মো. ফজলে রেজা সুমন

ঢাকার খুব কাছে মধুপুর ফল্ট লাইনের অবস্থান। যে কারণে ঢাকা শহর নিশ্চিতভাবে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার (২১ নভেম্বর) যে ফল্ট থেকে ভূকম্পন হয়েছে, সেটির অবস্থান নরসিংদীতে। রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ছিল সকালে ৫ দশমিক ৫।
ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূকম্পনের উৎপত্তি এবং উৎসমুখের অবস্থান ঢাকা শহরের খুব কাছাকাছি হওয়ায়, এখানে কম্পন অনেক বেশি অনুভূত হয়েছে। এটি ঢাকা শহরের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বার্তা। এজন্য রাজধানীর ভবিষ্যতের জন্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঢাকা শহর অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। শহরের কোন কোন অঞ্চল সবচেয়ে ঝুঁকিতে, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। কারণ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাপিং হয়নি। তবে ২০২২ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) একটি সমীক্ষার মাধ্যমে ঝুঁকি প্রশমন ম্যাপ তৈরি করেছিল। আমরা পরিকল্পনাবিদরা ওই ম্যাপকে ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করতে অনুরোধ করেছিলাম।
এটি করা গেলে বোঝা যাবে, কোন ভূমির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সেই ঝুঁকি প্রশমনে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কিন্তু সেটি করা হয়নি। এমনকি রাজউকের সেই ম্যাপ জনসম্মুখে প্রকাশ পর্যন্ত করা হয়নি।
এর আগে ঝুঁকি প্রশমনে যেসব পরিকল্পনা হয়েছে, সেগুলো মূলত মধুপুর ফল্ট বিবেচনায়। এখন ঢাকার আরও কাছে নরসিংদী, এমনকি ঢাকার ভেতরে বাড্ডায় ভূমিকম্পের উৎপত্তি হচ্ছে। নরসিংদীতে বারংবার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হওয়ায় ধারণা করা যায়, এ অঞ্চলের আশেপাশে ভূমিকম্পের আরেকটি ফল্ট বিদ্যমান। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। ঢাকার আশেপাশের এই কেন্দ্রগুলোর ভূমিকম্পের ব্যাপ্তি আরও বেশি সময় ধরে এবং একটু উচ্চমাত্রায় হয়, তাহলে ফলাফল খুবই ভয়ংকর হতে পারে।
ঢাকা শহরের যেসব এলাকা সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ, সেখানে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এই বিবেচনায় বাড্ডা ও এর আশেপাশের এলাকা উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর উচ্চঝুঁকিতে আছে। বিশেষ করে পুরোনো ঢাকা অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ সেখানকার অধিকাংশ ভবন প্রকৌশল পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্মিত হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমনে সরকারকে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেগুলো বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়নি। ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমনে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোডের (বিএনবিসি) নির্দেশনা মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজউকের। বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে তদারকি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স

ঢাকার খুব কাছে মধুপুর ফল্ট লাইনের অবস্থান। যে কারণে ঢাকা শহর নিশ্চিতভাবে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার (২১ নভেম্বর) যে ফল্ট থেকে ভূকম্পন হয়েছে, সেটির অবস্থান নরসিংদীতে। রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ছিল সকালে ৫ দশমিক ৫।
ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূকম্পনের উৎপত্তি এবং উৎসমুখের অবস্থান ঢাকা শহরের খুব কাছাকাছি হওয়ায়, এখানে কম্পন অনেক বেশি অনুভূত হয়েছে। এটি ঢাকা শহরের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বার্তা। এজন্য রাজধানীর ভবিষ্যতের জন্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঢাকা শহর অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। শহরের কোন কোন অঞ্চল সবচেয়ে ঝুঁকিতে, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। কারণ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাপিং হয়নি। তবে ২০২২ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) একটি সমীক্ষার মাধ্যমে ঝুঁকি প্রশমন ম্যাপ তৈরি করেছিল। আমরা পরিকল্পনাবিদরা ওই ম্যাপকে ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করতে অনুরোধ করেছিলাম।
এটি করা গেলে বোঝা যাবে, কোন ভূমির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সেই ঝুঁকি প্রশমনে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কিন্তু সেটি করা হয়নি। এমনকি রাজউকের সেই ম্যাপ জনসম্মুখে প্রকাশ পর্যন্ত করা হয়নি।
এর আগে ঝুঁকি প্রশমনে যেসব পরিকল্পনা হয়েছে, সেগুলো মূলত মধুপুর ফল্ট বিবেচনায়। এখন ঢাকার আরও কাছে নরসিংদী, এমনকি ঢাকার ভেতরে বাড্ডায় ভূমিকম্পের উৎপত্তি হচ্ছে। নরসিংদীতে বারংবার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হওয়ায় ধারণা করা যায়, এ অঞ্চলের আশেপাশে ভূমিকম্পের আরেকটি ফল্ট বিদ্যমান। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। ঢাকার আশেপাশের এই কেন্দ্রগুলোর ভূমিকম্পের ব্যাপ্তি আরও বেশি সময় ধরে এবং একটু উচ্চমাত্রায় হয়, তাহলে ফলাফল খুবই ভয়ংকর হতে পারে।
ঢাকা শহরের যেসব এলাকা সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ, সেখানে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এই বিবেচনায় বাড্ডা ও এর আশেপাশের এলাকা উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর উচ্চঝুঁকিতে আছে। বিশেষ করে পুরোনো ঢাকা অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ সেখানকার অধিকাংশ ভবন প্রকৌশল পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্মিত হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমনে সরকারকে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেগুলো বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়নি। ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমনে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোডের (বিএনবিসি) নির্দেশনা মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজউকের। বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে তদারকি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় ঘনঘন ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় নগরবাসীর মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে ঢাকার ঝুঁকি এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খানের সঙ্গে কথা বলেছে স্ট্রিম। এখানে সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত রইলো।
৩ ঘণ্টা আগে
ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। শক্তিশালী ভূমিকম্প যদি হয়ে যায়, বাংলাদেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। কারণ, এটি নিয়ে বাংলাদেশের পূর্বপ্রস্তুতি অত্যন্ত কম। আমাদের প্রস্তুতি বাড়াতে হবে, এর বিকল্প নেই।
১ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই সিদ্ধান্ত কেবল একটি পুরনো আইনি ব্যবস্থার প্রত্যাবর্তন নয়, বরং এটি দেশের ভঙ্গুর নির্বাচনী ব্যবস্থায় আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং গণতান্ত্রিক যাত্
১ দিন আগে
এই লেখা এমন এক লেখা যা বছর বছর পুনর্লিখন করা লাগে। সর্বশেষ করেছিলাম ২০২৪ এর জুনের ২৬ তারিখ কুষ্টিয়ায় চায়না ফকিরানীর বাড়িতে হামলার পরে। আজ আবার ঘষামাজা করছি, কারণ বাউল ও বাংলাদেশের অন্যতম পালাগানের শিল্পী আবুল সরকারকে 'ধর্ম অবমাননা'র দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১ দিন আগে