গাজায় যুদ্ধ থামাতে এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা গত সোমবার প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। সেই পরিকল্পনায় হঠাৎই উঠে এসেছে এক পরিচিত রাজনীতিকের নাম—সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
স্ট্রিম ডেস্ক
গাজায় যুদ্ধ থামাতে এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা গত সোমবার প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। সেই পরিকল্পনায় হঠাৎই উঠে এসেছে এক পরিচিত রাজনীতিকের নাম—সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘গাজা সাময়িকভাবে পরিচালিত হবে এক অন্তর্বর্তীকালীন, অরাজনৈতিক, টেকনোক্র্যাট ফিলিস্তিনি কমিটির মাধ্যমে।’ তবে সেখানে কারা থাকবেন, কোনো নির্দিষ্ট ফিলিস্তিনি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এই কমিটির উপর নজরদারি করবে একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা—বোর্ড অব পিস, যার প্রধান থাকবেন ট্রাম্প। এর সঙ্গে থাকবেন অন্য রাষ্ট্রপ্রধান ও সদস্যরা, যাদের মধ্যে টনি ব্লেয়ারও আছেন।
কমিটির দায়িত্ব হবে গাজার প্রতিদিনের সরকারি সেবা ও পৌর কার্যক্রম চালানো। সেখানে থাকবেন ‘যোগ্য ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা’। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
ব্লেয়ার গত মাসের শেষদিকে হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পুনর্গঠন নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছে।
গাজা পরিচালনায় ব্লেয়ারের নাম শোনার পর থেকেই অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের মহাসচিব মুস্তাফা বারঘুতি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন:
‘আমরা তো আগে থেকেই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ভোগ করেছি। এখানে ব্লেয়ারের নাম শুনলেই মানুষের মনে ইরাক যুদ্ধের কথা আসে। তাঁর দুর্নামের শেষ নেই।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজে সোজাসাপ্টা বলেন:
‘টনি ব্লেয়ার? কখনোই না। ফিলিস্তিনে তাঁকে হাত দিতে দেওয়া যাবে না।’
সাংবাদিক মেহেদি হাসান জিটিওতে তীব্র ভাষায় লিখেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনার কাজে টনি ব্লেয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া মানে হচ্ছে অগ্নিসংযোগকারীকেই ফায়ার সার্ভিসের প্রধান বানানো, কিংবা চোরকেই গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান করা। ব্লেয়ারের মধ্যপ্রাচ্যে ভূমিকা মানেই ব্যর্থতা, পক্ষপাত আর গণহত্যা। তাহলে কেন বারবার বোমা আক্রমণের শিকার গাজার মানুষের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে এমন একজন মানুষ, যার হাত রক্তে ভেজা?’
হাসান মনে করিয়ে দেন, ‘শুধু তাই নয়, ২০০২-০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ইরাক আক্রমণের সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন ব্লেয়ার। তিনি ভুয়া অস্ত্রের গল্প ছড়িয়ে সেই হামলার পক্ষ নিয়েছিলেন, অথচ ব্রিটেনে লক্ষ লক্ষ মানুষ এর প্রতিবাদ করেছিল। আজও তিনি এর জন্য ক্ষমা চাননি।’
তাঁর মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ব্লেয়ারকে ‘একুশ শতকের সবচেয়ে বড় অপরাধগুলোর একটির জন্য বিচারের মুখোমুখি করা, নতুন কোনো চাকরি উপহার দেওয়া নয়।’
হাসান আরও যোগ করেন, ‘গাজার মানুষ দুই বছর ধরে গণহত্যা, দুর্ভিক্ষ আর জাতিগত নিধন সহ্য করছে। প্রতিদিন নতুন হত্যাযজ্ঞ চলছে। আপনি কি মনে করেন তারা ব্লেয়ারের হাত ধরে বাঁচতে চায়? না, তারা চায় মুক্তি।’
গাজায় যুদ্ধ থামাতে এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা গত সোমবার প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। সেই পরিকল্পনায় হঠাৎই উঠে এসেছে এক পরিচিত রাজনীতিকের নাম—সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘গাজা সাময়িকভাবে পরিচালিত হবে এক অন্তর্বর্তীকালীন, অরাজনৈতিক, টেকনোক্র্যাট ফিলিস্তিনি কমিটির মাধ্যমে।’ তবে সেখানে কারা থাকবেন, কোনো নির্দিষ্ট ফিলিস্তিনি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এই কমিটির উপর নজরদারি করবে একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা—বোর্ড অব পিস, যার প্রধান থাকবেন ট্রাম্প। এর সঙ্গে থাকবেন অন্য রাষ্ট্রপ্রধান ও সদস্যরা, যাদের মধ্যে টনি ব্লেয়ারও আছেন।
