হুমায়ূন শফিক
এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০২৫) ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো পুরস্কার পেয়েছেন ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে সাহসী অবস্থান’-এর জন্য। নিঃসন্দেহে নিকোলাস মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ।
৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইসরায়েলে হামলা করে হামাস। সেই হামলার পরে ইসরায়েলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন মাচাদো। তিনি হামাসের এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে নিন্দা জানিয়ে বলেন, যেকোনো মূল্যে, যেকোনো রূপে হামাসকে পরাজিত করতে হবে। প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন ও যুদ্ধনীতির প্রতি সমর্থন জানান তিনি।
এরপর ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনে নিহত হয়েছেন নারী-শিশুসহ ৬৭ হাজার ১ শ ৯০ জন। সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন লাখ লাখ মানুষ। দুর্ভিক্ষ পীড়িত সেইসব এলাকার বিশাল অংশ ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় বিশ লাখ বাসিন্দা। এত কিছুর মধ্যে আজকের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মাচাদো কোন রকম অন্যায় দেখতে পাননি। পেলে অবশ্যই প্রতিবাদ জানাতেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিও সমর্থন জানিয়ে মাচাদো বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেবেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন হিসেবেই বিবেচিত হবে। আবার ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাঁর দেশের ঐতিহাসিক সমর্থন থেকে সরে আসার ইঙ্গিতও দিয়েছে মাচাদো।
মাচাদোর রাজনৈতিক দল ‘ভেন্তে ভেনেজুয়েলা’ সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নেতানিয়াহুর ‘লিকুদ’ পার্টির সঙ্গে। ইসরায়েল ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে মধুর সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী মাচাদোর দল। ভেন্তে ভেনেজুয়েলা চুক্তিটিকে ‘একটি ঐতিহাসিক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। দলটি আরও ঘোষণা করেছে যে তাদের সহযোগিতার মধ্যে ‘রাজনৈতিক, আদর্শিক ও সামাজিক বিষয়গুলির পাশাপাশি কৌশল, ভূ-রাজনীতি এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলোকে এগিয়ে নেওয়া হবে’। বোঝা যায় যে ফিলিস্তিনে হামলার সময় মাচাদোর নীরবতা নিছক রাজনৈতিক কৌশল নয়; এটি এক নৈতিক অবস্থান। সেই অবস্থান শান্তির নয়—ক্ষমতার পাশে দাঁড়ানোর।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রয়েছে মাচাদোর। নিজের নোবেল পুরস্কারটিও উৎসর্গ করেছেন ট্রাম্পকেই। যদিও ট্রাম্পের পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার জনগণকেও পুরস্কারটি উৎসর্গ করেছেন মাচাদো। পুরস্কার ঘোষণার পরে মাচাদোকে ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প, নেতানিয়াহু আর মাচাদো মিলে একটি চমৎকার ত্রিভুজ।
ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো একাধিকবার নিজের দেশের রাজনীতিতে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপের কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, নিকোলাস মাদুরোর সরকার একনায়কতান্ত্রিক। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সমাজকে এতে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনি বারবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ যেন ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নেয়। ২০১৮ সালে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আর আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মাক্রিকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন তাদের ‘শক্তি ও প্রভাব’ ব্যবহার করে মাদুরো সরকারের অবসান ঘটাতে সাহায্য করেন। অনেকেই এই চিঠিকে বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপের আহ্বান বলে মনে করেন। পরে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাচাদো বলেন, ভেনেজুয়েলাকে সাহায্য করা আন্তর্জাতিক সমাজের দায়িত্ব, আর প্রয়োজনে জোর ব্যবহার করেও শাভেজপন্থী শাসন শেষ করতে হবে। ২০২৫ সালের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার স্বাধীনতাই যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা’—মানে, তার মতে দেশের পরিবর্তন আমেরিকারও স্বার্থের সঙ্গে জড়িত।
অনেকের ধারণা, নোবেল শান্তি পুরস্কার ভেনেজুয়েলার বিরোধীপক্ষের আন্দোলনকে একত্রিত করতে সাহায্য করতে পারে। মাচাদো যত বছর নির্বাচনকে বয়কট করার পরে বিরোধীপক্ষের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্যও দেখা দিয়েছিল, সেই মতপার্থক্য হয়তো এখন আর থাকবে না।
মাচাদোর পাওয়া পুরস্কার ভেনেজুয়েলার জন্য মার্কিনপন্থী ‘গণতন্ত্রে’র সংগ্রামকে আর বেশি আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আনবে। আন্তর্জাতিকভাবে আরও চাপ প্রয়োগ করার সুযোগও হবে।
তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মাচাদোর সম্পর্কের কারণে কী ভেনেজুয়েলার ‘গণতন্ত্র’ ফিরে আসবে? এটা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে না পারলেও একটা প্রভাব যে পড়তে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আক্রমণাত্মকভাবে জানান, প্রয়োজনে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপে মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
ভেনেজুয়েলার মতো দেশে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই আর মানবতার পক্ষে থাকা এক বিষয় নয়। যদি কেউ দেশের ভেতরে গণতন্ত্র চান, কিন্তু দেশের বাইরে হত্যাকারীর পাশে দাঁড়ান, তাহলে সেই শান্তির দাবি আসলে কতটা আন্তরিক বা কতটা যৌক্তিক? শান্তির প্রকৃত অর্থ তো কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়—মানবিক সমবেদনা ও ন্যায়ের প্রতিও দায়বদ্ধতা। নোবেল কমিটিও কি এই বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞ? নোবেল শান্তি পুরস্কার তো বিশ্বের বিবেকের প্রতীক হওয়ার কথা।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে, এই পুরস্কার অনেক সময় পশ্চিমা রাজনৈতিক স্বার্থের প্রতিফলন হয়ে উঠছে। মাচাদোর মতো এক মার্কিন–ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ রাজনীতিককে পুরস্কৃত করা মানে, একপ্রকার বার্তা দেওয়া—যে পশ্চিমের পাশে থাকলেই শান্তির প্রতীক হওয়া যায়, গাজার শিশুর রক্ত মাটিতে মিশে যাক, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
মারিয়া কোরিনা মাচাদো হয়তো ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্রের এক নাম। কিন্তু ফিলিস্তিনের জন্য তিনি কেবল গণহত্যাকারীর এক নীরব সমর্থক। আর নোবেল কমিটি যদি সেই নীরবতার পুরস্কার দেয়, তবে শান্তি শব্দটি তার অর্থ হারায়।
সূত্র: আল জাজিরা, দ্য কনভারসেশন
এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০২৫) ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো পুরস্কার পেয়েছেন ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে সাহসী অবস্থান’-এর জন্য। নিঃসন্দেহে নিকোলাস মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ।
৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইসরায়েলে হামলা করে হামাস। সেই হামলার পরে ইসরায়েলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন মাচাদো। তিনি হামাসের এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে নিন্দা জানিয়ে বলেন, যেকোনো মূল্যে, যেকোনো রূপে হামাসকে পরাজিত করতে হবে। প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন ও যুদ্ধনীতির প্রতি সমর্থন জানান তিনি।
এরপর ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনে নিহত হয়েছেন নারী-শিশুসহ ৬৭ হাজার ১ শ ৯০ জন। সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন লাখ লাখ মানুষ। দুর্ভিক্ষ পীড়িত সেইসব এলাকার বিশাল অংশ ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় বিশ লাখ বাসিন্দা। এত কিছুর মধ্যে আজকের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মাচাদো কোন রকম অন্যায় দেখতে পাননি। পেলে অবশ্যই প্রতিবাদ জানাতেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিও সমর্থন জানিয়ে মাচাদো বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেবেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন হিসেবেই বিবেচিত হবে। আবার ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাঁর দেশের ঐতিহাসিক সমর্থন থেকে সরে আসার ইঙ্গিতও দিয়েছে মাচাদো।
মাচাদোর রাজনৈতিক দল ‘ভেন্তে ভেনেজুয়েলা’ সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নেতানিয়াহুর ‘লিকুদ’ পার্টির সঙ্গে। ইসরায়েল ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে মধুর সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী মাচাদোর দল। ভেন্তে ভেনেজুয়েলা চুক্তিটিকে ‘একটি ঐতিহাসিক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। দলটি আরও ঘোষণা করেছে যে তাদের সহযোগিতার মধ্যে ‘রাজনৈতিক, আদর্শিক ও সামাজিক বিষয়গুলির পাশাপাশি কৌশল, ভূ-রাজনীতি এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলোকে এগিয়ে নেওয়া হবে’। বোঝা যায় যে ফিলিস্তিনে হামলার সময় মাচাদোর নীরবতা নিছক রাজনৈতিক কৌশল নয়; এটি এক নৈতিক অবস্থান। সেই অবস্থান শান্তির নয়—ক্ষমতার পাশে দাঁড়ানোর।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রয়েছে মাচাদোর। নিজের নোবেল পুরস্কারটিও উৎসর্গ করেছেন ট্রাম্পকেই। যদিও ট্রাম্পের পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার জনগণকেও পুরস্কারটি উৎসর্গ করেছেন মাচাদো। পুরস্কার ঘোষণার পরে মাচাদোকে ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প, নেতানিয়াহু আর মাচাদো মিলে একটি চমৎকার ত্রিভুজ।
ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো একাধিকবার নিজের দেশের রাজনীতিতে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপের কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, নিকোলাস মাদুরোর সরকার একনায়কতান্ত্রিক। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সমাজকে এতে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনি বারবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ যেন ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নেয়। ২০১৮ সালে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আর আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মাক্রিকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন তাদের ‘শক্তি ও প্রভাব’ ব্যবহার করে মাদুরো সরকারের অবসান ঘটাতে সাহায্য করেন। অনেকেই এই চিঠিকে বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপের আহ্বান বলে মনে করেন। পরে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাচাদো বলেন, ভেনেজুয়েলাকে সাহায্য করা আন্তর্জাতিক সমাজের দায়িত্ব, আর প্রয়োজনে জোর ব্যবহার করেও শাভেজপন্থী শাসন শেষ করতে হবে। ২০২৫ সালের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার স্বাধীনতাই যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা’—মানে, তার মতে দেশের পরিবর্তন আমেরিকারও স্বার্থের সঙ্গে জড়িত।
অনেকের ধারণা, নোবেল শান্তি পুরস্কার ভেনেজুয়েলার বিরোধীপক্ষের আন্দোলনকে একত্রিত করতে সাহায্য করতে পারে। মাচাদো যত বছর নির্বাচনকে বয়কট করার পরে বিরোধীপক্ষের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্যও দেখা দিয়েছিল, সেই মতপার্থক্য হয়তো এখন আর থাকবে না।
মাচাদোর পাওয়া পুরস্কার ভেনেজুয়েলার জন্য মার্কিনপন্থী ‘গণতন্ত্রে’র সংগ্রামকে আর বেশি আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আনবে। আন্তর্জাতিকভাবে আরও চাপ প্রয়োগ করার সুযোগও হবে।
তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মাচাদোর সম্পর্কের কারণে কী ভেনেজুয়েলার ‘গণতন্ত্র’ ফিরে আসবে? এটা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে না পারলেও একটা প্রভাব যে পড়তে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আক্রমণাত্মকভাবে জানান, প্রয়োজনে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপে মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
ভেনেজুয়েলার মতো দেশে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই আর মানবতার পক্ষে থাকা এক বিষয় নয়। যদি কেউ দেশের ভেতরে গণতন্ত্র চান, কিন্তু দেশের বাইরে হত্যাকারীর পাশে দাঁড়ান, তাহলে সেই শান্তির দাবি আসলে কতটা আন্তরিক বা কতটা যৌক্তিক? শান্তির প্রকৃত অর্থ তো কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়—মানবিক সমবেদনা ও ন্যায়ের প্রতিও দায়বদ্ধতা। নোবেল কমিটিও কি এই বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞ? নোবেল শান্তি পুরস্কার তো বিশ্বের বিবেকের প্রতীক হওয়ার কথা।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে, এই পুরস্কার অনেক সময় পশ্চিমা রাজনৈতিক স্বার্থের প্রতিফলন হয়ে উঠছে। মাচাদোর মতো এক মার্কিন–ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ রাজনীতিককে পুরস্কৃত করা মানে, একপ্রকার বার্তা দেওয়া—যে পশ্চিমের পাশে থাকলেই শান্তির প্রতীক হওয়া যায়, গাজার শিশুর রক্ত মাটিতে মিশে যাক, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
মারিয়া কোরিনা মাচাদো হয়তো ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্রের এক নাম। কিন্তু ফিলিস্তিনের জন্য তিনি কেবল গণহত্যাকারীর এক নীরব সমর্থক। আর নোবেল কমিটি যদি সেই নীরবতার পুরস্কার দেয়, তবে শান্তি শব্দটি তার অর্থ হারায়।
সূত্র: আল জাজিরা, দ্য কনভারসেশন
টানা ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মেক্সিকোতে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
৩ ঘণ্টা আগে১৯৪৮ সালের আল-নাকবার পর শরণার্থী শিবিরে জন্ম নেওয়া এবং বড় হওয়া লাখ লাখ ফিলিস্তিনির মতো, আমার জীবনের কাহিনীতেও সংগ্রাম আর টিকে থাকার কয়েকটি অধ্যায় আছে। আমাদের প্রজন্ম একভাবে সৌভাগ্যবান ছিল। ফিলিস্তিনের সেই হারানো গ্রামগুলোতে যারা থাকত, তাদের গল্প শুনে বড় হয়েছি আমরা। তারা নিজের গ্রামের প্রতিটি গাছ, প্
৬ ঘণ্টা আগে‘তুফান আল-আকসা’ নামে যে অভিযান হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর চালিয়েছিল তারপর দুই বছর কেটে গেছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের চালানো সেই অভিযানের পরে টানা দুই বছর ধরে গাজায় নির্মূল যুদ্ধ চালিয়েছে ইসরায়েল।
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক এক চরম সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের ‘চিরশত্রু’ ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক ক্রমশ উন্নতির দিকে মোড় নিচ্ছে।
১ দিন আগে