স্ট্রিম প্রতিবেদক

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদার প্রথা বিলুপ্ত করে আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরিভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতরা চাকরির নিশ্চয়তার দাবিতে মহাসমাবেশ করেছেন৷
আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল দশটায় রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশ শুরু হয়৷ এর আগে সকাল থেকেই সারা দেশ থেকে আসা আউটসোর্সিং কর্মীরা শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন৷
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিভিন্ন ব্যানার ফ্যাস্টুন হাতে অবস্থান নিয়েছেন হাজার কয়েক মানুষ৷ তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মিটার পাঠক, ড্রাইভার, বাবুর্চি, আয়া-বুয়া বা অন্য কোনো পেশায় কাজ করেন৷
এসময় তারা 'আর নয় চুক্তি, এবার চাই মুক্তি', 'তুমি কে আমি কে, শোষিত শোষিত', 'দুনিয়ার মজদুর, এক হও লড়াই করো', 'বেতন দেবে সরকার, ঠিকাদারের কী দরকার'সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন৷
নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানিতে (নেসকো) মিটার পাঠক এবং বিল বিতরণের কাজ করেন গাজীউর রহমান৷ তিনি রাজশাহী থেকে মহাসমাবেশে এসেছেন ৷ স্ট্রিমকে তিনি বলেন, 'শিকাগো শহরে দাস প্রথার বিলুপ্তি হয়েছে কয়েকশ বছর আগে৷ বাংলাদেশে ১ মে শ্রমিক দিবস পালিত হয়। কিন্তু এই দেশে এখনও দাস প্রথা রয়ে গেছে৷ আমরা এই দাস প্রথা থেকে মুক্তি চাই৷'
'দাস প্রথা' কেন বলছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে চাকরিতে ঢুকেছি৷ চাকরিতে ঢোকার পর দেখলাম, ঠিকাদারের আর খোঁজ নাই৷ এই দিকে আমার প্রতিষ্ঠানও আমার কোনো খোঁজ নেয় না৷ আমাদের বেতন, ভাতা, সুযোগ-সুবিধা নাই বললেই চলে৷ তার ওপর যখন-তখন চাকরি চলে যায়৷ এসব বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারের কাছে গেলে বলে প্রতিষ্ঠানের কাছে যাও৷ প্রতিষ্ঠানের কাছে গেলে বলে, তোমরা তো আমাদের লোক না৷'
রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে রান্নার কাজ করেন মোহাম্মদ শামসুল হক৷ তিনি স্ট্রিমকে বলেন, 'প্রথমত আমাদের চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নাই৷ তারপরে কোনো বোনাস, ভাতা নাই৷ আমাদের বেতনও বাড়ে না৷ তারপরও যা বেতন পাই, সেখান থেকে আবার কমিশন কাটে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান৷ তাই আমরা ঠিকাদার প্রথা বাতিল চাচ্ছি৷ ’
আউটসোর্সিং কর্মীদের ৫ দাবি
১. আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরি ও প্রকল্পভিত্তিক কর্মী নিয়োগে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে চাকরির নিশ্চয়তা।
২. একই কাজে দু’রকম সুবিধা থাকা যাবে না। সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
৩. সব বকেয়া বেতন-ভাতা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে এবং প্রতিমাসের পাওনাদি পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।
৪. অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং কর্ম ঘণ্টার পর (ছুটির দিন সহ) কাজ করালে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
৫. শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদার প্রথা বিলুপ্ত করে আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরিভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতরা চাকরির নিশ্চয়তার দাবিতে মহাসমাবেশ করেছেন৷
আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল দশটায় রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশ শুরু হয়৷ এর আগে সকাল থেকেই সারা দেশ থেকে আসা আউটসোর্সিং কর্মীরা শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন৷
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিভিন্ন ব্যানার ফ্যাস্টুন হাতে অবস্থান নিয়েছেন হাজার কয়েক মানুষ৷ তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মিটার পাঠক, ড্রাইভার, বাবুর্চি, আয়া-বুয়া বা অন্য কোনো পেশায় কাজ করেন৷
এসময় তারা 'আর নয় চুক্তি, এবার চাই মুক্তি', 'তুমি কে আমি কে, শোষিত শোষিত', 'দুনিয়ার মজদুর, এক হও লড়াই করো', 'বেতন দেবে সরকার, ঠিকাদারের কী দরকার'সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন৷
নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানিতে (নেসকো) মিটার পাঠক এবং বিল বিতরণের কাজ করেন গাজীউর রহমান৷ তিনি রাজশাহী থেকে মহাসমাবেশে এসেছেন ৷ স্ট্রিমকে তিনি বলেন, 'শিকাগো শহরে দাস প্রথার বিলুপ্তি হয়েছে কয়েকশ বছর আগে৷ বাংলাদেশে ১ মে শ্রমিক দিবস পালিত হয়। কিন্তু এই দেশে এখনও দাস প্রথা রয়ে গেছে৷ আমরা এই দাস প্রথা থেকে মুক্তি চাই৷'
'দাস প্রথা' কেন বলছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে চাকরিতে ঢুকেছি৷ চাকরিতে ঢোকার পর দেখলাম, ঠিকাদারের আর খোঁজ নাই৷ এই দিকে আমার প্রতিষ্ঠানও আমার কোনো খোঁজ নেয় না৷ আমাদের বেতন, ভাতা, সুযোগ-সুবিধা নাই বললেই চলে৷ তার ওপর যখন-তখন চাকরি চলে যায়৷ এসব বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারের কাছে গেলে বলে প্রতিষ্ঠানের কাছে যাও৷ প্রতিষ্ঠানের কাছে গেলে বলে, তোমরা তো আমাদের লোক না৷'
রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে রান্নার কাজ করেন মোহাম্মদ শামসুল হক৷ তিনি স্ট্রিমকে বলেন, 'প্রথমত আমাদের চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নাই৷ তারপরে কোনো বোনাস, ভাতা নাই৷ আমাদের বেতনও বাড়ে না৷ তারপরও যা বেতন পাই, সেখান থেকে আবার কমিশন কাটে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান৷ তাই আমরা ঠিকাদার প্রথা বাতিল চাচ্ছি৷ ’
আউটসোর্সিং কর্মীদের ৫ দাবি
১. আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরি ও প্রকল্পভিত্তিক কর্মী নিয়োগে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে চাকরির নিশ্চয়তা।
২. একই কাজে দু’রকম সুবিধা থাকা যাবে না। সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
৩. সব বকেয়া বেতন-ভাতা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে এবং প্রতিমাসের পাওনাদি পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।
৪. অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং কর্ম ঘণ্টার পর (ছুটির দিন সহ) কাজ করালে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
৫. শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের চূড়ান্ত দিনে রাজধানীর চানখারপুলে সংঘটিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
ধান উৎপাদনে কৃষকের সহায়তার জন্য নানা ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। কৃষিকাজকে একটি সম্মানজনক এবং আরামদায়ক পেশায় রূপান্তর করার লক্ষ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কৃষিযন্ত্র আবিষ্কারে ব্রি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
৭ ঘণ্টা আগে
চাকরির গ্রেড উন্নীতের দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন সহকারী শিক্ষকেরা।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনে পুড়েছে দেড় হাজারের বেশি ঘর। এতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া পরিবারগুলো ছোট সন্তান নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে বস্তির অন্য অংশে। কিন্তু বিধি বাম। ঘরপোড়া মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগে বস্তির বাড়িওয়ালারা খালি কক্ষগুলোর ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে