leadT1ad

‘বেতন দেবে সরকার, ঠিকাদারের কী দরকার’ স্লোগানে শাহবাগে আউটসোর্সিং কর্মীদের মহাসমাবেশ

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ১৫
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ৪৪
শনিবার সকালে সারা দেশ থেকে আসা আউটসোর্সিং কর্মীরা শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন৷

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদার প্রথা বিলুপ্ত করে আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরিভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতরা চাকরির নিশ্চয়তার দাবিতে মহাসমাবেশ করেছেন৷

আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল দশটায় রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশ শুরু হয়৷ এর আগে সকাল থেকেই সারা দেশ থেকে আসা আউটসোর্সিং কর্মীরা শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন৷

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিভিন্ন ব্যানার ফ্যাস্টুন হাতে অবস্থান নিয়েছেন হাজার কয়েক মানুষ৷ তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মিটার পাঠক, ড্রাইভার, বাবুর্চি, আয়া-বুয়া বা অন্য কোনো পেশায় কাজ করেন৷

এসময় তারা 'আর নয় চুক্তি, এবার চাই মুক্তি', 'তুমি কে আমি কে, শোষিত শোষিত', 'দুনিয়ার মজদুর, এক হও লড়াই করো', 'বেতন দেবে সরকার, ঠিকাদারের কী দরকার'সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন৷

নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানিতে (নেসকো) মিটার পাঠক এবং বিল বিতরণের কাজ করেন গাজীউর রহমান৷ তিনি রাজশাহী থেকে মহাসমাবেশে এসেছেন ৷ স্ট্রিমকে তিনি বলেন, 'শিকাগো শহরে দাস প্রথার বিলুপ্তি হয়েছে কয়েকশ বছর আগে৷ বাংলাদেশে ১ মে শ্রমিক দিবস পালিত হয়। কিন্তু এই দেশে এখনও দাস প্রথা রয়ে গেছে৷ আমরা এই দাস প্রথা থেকে মুক্তি চাই৷'

'দাস প্রথা' কেন বলছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে চাকরিতে ঢুকেছি৷ চাকরিতে ঢোকার পর দেখলাম, ঠিকাদারের আর খোঁজ নাই৷ এই দিকে আমার প্রতিষ্ঠানও আমার কোনো খোঁজ নেয় না৷ আমাদের বেতন, ভাতা, সুযোগ-সুবিধা নাই বললেই চলে৷ তার ওপর যখন-তখন চাকরি চলে যায়৷ এসব বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারের কাছে গেলে বলে প্রতিষ্ঠানের কাছে যাও৷ প্রতিষ্ঠানের কাছে গেলে বলে, তোমরা তো আমাদের লোক না৷'

রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে রান্নার কাজ করেন মোহাম্মদ শামসুল হক৷ তিনি স্ট্রিমকে বলেন, 'প্রথমত আমাদের চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নাই৷ তারপরে কোনো বোনাস, ভাতা নাই৷ আমাদের বেতনও বাড়ে না৷ তারপরও যা বেতন পাই, সেখান থেকে আবার কমিশন কাটে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান৷ তাই আমরা ঠিকাদার প্রথা বাতিল চাচ্ছি৷ ’

আউটসোর্সিং কর্মীদের দাবি

১. আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরি ও প্রকল্পভিত্তিক কর্মী নিয়োগে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে চাকরির নিশ্চয়তা।

২. একই কাজে দু’রকম সুবিধা থাকা যাবে না। সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

৩. সব বকেয়া বেতন-ভাতা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে এবং প্রতিমাসের পাওনাদি পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।

৪. অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং কর্ম ঘণ্টার পর (ছুটির দিন সহ) কাজ করালে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

৫. শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত