ডিসমিসল্যাবের বিশ্লেষণ
বিজ্ঞাপন নীতি প্রয়োগে মেটার বড় ধরনের অসামঞ্জস্য ও ঘাটতি ধরা পড়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা ডিসমিসল্যাবের এক বিশ্লেষণে।
স্ট্রিম ডেস্ক
সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত বিজ্ঞাপনের ২৫ শতাংশকেই রাজনৈতিক হিসেবে শনাক্ত করতে পারেনি প্ল্যাটফর্ম দুটির মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। এতে বিজ্ঞাপন নীতি প্রয়োগে মেটার বড় ধরনের অসামঞ্জস্য ও ঘাটতি ধরা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা ডিসমিসল্যাবের এক বিশ্লেষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সংস্থাটি বলছে, নিয়ম না মানায় কোনো কোনো প্রার্থীর বিজ্ঞাপন মেটা বাতিল করেছে। কিন্তু অন্য অনেক প্রার্থীর বিজ্ঞাপনে একই ধরনের ভুল থাকার পরও বিজ্ঞাপন চলেছে বাধাহীনভাবে।
ডিসমিসল্যাবের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সংগৃহীত ২৩১টি বিজ্ঞাপনের মাত্র ৬৬ শতাংশ মেটার স্বচ্ছতা নীতি মেনে অর্থায়নকারীর তথ্য বা ‘ডিসক্লেইমার’সহ প্রচারিত হয়েছে। প্রায় ৯ শতাংশ বিজ্ঞাপনকে রাজনৈতিক হিসেবে শনাক্ত করার পর তথ্য না থাকায় মেটা সেগুলো সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাকি ২৫ শতাংশ বিজ্ঞাপন সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী প্রচারণা হওয়া সত্ত্বেও মেটার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা সেগুলোকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন হিসেবে চিহ্নিতই করতে পারেনি। ফলে কোনো স্বচ্ছতার তথ্য ছাড়াই এসব বিজ্ঞাপন চলেছে এবং প্রচার শেষে সাধারণ বিজ্ঞাপনের মতো অ্যাড লাইব্রেরি থেকে হারিয়েও গেছে।
অ্যাড লাইব্রেরি হলো মেটার একটি উন্মুক্ত ডিজিটাল আর্কাইভ, যেখানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সব রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যু সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন ৭ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়। অন্যদিকে, ডিসক্লেইমার হলো একটি বাধ্যতামূলক ঘোষণা, যেখানে বিজ্ঞাপনটির পেছনে কে বা কোন সংগঠন অর্থায়ন করেছে, তার পরিচয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হয়।
অনুসন্ধানে এই দ্বৈতনীতির প্রমাণও পেয়েছে ডিসমিসল্যাব। যেমন—স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আরাফাত চৌধুরীর দুটি বিজ্ঞাপন ডিসক্লেইমার না থাকার কারণে মেটা সরিয়ে নিলেও, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ তানভীর বারি হামিমের নামে তিনটি ভিন্ন পেজ থেকে চালানো ৫টি বিজ্ঞাপনে কোনো তথ্য না থাকার পরও সেগুলো সরানো হয়নি। একইভাবে, সদস্য পদপ্রার্থী আবির হাসানের একটি বিজ্ঞাপন ফেসবুক বাতিল করলেও, তারই আরও তিনটি বিজ্ঞাপন কোনো ডিসক্লেইমার ছাড়াই ভোটের পর্যন্ত চলেছে। আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী মুস্তাকীম মাহমুদ রাহীমের পেজ থেকে ডিসক্লেইমার ছাড়া সর্বোচ্চ ৫টি বিজ্ঞাপন চলেছে, যেগুলোকে মেটার সিস্টেম শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই অসামঞ্জস্যের প্রভাব সম্পর্কে ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মো. পিজুয়ার হোসেইন ডিসমিসল্যাবকে বলেন, ‘মেটা যখন কোনো বিজ্ঞাপনকে রাজনৈতিক বলে চিহ্নিত করে, তখন সেটি অনুমোদন পেতে দেরি হয় এবং এর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। কিন্তু যেসব প্রার্থীর বিজ্ঞাপন রাজনৈতিক হিসেবে ধরা পড়ে না, তারা কোনো বাধা ছাড়াই সহজে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন। ফলে প্রতিযোগিতা সমান থাকে না।’ পিজুয়ার হোসেইন মনে করেন, এর ফলে নির্বাচনে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা বা নীতির চেয়ে মেটার বিজ্ঞাপন নীতির প্রয়োগই বড় প্রভাবক হয়ে দাঁড়ায়।
