স্ট্রিম প্রতিবেদক
লাদাখের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দাবিতে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) লেহতে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রথমে শান্তিপূর্ণ হলেও দ্রুতই সেই বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও আহত হন অন্তত ৮০ জন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের অভিযোগ, এই বিক্ষোভের উসকানিদাতা ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মী সোনম ওয়াংচুক। সোনমের মদতে এমন অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে বিদেশি অনুদান নিচ্ছেন সোনম। এই অভিযোগে ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।
এত দিন লাদাখের লেহে জেলার বাসিন্দাদের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ বলেই মনে করা হতো। কিন্তু লেহের বাসিন্দারাই এখন অশান্ত হয়ে উঠেছেন। পরিস্থিতি এমন হয়েছে, পুরো লাদাখই যেন এখন হয়ে উঠেছে উত্তপ্ত ভূমি। এর নেপথ্যে আসলে কী রয়েছে?
লেহের বাসিন্দাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিতে বীতশ্রদ্ধ হয়েই এ অঞ্চলের বাসিন্দারা আইন ভাঙছেন। এদিকে, দেশের প্রাতিষ্ঠানিক মিডিয়ায় সোনম ওয়াংচুককে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই অশান্তিতে সোনমের মদত রয়েছে। পাশাপাশি সোনমরা ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন আইন ভেঙে বিদেশি অনুদান নিচ্ছেন অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগে সোনমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করছে সিবিআই।
বিগত ছয় বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলনের পথে হাঁটছিলেন সোনম। সরকারকে বারবার মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন লাদাখের গণদাবির কথা। কিন্তু গত ২৪ সেপ্টেম্বর ছয় বছর ধরা সেই অসিংহ আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জারি করা হয় কারফিউ। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও পরিবেশ এখনো থমথমে, মানুষ সন্ত্রস্ত। আর সহিংস রূপ ধারণ করলে সোনম ওয়াংচুক নিজেই আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তিনি আন্দোলনকারীদের বলেছেন, তারা ভুল পথে চলে গেছেন। তিনি (সোনম ওয়াংচুক) গান্ধীর অহিংস মতাদর্শে বিশ্বাসী।
এর আগে, গত ছয় বছর কখনও রাস্তা দখল করে, কখনও মার্চ টু দিল্লি’র মতো কর্মসূচি দিয়ে ষষ্ঠ তফশিলে অন্তর্ভুক্তকরণ ও পূর্ণরাজ্যের মর্যাদার দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন লাদাখবাসী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে অনশন শুরু করেন সোনম ওয়াংচুক। এক পর্যায়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আন্দোলনকারীদের কথা শুনবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর সোনমরা জানান, সরকার শর্ত মানার পরিবর্তে উল্টো শর্ত চাপাচ্ছে। তাই অনশন কর্মসূচি চলছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর চলমান অনশন এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, অনশনরত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এতে আন্দোলনকারীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারপরই ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার লাদাখের পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালায়।
এদিকে, সহিংস বিক্ষোভের পর ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক গণমাধ্যম সোনমকে ‘চীনের দালাল’ বলে আখ্যা দেয়। যদিও লাদাখের বুধবারের বিক্ষোভের নিয়ে জনপরিসরেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সোনম ওয়াংচুক। স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনো সহিংস আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেন না।
সহিংস ঘটনার পর সোনম ওয়াংচুক এক্সে (সাবেক টুইট) এক পোস্টে লেখেন, ‘এটি লাদাখের জন্য তো বটেই, ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্যও সবচেয়ে দুঃখের দিন! কারণ, এত দিন আমরা যে পথে হেঁটেছি, তা ছিল শান্তিপূর্ণ। আমরা পাঁচবার অনশন করেছি, লেহ থেকে দিল্লি পর্যন্ত হেঁটেছি। কিন্তু আজ এই হিংসা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আমাদের শান্তির বার্তা ব্যর্থ হতে দেখলাম।’
লাদাখবাসীর চার দাবিতে কী আছে
লাদাখবাসী দীর্ঘদিনের ধরে চার দফা দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবিগুলো হলো:
১. লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে। আর্টিকেল ৩৭০ থেকে যখন তাদের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে নেওয়া হয়, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়, লাদাখবাসী ভেবেছিলেন, এবার কেন্দ্র তাদের কথা ভাববে। আদতে তা হয়নি; বরং অভিযোগ বাইরের পুঁজি খাটিয়ে ধনী ব্যক্তিদের সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। লাদাখবাসী মনে করে, দিল্লিতে বসে লাদাখকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
২. লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। লাদাখের প্রায় ৯৭ শতাংশ মানুষ উপজাতি সম্প্রদায়ের। তাই ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তি স্থানীয় সংস্কৃতি, পরিবেশ ও উপজাতিদের অধিকার সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ও উন্নয়নের পথও খুলে যাবে। এখন যা দিল্লি থেকে করা হয়।
৩. লেহ ও কার্গিলের জন্য আলাদা লোকসভা আসন নিশ্চিত করতে হবে। যাতে তাঁদের ন্যায্য রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়, নিজেদের সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করা যায়, আঞ্চলিক বৈষম্য কমানো সম্ভব হয় এবং ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকা রাখা যায়।
৪. লাদাখের জন্য পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করতে হবে। লেহতে গড়শিক্ষার হার ভালো কিন্তু বেকারত্ব অনেক বেশি। লাদাখে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা জাতীয় গড়ের প্রায় দ্বিগুণ। সেখানে আলাদা পাবলিক সার্ভিস কমিশন নেই। ফলে স্থানীয় চাকরির সুযোগও খুব সীমিত। এই অভাবই বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রবল অর্থনৈতিক হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি করেছে।
যদি লাদাখকে ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় আনা হয়, তবে নির্বাচিত স্থানীয় সংস্থাগুলি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় বেশি ক্ষমতা পাবে। এতে স্থানীয় প্রয়োজন ও দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আরও চাকরির সুযোগ তৈরি হতে পারে।
এই মুহূর্তে পুরো লেহ শহর কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। কারফিউ চলছে। বড় জমায়েত বা মিছিল নিষিদ্ধ। সরকার মনে করছে, পরিস্থিতি সামলাতে সময় লাগবে। তবে প্রশ্ন উঠছে, যে লাদাখ এতদিন শান্তি ও পর্যটনের প্রতীক ছিল, সেখানে শান্তি ফিরবে কবে?
