
.png)

ভাবুন তো, ভূমিকম্পে আপনার বাড়ি নড়ছে আর আপনি ভাবছেন, নিচে নিশ্চিত কোনো বিশাল প্রাণী তার লেজ নাড়াচ্ছে! অথবা কোথাও চলছে দেবতা-দৈত্যের লড়াই, কোথাও বিশাল কোনো মাছ দিচ্ছে হাঁচি! বিজ্ঞানকে খানিকক্ষণের জন্য আলমারিতে তুলে রেখে, ভূমিকম্প নিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রচলিত কিছু মজাদার লোককথা জেনে নেওয়া যাক

সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সেখানে পাঠদান বন্ধ রেখে বিকল্প ব্যবস্থা বা প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস চালুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জননিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ঝুঁকি নিরূপণ ও ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের হস্তক্ষেপের ক্ষমতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

নরসিংদীর পলাশে ভূমিকম্পের আতঙ্ক এখনো কাটেনি। রোববার রাতজুড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শতশত মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা মাঠ, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঈদগাহে আশ্রয় নিয়ে কাটান। ভূমিকম্প আবার হতে পারে—এমন গুজবে শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।

ভূমিকম্পে করণীয় কী? ব্যাখ্যা করেছেন বুয়েটের ড. রাকিব আহসান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিরূপণের জন্য নিরীক্ষা চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল কার্যালয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের ভবনে এক্সপ্যানশন জয়েন্ট সরে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি পরবর্তী গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির সেই সেফটি মডেল কীভাবে আমরা আমাদের বাসাবাড়িতে অ্যাপ্লাই করতে পারি? আজকে চলুন জেনে নেই এমন কিছু গুড প্র্যাকটিস সমন্ধে যেগুলো ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আমাদের একটু হলেও সহায়তা করতে পারে।

মাত্র ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার নরসিংদীর মাধবদী থেকে সরে গাজীপুরের বাইপাইলে, এবং সেখান থেকে একেবারে ঢাকার বাড্ডার দিকে চলে এসেছে।

যেকোনো দুর্যোগই (বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা ভূমিকম্প) মানুষের জীবনকে সংখ্যায় পর্যবসিত করে। কিন্তু সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্প সেই সংখ্যায়ও যেন এক ভয়ংকর বিভাজন রেখা টেনে দিল। সেই বিভাজনের নাম—প্রাপ্তবয়স্ক বনাম অপ্রাপ্তবয়স্ক, সচেতন বনাম অসহায়, রাজনৈতিক উপযোগিতা বনাম অনুপযোগিতা।

প্রকৃতি তার নিজস্ব ভাষায় সতর্কবার্তা পাঠায়, কিন্তু মানুষ কি সেই ভাষা বুঝতে পারছে? সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় যেভাবে ঘন ঘন ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে, তা আমাদের অস্তিত্বের প্রতি এক বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছুড়ে দিয়েছে।

ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) চার দিন সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ভূমিকম্প শব্দটি আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। বাংলার ইতিহাসে বড় ভূমিকম্পগুলোর প্রভাব শুধু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। ভূমিকম্পে নদীও তার পুরোনো পথ ছেড়ে নতুন পথ খুঁজে নিয়েছে।

আন্দামান সাগরে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে হওয়া এই ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের দাওয়েই শহর থেকে ২৬৭ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে আন্দামান সাগরে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের পর আমাদের নিউজফিড ভরে গেছে ঘর এবং অফিসের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে। ফ্যান দুলছে, আসবাবপত্র নড়ছে, বাচ্চারা ভয়ে কুঁকড়ে আছে কিংবা অফিসের কর্মীরা আতঙ্কে দৌড়ে পালাচ্ছে। আচ্ছা, এই ফুটেজগুলো আমরা কেন শেয়ার করি?

ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আগামীকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একবিংশ শতাব্দীতে তথ্য আলোর গতিতে ছুটলেও ভূকম্পন তরঙ্গের বেগ শব্দে। এই দুই গতির মধ্যবর্তী যে নগণ্য সময়ের ব্যবধান, সেখানেই লুকিয়ে থাকে হাজারো মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন। ভূমিকম্পের অন্যতম জটিল ফল্ট লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশে, কম্পন অনুভূত হওয়া মাত্র সচেতন মানুষ স্মার্টফোনে তিনটি উৎসে ঢু মারেন।