.png)

কয়েকদিন আগেই বিদায় নিলো ঘূর্ণিঝড় মোন্থা। এর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের দুই সমুদ্রবন্দর—চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।

বঙ্গোপসাগরের ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পশ্চিমাংশে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দুর্বল ও গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলে একটি নতুন লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।

রাজশাহীতে নেমে এসেছে এ বছরের প্রথম কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোর থেকেই রাজশাহী শহর ও আশপাশের উপজেলার গ্রামগুলোর চারপাশ মোড়ানো ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে। এই কুয়াশাময় সকাল যেন জানিয়ে দিয়েছে, আসছে শীত, আসছে স্নিগ্ধতার মৌসুম।

নভেম্বরের শুরুতেই রাজধানী ঢাকায় নেমে এলো অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি। বিকেলের দিকে কালো মেঘে ঢেকে যায় রাজধানীর আকাশ, এরপরই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। দিনের শেষ বিকেলে যেন ফিরে এলো বর্ষার আমেজ। আজ শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোন্থা’। মোন্থা একটি থাই শব্দ। থাই ভাষায় এর অর্থ সুন্দর বা সুগন্ধী ফুল। প্রতিবার ঘুর্ণিঝড় আসার আভাস পাওয়া গেলেই ঝড়

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাতে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন কাল বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১ হাজার ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে আরও ঘনীভূত হয়ে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে একথা বলা হয়েছে।

আগামীকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বিদায় নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সারা দেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ (সোমবার) সকাল ৯টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চলতি মাসেই বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর প্রভাব এখনই দেখা দেবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে জানানো হয়েছে ।