কমিটির দায়িত্ব হবে গাজার প্রতিদিনের সরকারি সেবা ও পৌর কার্যক্রম চালানো। সেখানে থাকবেন ‘যোগ্য ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা’। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
ব্লেয়ার গত মাসের শেষদিকে হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পুনর্গঠন নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছে।
গাজা পরিচালনায় ব্লেয়ারের নাম শোনার পর থেকেই অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের মহাসচিব মুস্তাফা বারঘুতি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন:
‘আমরা তো আগে থেকেই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ভোগ করেছি। এখানে ব্লেয়ারের নাম শুনলেই মানুষের মনে ইরাক যুদ্ধের কথা আসে। তাঁর দুর্নামের শেষ নেই।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজে সোজাসাপ্টা বলেন:
‘টনি ব্লেয়ার? কখনোই না। ফিলিস্তিনে তাঁকে হাত দিতে দেওয়া যাবে না।’
সাংবাদিক মেহেদি হাসান জিটিওতে তীব্র ভাষায় লিখেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনার কাজে টনি ব্লেয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া মানে হচ্ছে অগ্নিসংযোগকারীকেই ফায়ার সার্ভিসের প্রধান বানানো, কিংবা চোরকেই গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান করা। ব্লেয়ারের মধ্যপ্রাচ্যে ভূমিকা মানেই ব্যর্থতা, পক্ষপাত আর গণহত্যা। তাহলে কেন বারবার বোমা আক্রমণের শিকার গাজার মানুষের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে এমন একজন মানুষ, যার হাত রক্তে ভেজা?’
হাসান মনে করিয়ে দেন, ‘শুধু তাই নয়, ২০০২-০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ইরাক আক্রমণের সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন ব্লেয়ার। তিনি ভুয়া অস্ত্রের গল্প ছড়িয়ে সেই হামলার পক্ষ নিয়েছিলেন, অথচ ব্রিটেনে লক্ষ লক্ষ মানুষ এর প্রতিবাদ করেছিল। আজও তিনি এর জন্য ক্ষমা চাননি।’
তাঁর মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ব্লেয়ারকে ‘একুশ শতকের সবচেয়ে বড় অপরাধগুলোর একটির জন্য বিচারের মুখোমুখি করা, নতুন কোনো চাকরি উপহার দেওয়া নয়।’
হাসান আরও যোগ করেন, ‘গাজার মানুষ দুই বছর ধরে গণহত্যা, দুর্ভিক্ষ আর জাতিগত নিধন সহ্য করছে। প্রতিদিন নতুন হত্যাযজ্ঞ চলছে। আপনি কি মনে করেন তারা ব্লেয়ারের হাত ধরে বাঁচতে চায়? না, তারা চায় মুক্তি।’
আফগানিস্তানে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রায় পুরো দেশজুড়ে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট। সংযোগ নেমে আসে স্বাভাবিক অবস্থার ১ শতাংশেরও নিচে। মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট টিভি ও ল্যান্ডলাইন যোগাযোগও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
৯ ঘণ্টা আগেমরক্কোতে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। গত শনিবার থেকে অন্তত ১১টি শহরে হাজারো তরুণ-তরুণী রাস্তায় নেমে এসেছে। রাজধানী রাবাত, কাসাব্লাঙ্কা, মারাকেশ ও আগাদিরে বড় সমাবেশ হয়। বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই জেনারেশন জেড বা জেন জির সদস্য।
১০ ঘণ্টা আগেচলতি মাসের শুরুতে কাতারের দোহায় চালানো হামালায় দেশটির এক নাগরিক নিহতের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যদিও দোহায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছিল ইসরায়েল।
১৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধের অবসানের জন্য ২০ দফা পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
১ দিন আগে