন সেই বিমানের পাইলট ইউটিউব দেখে বিমান চালানো শিখেছেন, তাহলে আপনারা কি সেই বিমানে ভ্রমণ করবেন?’ জনসভা থেকে এসময় সমস্বরে ‘না’ বলতে শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আরাফাত বিল্লাহ খান আবার বলেন, ‘কেন করবেন না? কারণ তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই, কোনো এক্সপেরিয়েন্স (অভিজ্ঞতা) নাই।’

তাঁর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরে তাঁর পিতা কামরুল ইসলাম খান ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার বড় ছেলে আরাফাতকে শিবির করার জন্য অনেক বুঝিয়েছি, অনেক চাপ সৃষ্টি করেছি। আমি ব্যর্থ হয়েছি। তাকে দিয়ে শিবির করাতে পারিনি। আমি একজন ব্যর্থ পিতা। আমার বড় ছেলের সাথে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করলাম জামায়াতে ইসলামীর নমিনির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার জন্য।’
এর আগে আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়ে ছেলের ভাষণের প্রেক্ষাপটে তিনি লেখেন, ‘আমাকে পিতা পরিচয় দিয়ে গতকাল ৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ গৌরনদী পাইলট স্কুল মাঠে বিএনপির পক্ষ নিয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তাতে কেহ হতাশ হবেন না। আমি আজ চিকিৎসা শেষে ঢাকা থেকে বাসায় ফিরে দুই উপজেলার আমির, আসন পরিচালক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে জরুরী বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব ইনশাআল্লাহ।’
যোগাযোগ করা হলে জামায়াতের এই নেতা স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে অনেক শখ কইরা আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়াইছি। ও আমার ঘরের সামনে এমন একটা বক্তৃতা করে গেছে যে, এতে আমার সারা জীবনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষের পথে। আমি তো ঢাকায় ছিলাম। এইটার বিশাল ইফেক্ট পড়েছে এলাকায়। ছেলেটার বক্তৃতায় সব এলোমেলো হয়ে গেছে। আমি মুরব্বি মানুষ, হার্টে তিনটা রিং পড়ানো, একটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। আমার পরিচয় দেওয়ার পরেই সে কথাটা বলেছে। এই কথাটা সে না বললেও পারতো ওখানে।’
জামায়াতের এই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জানান, তাঁর আসনটি জামায়াতের সি ক্যাটাগরির আসন ছিল। এটিকে নিজের নির্বাচনী প্রচারণা ও শ্রম-ঘাম দিয়ে বি ক্যাটাগরিতে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছেন। স্ট্রিমকে তিনি জানান, তাঁর হার্টে তিনটি রিং পড়ানো রয়েছে। এরপরেও তিন মাস অমানুষিক পরিশ্রম করে আসনটিকে বি ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসতে পেরেছেন।
কামরুল ইসলাম খান স্ট্রিমকে আরও জানান, তাঁর ছেলে অনেক মেধাবী ও বড় রাজনীতিবিদ। তবে বাপ জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী হওয়ায় তাঁর ছেলেও নিজ দলের ভেতরে বেশ চাপে আছে। কামরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তারেক জিয়া পর্যন্ত খবর চলে গেছে যে, তার বাবা জামায়াতের নমিনি। জামায়াতের নমিনির ছেলে যদি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হয়ে যায় তাহলে একটা ঝামেলা হয়ে গেল না! এইটাকে কাভার দেওয়ার জন্য নাকি অন্য কিছুর জন্য কথাটা বলেছে; মাথায় ধরে না।’
আরও দুই মাস আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, তাঁর খুব ইচ্ছা ছিল ছেলে তাঁর দলের (জামায়াতের) রাজনীতি করবে। কিন্তু তা না করে বিরোধী পক্ষের রাজনীতি করায় তিনি রাজনৈতিক ও মানসিক চাপে পড়েছেন। ছেলের ভাষণের পরে নিজ দলের নেতাকর্মীদের দুই শ ফোন কল পেয়েছেন বলেও জানান কামরুল ইসলাম খান।
