.png)

ডাকসুতে ছাত্রদল মনোনীত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান এ বিষয়ে স্ট্রিমকে জানান, ব্যালটের বিষয়ে তাঁদের জানানো অভিযোগ যে সত্য, সেটি প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, নীলক্ষেতে যে অরক্ষিত অবস্থায় ব্যালট ছাপানো হচ্ছে, সেটি ইসলামী ছাত্রশিবির নেতারা জানতেন।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘২০১৯ সালের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটের হিসাবে গরমিল দেখা গেছে। বেশ কিছু প্রার্থীর প্রাপ্ত মোট ভোটসংখ্যা ও হলভিত্তিক প্রকাশিত ভোটের হিসাবের মধ্যে গরমিল রয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ও ডাকসু সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পারস্পরিক পরিচিতিও হয়েছে প্রথম সভায়।

ডিসমিসল্যাবের বিশ্লেষণ
ডিসমিসল্যাবের ডেটা বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, ডাকসু নির্বাচনে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, যাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬টি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে ৪৯টি এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পক্ষে ৩৫টি বিজ্ঞাপন দেখা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পদের সংখ্যা ২৮টি। এই ২৮ পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’প্রার্থীরা। জয় পাওয়া বাকি পাঁচজনের চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে একজন জয় পেয়েছেন।

ডাকসু নির্বাচন
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্রধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা তাঁদের পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।