ঐতিহাসিকভাবে ডাকসু নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এই ত্রুটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ডিসমিসল্যাব তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মেটা এর আগে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এমনকি হার্ভার্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও তাদের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নীতি প্রয়োগ করেছে। তাই ডাকসু নির্বাচনে এই ব্যর্থতা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি অশনি সংকেত।
এ বিষয়ে পিজুয়ার হোসেইন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘যদি জাতীয় নির্বাচনে এই ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ নীতির পুনরাবৃত্তি হয়, তবে তা নির্বাচনী প্রচারণায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ওপর জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে মেটার বিজ্ঞাপনী নীতির এই অসামঞ্জস্যতা ও দুর্বলতা ঠিক কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নে ডিসমিসল্যাব স্ট্রিমকে জানায়, ডাকসু, জাকসু নির্বাচনগুলোকে তো অনেকেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বলছে। এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেটার রাজনৈতিক বা নির্বাচন কেন্দ্রিক বিজ্ঞাপন শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় যে ত্রুটি দেখা গেছে এটি যদি জাতীয় নির্বাচনেও ঘটে তাহলে প্রার্থীদের মধ্যে প্রচারণার ক্ষেত্রে একটি বৈষম্য তৈরি হবে। ধরুন, একটি আসনের কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণাকে শনাক্তই করতে পারছে না, আবার কোনো প্রার্থী ডিসক্লেইমার না দেওয়াতে তার বিজ্ঞাপন সরিয়ে দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে যার বিজ্ঞাপন সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার প্রচারণায় বাধা তৈরি হবে। এছাড়া, মেটা যে বিজ্ঞাপনকে শনাক্ত করতে পারবে না, সে কোনো ডিসক্লেইমার দেওয়া ছাড়াই বিজ্ঞাপন চালাতে থাকবে। কেউ জানবে না তার পক্ষে কে, কত টাকা খরচ করেছে, কত দিন বিজ্ঞাপন দিয়েছে, কাদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন চালিয়েছে। এগুলো নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
ডিসমিসল্যাবের ডেটা বিশ্লেষণ থেকে আরও জানা যায়, ডাকসু নির্বাচনে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, যাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬টি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে ৪৯টি এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পক্ষে ৩৫টি বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী সর্বোচ্চ ১৯টি এবং সাহিত্য সম্পাদক প্রার্থী অনিদ হাসান ১৩টি বিজ্ঞাপন চালিয়েছেন। সমর্থকদের মধ্যে ‘আমাদের ডাকসু’ নামের একটি পেজ থেকে ছাত্রদলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১টি বিজ্ঞাপন চালানো হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনের বিভিন্ন ইস্যুকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার সময়ে কেন ডিসমিসল্যাব মেটার অ্যাড লাইব্রেরির স্বচ্ছতা নিয়ে অনুসন্ধান করল, এমন এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটি স্ট্রিমকে জানায়, যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আমরা মনিটরিং করি। গত জাতীয় নির্বাচনের সময়েও আমরা এভাবে নজর রেখেছি। এবং এটি নিয়ে আমাদের গবেষণাও প্রকাশিত হয়। এটি মূলত আমাদেরকে আরও উৎসাহিত করেছে এই কাজটি করতে। ডাকসু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ছিল। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যন্তও আমরা নিয়মিত এই ধরণের গবেষণা চালিয়ে যাব।
সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত বিজ্ঞাপনের ২৫ শতাংশকেই রাজনৈতিক হিসেবে শনাক্ত করতে পারেনি প্ল্যাটফর্ম দুটির মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। এতে বিজ্ঞাপন নীতি প্রয়োগে মেটার বড় ধরনের অসামঞ্জস্য ও ঘাটতি ধরা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা ডিসমিসল্যাবের এক বিশ্লেষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সংস্থাটি বলছে, নিয়ম না মানায় কোনো কোনো প্রার্থীর বিজ্ঞাপন মেটা বাতিল করেছে। কিন্তু অন্য অনেক প্রার্থীর বিজ্ঞাপনে একই ধরনের ভুল থাকার পরও বিজ্ঞাপন চলেছে বাধাহীনভাবে।