অন্যদিকে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা স্ট্রিমকে আরাফাত বিল্লাহ খান বলেন, ‘বিষয়টা আমি পরিষ্কার করেছি শুধু। আমি আমার পার্টির প্রতি লয়াল (বিশ্বস্ত)। তিনি জামায়াত করেন এটা তাঁর পছন্দের বিষয়, আমি বিএনপি করি এটা আমার পছন্দের বিষয়। বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে আমাদের এই সুযোগটুকু দেওয়া উচিত। এটা নিয়ে আসলে বিরূপ মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত সাত তারিখ যে প্রোগ্রাম ছিল, সেখানে স্বপন ভাই (বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী এম জহির উদ্দিন স্বপন) ছিলেন, চিফ গেস্ট ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। যেহেতু ধারাবাহিকভাবে আলোচনা হচ্ছে, আমি বিএনপির অথচ আমার বাবা জামায়াতের প্রার্থী। জামায়াতের লোকেরাই এগুলো বলছে, ফলে বিষয়টা ক্লিয়ার (স্পষ্ট) করেছি যে, আমার বাবা এখানকার জামায়াতের নমিনি এবং আমি হচ্ছি বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত পঁচিশ বছর ধরে। তো, আমরা রাজনৈতিকভাবে অবশ্যই সেই দলকে ভোট দেব, যাঁদের রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে।’

আরাফাত বিল্লাহ খান ঢাকা স্ট্রিমকে জানান, এই কথাগুলো বোঝাতেই তিনি ইউটিউব থেকে বিমান চালানো শেখা পাইলটের উদাহরণ টেনেছেন। অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন তাঁর দল বিএনপি তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, জহির উদ্দিন স্বপনও দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন, ফলে বিএনপি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।
আরাফাত বিল্লাহ খান বলেন, ‘আমি পঁচিশ বছর ধরে ছাত্ররাজনীতি করি, ছাত্রদল-যুবদল-বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত। খুব সচেতনভাবেই এই সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব উদারচিত্তের মানুষ। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি বিদ্বেষ আমি বিলং করি না। বাবা নমিনেশন পাওয়ার পর থেকেই জামায়াত-শিবিরের যারা আছেন, তারা নানাভাবে আমাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করছেন। স্বাভাবিক সেন্সে নেওয়ার মতো নয় বিষয়গুলো। তারপরেও আমি কখনো কোনো রিয়েক্ট (প্রতিক্রিয়া) করি নাই। আমি বোঝায়া বোঝায়া বলতাম বিষয়গুলো। আমি জানি, সমাজের সবার চিন্তা সমান হয় না।’
মাঠের রাজনীতির কী প্রভাব পরিবারে পড়ছে জানতে চাইলে আরাফাত বিল্লাহ খান জানান, রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি পাঁচবার গ্রেপ্তার হয়েছেন ও জেল খেটেছেন। ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তিনি সামলে নিতে অভ্যস্ত। কিন্তু পিতাপুত্রের রাজনৈতিক বিরোধ তার পরিবারে বেশ প্রভাব ফেলেছে।
আরাফাত বিল্লাহ বলেন, ‘আমার ওয়াইফ আপসেট (হতাশ) হয়ে পড়েছে। আমার মা-বোন ও ভাইরাও আপসেট। বাবা সেই হিসেবে নয়; রাজনৈতিক ভিন্ন চিন্তা ভিন্ন মত ধারণ করলেই যে সেটা পরিবার পর্যন্ত গড়ায় এটা আসলে সবার জন্যেই খুবই অস্বস্তিকর।’

বাবা জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। ছেলে একই এলাকার বিএনপির প্রভাবশালী নেতা। বরিশালে এক সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাবাকে ইউটিউব দেখে শেখা পাইলটের সঙ্গে তুলনা করে দেওয়া তাঁর বক্তব্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সারা দেশে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াত নেতা কামরুল ইসলাম খান। তিনি বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝড়া) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। তাঁর ছেলে আরাফাত বিল্লাহ খান একই এলাকার বিএনপির প্রভাবশালী নেতা।
গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বরিশালের গৌরনদীর পাইলট স্কুল মাঠে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব হুমায়ুন কবির। সমাবেশে বরিশাল-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের উপস্থিতিতে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীর ছেলে আরাফাত বিল্লাহ খান তাঁর পিতাকে ইঙ্গিত করে একটি ভাষণ দেন। ভাষণটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে চাপের মুখে পড়েন ওই জামায়াত নেতা। এরপর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেন তিনি।
