স্ট্রিম সংবাদদাতা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। আজ বুধবার রাকসুর নির্বাচন কমিশন এ তারিখ ঘোষণা করেছে।
যদিও এর আগে, গত ২৮ জুলাই রাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হয়। তখন ভোটের তারিখ বলা হয়েছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। তবে ছাত্রদল ভোট পেছানোর আবেদন জানায়। এরপরই নতুন তারিখ ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন।
তবে নতুন দিনক্ষণ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করা ছাত্র সংগঠনগুলো বলছে, ২৮ সেপ্টেম্বর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজার সূচনা মহাষষ্ঠী অনুষ্ঠিত হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার সনাতন শিক্ষার্থী ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। নতুন তারিখ ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব ও ক্যাম্পাস ছুটির আগের দিনে রাকসুর ভোটের দিন নির্ধারণ কোনো কাকতালীয় নয়, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র। এতে হিন্দু শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কঠিন করা হয়েছে এবং ছাত্রদলকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ভ্রাতৃত্ব-বিরোধী মানসিকতাকে ধিক্কার।’
শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের মনে হয় নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবে কমিশন একতরফাভাবে একটি দলের দাবিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে অন্যান্য সংগঠন ও প্রার্থীরা অসন্তুষ্ট। আমরা আশা করি কমিশন ঘোষণাটি দ্রুত প্রত্যাহার করে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারবে না, ফলে একটি অংশকে রাকসু থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে যা মৌলবাদী গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে পারে।’
ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনের সময়সীমা বৃদ্ধি ও ভোটের তারিখ পরিবর্তনের পেছনে দুটি লেজুড়বৃত্তিক সংগঠনের প্রভাব রয়েছে। প্রশাসনের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের যোগসাজশ না থাকলে মহালয়ার দিনে ভোটের তারিখ ঘোষিত হতো না। এতে ক্যাম্পাসের বড় একটি অংশ বাদ পড়বে, যা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে অসম্ভব করে তুলবে।’
এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা বলছেন, এমন একটা দিন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে যেদিন তাঁদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সূচনা মহাষষ্ঠী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজার ছুটি এর পরে শুরু হলেও অনেকেই আগে থেকেই বাড়ি চলে যান।
সনাতন ধর্মাবলম্বী এক শিক্ষার্থী অর্পণ ধর বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন, যেদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দূর্গাপূজার মহাষষ্ঠী অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে কার্যত ভোট থেকে দূরে রাখার এক অভিনব কৌশল নেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে। ২৯ সেপ্টেম্বর পাঠদান বন্ধ থাকলেও অফিস কার্যক্রম চলবে। যেহেতু পূজা মূলত অক্টোবর মাসে শুরু হবে, তাই পূজার ছুটিকে সম্মান জানিয়েই এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
আজ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৪ থেকে ৩১ আগস্ট মনোনয়নপত্র বিতরণ, ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ১১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক তালিকা সম্পর্কে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৬ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর একাডেমিক ভবনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ শেষে একই দিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। আজ বুধবার রাকসুর নির্বাচন কমিশন এ তারিখ ঘোষণা করেছে।
যদিও এর আগে, গত ২৮ জুলাই রাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হয়। তখন ভোটের তারিখ বলা হয়েছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। তবে ছাত্রদল ভোট পেছানোর আবেদন জানায়। এরপরই নতুন তারিখ ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন।
তবে নতুন দিনক্ষণ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করা ছাত্র সংগঠনগুলো বলছে, ২৮ সেপ্টেম্বর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজার সূচনা মহাষষ্ঠী অনুষ্ঠিত হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার সনাতন শিক্ষার্থী ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। নতুন তারিখ ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব ও ক্যাম্পাস ছুটির আগের দিনে রাকসুর ভোটের দিন নির্ধারণ কোনো কাকতালীয় নয়, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র। এতে হিন্দু শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কঠিন করা হয়েছে এবং ছাত্রদলকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ভ্রাতৃত্ব-বিরোধী মানসিকতাকে ধিক্কার।’
শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের মনে হয় নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবে কমিশন একতরফাভাবে একটি দলের দাবিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে অন্যান্য সংগঠন ও প্রার্থীরা অসন্তুষ্ট। আমরা আশা করি কমিশন ঘোষণাটি দ্রুত প্রত্যাহার করে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারবে না, ফলে একটি অংশকে রাকসু থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে যা মৌলবাদী গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে পারে।’
ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনের সময়সীমা বৃদ্ধি ও ভোটের তারিখ পরিবর্তনের পেছনে দুটি লেজুড়বৃত্তিক সংগঠনের প্রভাব রয়েছে। প্রশাসনের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের যোগসাজশ না থাকলে মহালয়ার দিনে ভোটের তারিখ ঘোষিত হতো না। এতে ক্যাম্পাসের বড় একটি অংশ বাদ পড়বে, যা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে অসম্ভব করে তুলবে।’
এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা বলছেন, এমন একটা দিন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে যেদিন তাঁদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সূচনা মহাষষ্ঠী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজার ছুটি এর পরে শুরু হলেও অনেকেই আগে থেকেই বাড়ি চলে যান।
সনাতন ধর্মাবলম্বী এক শিক্ষার্থী অর্পণ ধর বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন, যেদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দূর্গাপূজার মহাষষ্ঠী অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে কার্যত ভোট থেকে দূরে রাখার এক অভিনব কৌশল নেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে। ২৯ সেপ্টেম্বর পাঠদান বন্ধ থাকলেও অফিস কার্যক্রম চলবে। যেহেতু পূজা মূলত অক্টোবর মাসে শুরু হবে, তাই পূজার ছুটিকে সম্মান জানিয়েই এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
আজ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৪ থেকে ৩১ আগস্ট মনোনয়নপত্র বিতরণ, ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ১১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক তালিকা সম্পর্কে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৬ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর একাডেমিক ভবনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ শেষে একই দিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

রাজধানী ঢাকায় গত এক সপ্তাহে পাঁচবার অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প। ঘন ঘন এমন ঝাঁকুনিতে রাজধানীবাসীর মনেও তৈরি হয়েছে কম্পন। প্রশ্ন উঠেছে, যেকোনো দুর্যোগে সবচেয়ে জরুরি হয়ে ওঠা ফায়ার সার্ভিস, গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সেবাদানকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত।
৩৭ মিনিট আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের চূড়ান্ত দিনে রাজধানীর চানখারপুলে সংঘটিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ধান উৎপাদনে কৃষকের সহায়তার জন্য নানা ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। কৃষিকাজকে একটি সম্মানজনক এবং আরামদায়ক পেশায় রূপান্তর করার লক্ষ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কৃষিযন্ত্র আবিষ্কারে ব্রি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
১১ ঘণ্টা আগে
চাকরির গ্রেড উন্নীতের দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন সহকারী শিক্ষকেরা।
১২ ঘণ্টা আগে