ডিসমিসল্যাবের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সংগৃহীত ২৩১টি বিজ্ঞাপনের মাত্র ৬৬ শতাংশ মেটার স্বচ্ছতা নীতি মেনে অর্থায়নকারীর তথ্য বা ‘ডিসক্লেইমার’সহ প্রচারিত হয়েছে। প্রায় ৯ শতাংশ বিজ্ঞাপনকে রাজনৈতিক হিসেবে শনাক্ত করার পর তথ্য না থাকায় মেটা সেগুলো সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাকি ২৫ শতাংশ বিজ্ঞাপন সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী প্রচারণা হওয়া সত্ত্বেও মেটার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা সেগুলোকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন হিসেবে চিহ্নিতই করতে পারেনি। ফলে কোনো স্বচ্ছতার তথ্য ছাড়াই এসব বিজ্ঞাপন চলেছে এবং প্রচার শেষে সাধারণ বিজ্ঞাপনের মতো অ্যাড লাইব্রেরি থেকে হারিয়েও গেছে।
অ্যাড লাইব্রেরি হলো মেটার একটি উন্মুক্ত ডিজিটাল আর্কাইভ, যেখানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সব রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যু সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন ৭ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়। অন্যদিকে, ডিসক্লেইমার হলো একটি বাধ্যতামূলক ঘোষণা, যেখানে বিজ্ঞাপনটির পেছনে কে বা কোন সংগঠন অর্থায়ন করেছে, তার পরিচয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হয়।
অনুসন্ধানে এই দ্বৈতনীতির প্রমাণও পেয়েছে ডিসমিসল্যাব। যেমন—স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আরাফাত চৌধুরীর দুটি বিজ্ঞাপন ডিসক্লেইমার না থাকার কারণে মেটা সরিয়ে নিলেও, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ তানভীর বারি হামিমের নামে তিনটি ভিন্ন পেজ থেকে চালানো ৫টি বিজ্ঞাপনে কোনো তথ্য না থাকার পরও সেগুলো সরানো হয়নি। একইভাবে, সদস্য পদপ্রার্থী আবির হাসানের একটি বিজ্ঞাপন ফেসবুক বাতিল করলেও, তারই আরও তিনটি বিজ্ঞাপন কোনো ডিসক্লেইমার ছাড়াই ভোটের পর্যন্ত চলেছে। আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী মুস্তাকীম মাহমুদ রাহীমের পেজ থেকে ডিসক্লেইমার ছাড়া সর্বোচ্চ ৫টি বিজ্ঞাপন চলেছে, যেগুলোকে মেটার সিস্টেম শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই অসামঞ্জস্যের প্রভাব সম্পর্কে ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মো. পিজুয়ার হোসেইন ডিসমিসল্যাবকে বলেন, ‘মেটা যখন কোনো বিজ্ঞাপনকে রাজনৈতিক বলে চিহ্নিত করে, তখন সেটি অনুমোদন পেতে দেরি হয় এবং এর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। কিন্তু যেসব প্রার্থীর বিজ্ঞাপন রাজনৈতিক হিসেবে ধরা পড়ে না, তারা কোনো বাধা ছাড়াই সহজে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন। ফলে প্রতিযোগিতা সমান থাকে না।’ পিজুয়ার হোসেইন মনে করেন, এর ফলে নির্বাচনে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা বা নীতির চেয়ে মেটার বিজ্ঞাপন নীতির প্রয়োগই বড় প্রভাবক হয়ে দাঁড়ায়।
ঐতিহাসিকভাবে ডাকসু নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এই ত্রুটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ডিসমিসল্যাব তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মেটা এর আগে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এমনকি হার্ভার্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও তাদের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নীতি প্রয়োগ করেছে। তাই ডাকসু নির্বাচনে এই ব্যর্থতা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি অশনি সংকেত।