ওইদিন ভাষণে বিএনপি নেতা আরাফাত বিল্লাহ খান বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমার বাবা কামরুল ইসলাম খান জামায়াত থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। আপনাদের কেউ যদি বলে, আপনি যে বিমানে ওঠেছেন সেই বিমানের পাইলট ইউটিউব দেখে বিমান চালানো শিখেছেন, তাহলে আপনারা কি সেই বিমানে ভ্রমণ করবেন?’ জনসভা থেকে এসময় সমস্বরে ‘না’ বলতে শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আরাফাত বিল্লাহ খান আবার বলেন, ‘কেন করবেন না? কারণ তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই, কোনো এক্সপেরিয়েন্স (অভিজ্ঞতা) নাই।’

তাঁর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরে তাঁর পিতা কামরুল ইসলাম খান ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার বড় ছেলে আরাফাতকে শিবির করার জন্য অনেক বুঝিয়েছি, অনেক চাপ সৃষ্টি করেছি। আমি ব্যর্থ হয়েছি। তাকে দিয়ে শিবির করাতে পারিনি। আমি একজন ব্যর্থ পিতা। আমার বড় ছেলের সাথে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করলাম জামায়াতে ইসলামীর নমিনির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার জন্য।’
এর আগে আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়ে ছেলের ভাষণের প্রেক্ষাপটে তিনি লেখেন, ‘আমাকে পিতা পরিচয় দিয়ে গতকাল ৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ গৌরনদী পাইলট স্কুল মাঠে বিএনপির পক্ষ নিয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তাতে কেহ হতাশ হবেন না। আমি আজ চিকিৎসা শেষে ঢাকা থেকে বাসায় ফিরে দুই উপজেলার আমির, আসন পরিচালক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে জরুরী বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব ইনশাআল্লাহ।’
যোগাযোগ করা হলে জামায়াতের এই নেতা স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে অনেক শখ কইরা আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়াইছি। ও আমার ঘরের সামনে এমন একটা বক্তৃতা করে গেছে যে, এতে আমার সারা জীবনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষের পথে। আমি তো ঢাকায় ছিলাম। এইটার বিশাল ইফেক্ট পড়েছে এলাকায়। ছেলেটার বক্তৃতায় সব এলোমেলো হয়ে গেছে। আমি মুরব্বি মানুষ, হার্টে তিনটা রিং পড়ানো, একটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। আমার পরিচয় দেওয়ার পরেই সে কথাটা বলেছে। এই কথাটা সে না বললেও পারতো ওখানে।’
জামায়াতের এই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জানান, তাঁর আসনটি জামায়াতের সি ক্যাটাগরির আসন ছিল। এটিকে নিজের নির্বাচনী প্রচারণা ও শ্রম-ঘাম দিয়ে বি ক্যাটাগরিতে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছেন। স্ট্রিমকে তিনি জানান, তাঁর হার্টে তিনটি রিং পড়ানো রয়েছে। এরপরেও তিন মাস অমানুষিক পরিশ্রম করে আসনটিকে বি ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসতে পেরেছেন।
কামরুল ইসলাম খান স্ট্রিমকে আরও জানান, তাঁর ছেলে অনেক মেধাবী ও বড় রাজনীতিবিদ। তবে বাপ জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী হওয়ায় তাঁর ছেলেও নিজ দলের ভেতরে বেশ চাপে আছে। কামরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তারেক জিয়া পর্যন্ত খবর চলে গেছে যে, তার বাবা জামায়াতের নমিনি। জামায়াতের নমিনির ছেলে যদি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হয়ে যায় তাহলে একটা ঝামেলা হয়ে গেল না! এইটাকে কাভার দেওয়ার জন্য নাকি অন্য কিছুর জন্য কথাটা বলেছে; মাথায় ধরে না।’
আরও দুই মাস আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, তাঁর খুব ইচ্ছা ছিল ছেলে তাঁর দলের (জামায়াতের) রাজনীতি করবে। কিন্তু তা না করে বিরোধী পক্ষের রাজনীতি করায় তিনি রাজনৈতিক ও মানসিক চাপে পড়েছেন। ছেলের ভাষণের পরে নিজ দলের নেতাকর্মীদের দুই শ ফোন কল পেয়েছেন বলেও জানান কামরুল ইসলাম খান।