স্থানীয় জনগণ ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, লাদাখে চলমান অশান্তি হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়; এটি বছরের পর বছর চেপে রাখা অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসা সত্ত্বেও স্থানীয়দের ন্যায্য দাবি মানা হয়নি। এসব ঘটনা ক্রমেই হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সঙ্গে তো স্থানীয় প্রতিবাদকারীদের দেশদ্রোহী তকমা দেওয়ার ক্ষোভ আছেই। যদিও স্থানীয়দের এসব দাবি-দাওয়া নিয়ে কখনো তৎপর হয়নি সংবাদমাধ্যম। স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় ব্যতীত এই পরিস্থিতি মোকাবিলা অসম্ভব বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
লাদাখের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দাবিতে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) লেহতে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রথমে শান্তিপূর্ণ হলেও দ্রুতই সেই বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও আহত হন অন্তত ৮০ জন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের অভিযোগ, এই বিক্ষোভের উসকানিদাতা ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মী সোনম ওয়াংচুক। সোনমের মদতে এমন অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে বিদেশি অনুদান নিচ্ছেন সোনম। এই অভিযোগে ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।
এত দিন লাদাখের লেহে জেলার বাসিন্দাদের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ বলেই মনে করা হতো। কিন্তু লেহের বাসিন্দারাই এখন অশান্ত হয়ে উঠেছেন। পরিস্থিতি এমন হয়েছে, পুরো লাদাখই যেন এখন হয়ে উঠেছে উত্তপ্ত ভূমি। এর নেপথ্যে আসলে কী রয়েছে?
লেহের বাসিন্দাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিতে বীতশ্রদ্ধ হয়েই এ অঞ্চলের বাসিন্দারা আইন ভাঙছেন। এদিকে, দেশের প্রাতিষ্ঠানিক মিডিয়ায় সোনম ওয়াংচুককে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই অশান্তিতে সোনমের মদত রয়েছে। পাশাপাশি সোনমরা ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন আইন ভেঙে বিদেশি অনুদান নিচ্ছেন অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগে সোনমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করছে সিবিআই।
বিগত ছয় বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলনের পথে হাঁটছিলেন সোনম। সরকারকে বারবার মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন লাদাখের গণদাবির কথা। কিন্তু গত ২৪ সেপ্টেম্বর ছয় বছর ধরা সেই অসিংহ আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জারি করা হয় কারফিউ। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও পরিবেশ এখনো থমথমে, মানুষ সন্ত্রস্ত। আর সহিংস রূপ ধারণ করলে সোনম ওয়াংচুক নিজেই আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তিনি আন্দোলনকারীদের বলেছেন, তারা ভুল পথে চলে গেছেন। তিনি (সোনম ওয়াংচুক) গান্ধীর অহিংস মতাদর্শে বিশ্বাসী।
এর আগে, গত ছয় বছর কখনও রাস্তা দখল করে, কখনও মার্চ টু দিল্লি’র মতো কর্মসূচি দিয়ে ষষ্ঠ তফশিলে অন্তর্ভুক্তকরণ ও পূর্ণরাজ্যের মর্যাদার দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন লাদাখবাসী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে অনশন শুরু করেন সোনম ওয়াংচুক। এক পর্যায়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আন্দোলনকারীদের কথা শুনবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর সোনমরা জানান, সরকার শর্ত মানার পরিবর্তে উল্টো শর্ত চাপাচ্ছে। তাই অনশন কর্মসূচি চলছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর চলমান অনশন এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, অনশনরত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এতে আন্দোলনকারীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারপরই ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার লাদাখের পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালায়।
এদিকে, সহিংস বিক্ষোভের পর ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক গণমাধ্যম সোনমকে ‘চীনের দালাল’ বলে আখ্যা দেয়। যদিও লাদাখের বুধবারের বিক্ষোভের নিয়ে জনপরিসরেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সোনম ওয়াংচুক। স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনো সহিংস আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেন না।
সহিংস ঘটনার পর সোনম ওয়াংচুক এক্সে (সাবেক টুইট) এক পোস্টে লেখেন, ‘এটি লাদাখের জন্য তো বটেই, ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্যও সবচেয়ে দুঃখের দিন! কারণ, এত দিন আমরা যে পথে হেঁটেছি, তা ছিল শান্তিপূর্ণ। আমরা পাঁচবার অনশন করেছি, লেহ থেকে দিল্লি পর্যন্ত হেঁটেছি। কিন্তু আজ এই হিংসা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আমাদের শান্তির বার্তা ব্যর্থ হতে দেখলাম।’