এ বিষয়ে পিজুয়ার হোসেইন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘যদি জাতীয় নির্বাচনে এই ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ নীতির পুনরাবৃত্তি হয়, তবে তা নির্বাচনী প্রচারণায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ওপর জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে মেটার বিজ্ঞাপনী নীতির এই অসামঞ্জস্যতা ও দুর্বলতা ঠিক কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নে ডিসমিসল্যাব স্ট্রিমকে জানায়, ডাকসু, জাকসু নির্বাচনগুলোকে তো অনেকেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বলছে। এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেটার রাজনৈতিক বা নির্বাচন কেন্দ্রিক বিজ্ঞাপন শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় যে ত্রুটি দেখা গেছে এটি যদি জাতীয় নির্বাচনেও ঘটে তাহলে প্রার্থীদের মধ্যে প্রচারণার ক্ষেত্রে একটি বৈষম্য তৈরি হবে। ধরুন, একটি আসনের কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণাকে শনাক্তই করতে পারছে না, আবার কোনো প্রার্থী ডিসক্লেইমার না দেওয়াতে তার বিজ্ঞাপন সরিয়ে দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে যার বিজ্ঞাপন সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার প্রচারণায় বাধা তৈরি হবে। এছাড়া, মেটা যে বিজ্ঞাপনকে শনাক্ত করতে পারবে না, সে কোনো ডিসক্লেইমার দেওয়া ছাড়াই বিজ্ঞাপন চালাতে থাকবে। কেউ জানবে না তার পক্ষে কে, কত টাকা খরচ করেছে, কত দিন বিজ্ঞাপন দিয়েছে, কাদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন চালিয়েছে। এগুলো নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
ডিসমিসল্যাবের ডেটা বিশ্লেষণ থেকে আরও জানা যায়, ডাকসু নির্বাচনে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, যাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬টি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে ৪৯টি এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পক্ষে ৩৫টি বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী সর্বোচ্চ ১৯টি এবং সাহিত্য সম্পাদক প্রার্থী অনিদ হাসান ১৩টি বিজ্ঞাপন চালিয়েছেন। সমর্থকদের মধ্যে ‘আমাদের ডাকসু’ নামের একটি পেজ থেকে ছাত্রদলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১টি বিজ্ঞাপন চালানো হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনের বিভিন্ন ইস্যুকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার সময়ে কেন ডিসমিসল্যাব মেটার অ্যাড লাইব্রেরির স্বচ্ছতা নিয়ে অনুসন্ধান করল, এমন এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটি স্ট্রিমকে জানায়, যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আমরা মনিটরিং করি। গত জাতীয় নির্বাচনের সময়েও আমরা এভাবে নজর রেখেছি। এবং এটি নিয়ে আমাদের গবেষণাও প্রকাশিত হয়। এটি মূলত আমাদেরকে আরও উৎসাহিত করেছে এই কাজটি করতে। ডাকসু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ছিল। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যন্তও আমরা নিয়মিত এই ধরণের গবেষণা চালিয়ে যাব।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে নারী প্রার্থীরা ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় সাত দফা দাবি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে শাস্তিমূলক ব্যবস্থারও দাবি করেছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেশুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) আদর্শ থেকে প্রকাশিত মুরাদ কিবরিয়ার ক্যাফে রেভুল্যুশন উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন করা হলো। মোড়ক উন্মোচন করেছেন জুলাই আহত মোহাম্মদ ফারুক।
৫ ঘণ্টা আগেজান্নাতুল ফেরদৌস ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক। জাকসু নির্বাচনে ভোটের দায়িত্ব পালন করা কালে শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
৫ ঘণ্টা আগেবাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের গানগুলো তাঁর করা সুরেই গাওয়ার দাবি সাংস্কৃতিকজনদের। বহু শিল্পী করিমের লেখা গান গাইলেও তা থেকে কোনো সম্মানী পান না তাঁর পরিবার।
৫ ঘণ্টা আগে