কথাসাহিত্যিক; সাংবাদিক
এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০২৫) ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো পুরস্কার পেয়েছেন ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে সাহসী অবস্থান’-এর জন্য। নিঃসন্দেহে নিকোলাস মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘বীর’ শব্দটি এক বিশেষ অর্থ বহন করে। এর অর্থ হচ্ছে, যাঁরা দেশের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও মানবিক ন্যায়ের জন্য লড়েছেন, তাঁরাই বীর। কিন্তু সময় বদলে গেছে। কখনো কখনো অস্ত্র হাতে যুদ্ধ না করেও কেউ ‘জাতীয় বীর’ হতে পারেন। যদি তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেন। নির্বিঘ্নে সত্য বলতে পারেন।
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, হুমায়ূন আহমেদের সাবেক স্ত্রী গুলতেকিন খানের ফেসবুক স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল তর্ক। তবে এই তর্ক এখন আর শুধু একজন লেখককে ঘিরে নয়, এটি বরং হয়ে উঠেছে আমাদের সময়ের মানুষের মনোভঙ্গী বোঝারও আয়না। কিন্তু কেন?
হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা থাকার কথা না, তবে তাঁর পরিবারের লোকজন নিশ্চয় এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। তাঁদের কথা সত্য বলে ধরে নিলে, হুমায়ূনের আত্মজীবনীর প্রায় ৬০ শতাংশই মিথ্যা হিসেবে অবিহিত হবে।
ক্ষমতায় যাওয়ার পরে অনেক শাসকই ‘লেখক’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এমন নজির আমাদের দেশেও আছে। সাবেক সামরিক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৩ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর ‘কবি’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তখন দেশের সরকারি সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় বিশেষভাবে ছাপা হয়েছিল তাঁর কবিতা।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। অর্থনীতি, কূটনীতি ও শিক্ষা-সংস্কৃতি—সব ক্ষেত্রেই যোগাযোগ বাড়ছে। তবে অনেকের মতে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া এ সম্পর্ক স্থায়ী অগ্রগতি পাবে না।
প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভের ডাক ছড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ। সেখান থেকেই মানুষকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা। বাংলাদেশের আন্দোলনেও আমরা দেখেছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বেরোনো এসব বইয়ের অনেকগুলোয় এখন বাংলা একাডেমির স্টোরে পড়ে আছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর বদলে যাওয়া প্রেক্ষাপটে বইগুলো বাংলা একাডেমি এখন আর বিক্রি করছে না। বন্ধ রেখেছে বইয়ের প্রদর্শনীও।
গত ৫ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জেনেভাতে অনুষ্ঠিত হলো গ্লোবাল প্লাস্টিক চুক্তির ৬ষ্ঠ বৈঠক। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে এই সম্মেলন। অথচ মারিয়ানা ট্রেঞ্চ থেকে শুরু করে মাউন্ট এভারেস্ট—প্লাস্টিক দূষণ পৌঁছে গেছে পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলে।
সোশ্যাল মিডিয়া আসার পর থেকেই বলা হচ্ছে, এই প্রজন্মের ধৈর্য কমে গেছে। কোনো ছেলে-মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডকে মেসেঞ্জারে মেসেজ পাঠানোর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই উত্তর আশা করে। যদি উত্তর না পায়, তাহলে তার ভেতরে নানা চিন্তার উদ্রেক হয়।
প্রাচীন রোমান আইনও সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকে ন্যায্যতা দিত এই বলে যে, ব্যভিচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত নারীদের তাদের স্বামীরা হত্যা করতে পারতেন। চীনে কিং রাজবংশের সময়ে পিতা ও স্বামীদের এমন কন্যাদের হত্যা করার অধিকার ছিল, যারা পরিবারের অসম্মান করেছে বলে মনে করা হতো।
আজকের ঢাকা, কলকাতা বা লন্ডনে বাস ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। এক সময় একসঙ্গে এতজন নিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করবে, তা হয়তো কেউ চিন্তাও করে নি। কিন্তু ধীরে ধীরে এই চিন্তাটা মানুষ করেছে। কে প্রথম ভাবল সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলার কথা?