লাদাখবাসীর চার দাবিতে কী আছে
লাদাখবাসী দীর্ঘদিনের ধরে চার দফা দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবিগুলো হলো:
১. লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে। আর্টিকেল ৩৭০ থেকে যখন তাদের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে নেওয়া হয়, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়, লাদাখবাসী ভেবেছিলেন, এবার কেন্দ্র তাদের কথা ভাববে। আদতে তা হয়নি; বরং অভিযোগ বাইরের পুঁজি খাটিয়ে ধনী ব্যক্তিদের সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। লাদাখবাসী মনে করে, দিল্লিতে বসে লাদাখকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
২. লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। লাদাখের প্রায় ৯৭ শতাংশ মানুষ উপজাতি সম্প্রদায়ের। তাই ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তি স্থানীয় সংস্কৃতি, পরিবেশ ও উপজাতিদের অধিকার সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ও উন্নয়নের পথও খুলে যাবে। এখন যা দিল্লি থেকে করা হয়।
৩. লেহ ও কার্গিলের জন্য আলাদা লোকসভা আসন নিশ্চিত করতে হবে। যাতে তাঁদের ন্যায্য রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়, নিজেদের সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করা যায়, আঞ্চলিক বৈষম্য কমানো সম্ভব হয় এবং ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকা রাখা যায়।
৪. লাদাখের জন্য পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করতে হবে। লেহতে গড়শিক্ষার হার ভালো কিন্তু বেকারত্ব অনেক বেশি। লাদাখে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা জাতীয় গড়ের প্রায় দ্বিগুণ। সেখানে আলাদা পাবলিক সার্ভিস কমিশন নেই। ফলে স্থানীয় চাকরির সুযোগও খুব সীমিত। এই অভাবই বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রবল অর্থনৈতিক হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি করেছে।
যদি লাদাখকে ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় আনা হয়, তবে নির্বাচিত স্থানীয় সংস্থাগুলি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় বেশি ক্ষমতা পাবে। এতে স্থানীয় প্রয়োজন ও দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আরও চাকরির সুযোগ তৈরি হতে পারে।
এই মুহূর্তে পুরো লেহ শহর কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। কারফিউ চলছে। বড় জমায়েত বা মিছিল নিষিদ্ধ। সরকার মনে করছে, পরিস্থিতি সামলাতে সময় লাগবে। তবে প্রশ্ন উঠছে, যে লাদাখ এতদিন শান্তি ও পর্যটনের প্রতীক ছিল, সেখানে শান্তি ফিরবে কবে?
স্থানীয় জনগণ ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, লাদাখে চলমান অশান্তি হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়; এটি বছরের পর বছর চেপে রাখা অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসা সত্ত্বেও স্থানীয়দের ন্যায্য দাবি মানা হয়নি। এসব ঘটনা ক্রমেই হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সঙ্গে তো স্থানীয় প্রতিবাদকারীদের দেশদ্রোহী তকমা দেওয়ার ক্ষোভ আছেই। যদিও স্থানীয়দের এসব দাবি-দাওয়া নিয়ে কখনো তৎপর হয়নি সংবাদমাধ্যম। স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় ব্যতীত এই পরিস্থিতি মোকাবিলা অসম্ভব বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
লাদাখে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে চলমান আন্দোলনের নেতা এবং ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি সেনারা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আল মাসিরাহ টিভি। হামলার পর শহরের আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। ইসরায়েল দাবি করছে, এই হামলায় ১০ জনের বেশি হুতি সদস্য নিহত হয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে তাঁর ভাষণে ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার কথা তুলে ধরে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। আব্বাস বলেন, ‘আমি আজ আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি প্রায় দুই বছরের পর, যখন আমাদের গাজা উপত্যকার মানুষ গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ, অনাহার ও স্থানচ্যুতির মুখোমুখ
১ দিন আগেঅপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতে সারকোজির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি প্রয়াত লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে একটি দুর্নীতিমূলক চুক্তি করেছিলেন। ২০০৭ সালের ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে
১ দিন আগে