অন্যদিকে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা স্ট্রিমকে আরাফাত বিল্লাহ খান বলেন, ‘বিষয়টা আমি পরিষ্কার করেছি শুধু। আমি আমার পার্টির প্রতি লয়াল (বিশ্বস্ত)। তিনি জামায়াত করেন এটা তাঁর পছন্দের বিষয়, আমি বিএনপি করি এটা আমার পছন্দের বিষয়। বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে আমাদের এই সুযোগটুকু দেওয়া উচিত। এটা নিয়ে আসলে বিরূপ মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত সাত তারিখ যে প্রোগ্রাম ছিল, সেখানে স্বপন ভাই (বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী এম জহির উদ্দিন স্বপন) ছিলেন, চিফ গেস্ট ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। যেহেতু ধারাবাহিকভাবে আলোচনা হচ্ছে, আমি বিএনপির অথচ আমার বাবা জামায়াতের প্রার্থী। জামায়াতের লোকেরাই এগুলো বলছে, ফলে বিষয়টা ক্লিয়ার (স্পষ্ট) করেছি যে, আমার বাবা এখানকার জামায়াতের নমিনি এবং আমি হচ্ছি বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত পঁচিশ বছর ধরে। তো, আমরা রাজনৈতিকভাবে অবশ্যই সেই দলকে ভোট দেব, যাঁদের রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে।’

আরাফাত বিল্লাহ খান ঢাকা স্ট্রিমকে জানান, এই কথাগুলো বোঝাতেই তিনি ইউটিউব থেকে বিমান চালানো শেখা পাইলটের উদাহরণ টেনেছেন। অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন তাঁর দল বিএনপি তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, জহির উদ্দিন স্বপনও দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন, ফলে বিএনপি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।
আরাফাত বিল্লাহ খান বলেন, ‘আমি পঁচিশ বছর ধরে ছাত্ররাজনীতি করি, ছাত্রদল-যুবদল-বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত। খুব সচেতনভাবেই এই সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব উদারচিত্তের মানুষ। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি বিদ্বেষ আমি বিলং করি না। বাবা নমিনেশন পাওয়ার পর থেকেই জামায়াত-শিবিরের যারা আছেন, তারা নানাভাবে আমাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করছেন। স্বাভাবিক সেন্সে নেওয়ার মতো নয় বিষয়গুলো। তারপরেও আমি কখনো কোনো রিয়েক্ট (প্রতিক্রিয়া) করি নাই। আমি বোঝায়া বোঝায়া বলতাম বিষয়গুলো। আমি জানি, সমাজের সবার চিন্তা সমান হয় না।’
মাঠের রাজনীতির কী প্রভাব পরিবারে পড়ছে জানতে চাইলে আরাফাত বিল্লাহ খান জানান, রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি পাঁচবার গ্রেপ্তার হয়েছেন ও জেল খেটেছেন। ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তিনি সামলে নিতে অভ্যস্ত। কিন্তু পিতাপুত্রের রাজনৈতিক বিরোধ তার পরিবারে বেশ প্রভাব ফেলেছে।
আরাফাত বিল্লাহ বলেন, ‘আমার ওয়াইফ আপসেট (হতাশ) হয়ে পড়েছে। আমার মা-বোন ও ভাইরাও আপসেট। বাবা সেই হিসেবে নয়; রাজনৈতিক ভিন্ন চিন্তা ভিন্ন মত ধারণ করলেই যে সেটা পরিবার পর্যন্ত গড়ায় এটা আসলে সবার জন্যেই খুবই অস্বস্তিকর।’
.png)

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামতের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। যারা চব্বিশের জুলাইতে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে, তারা প্রয়োজনে আবারও রাজপথে গণজোয়ার তৈরি করবে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বিবৃতি দিয়ে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের ‘হামলা’, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহারের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামীতে দেশে সব ধর্ম ও গোত্রের মানুষের সমান মর্যাদা থাকবে এবং কোনো ধরনের ভেদাভেদ থাকবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সেইভাবে গড়ে তুলতে চাই, যেখানে সকল ধর্মের, সকল গোত্রের মানুষের সমান মর্যাদা থাকবে।’
১ দিন আগে