স্ট্রিম প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান এমন এক সময়ে দেশে পা রাখছেন, যখন তাঁর মা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে।
তারেক রহমান ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। এরপর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। এর পর থেকে সে দেশেই আছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি দেশের মাটিতে পা রাখছেন।
২০০৮ সালে তারেক রহমানের দেশ ছাড়ার আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে খালেদা জিয়া ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিকেল) হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় খালেদা জিয়া জানিয়েছিলেন, ‘পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তারেক রহমান সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।’
২০০৮ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ছয়বার মা-ছেলের দেখা হয়েছে। প্রতিটি সাক্ষাৎ হয়েছে দেশের বাইরে। তারেক রহমান দেশ ছাড়ার আড়াই বছর পর প্রথম ছেলের সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা হয় ২০১১ সালের ১৪ মে। ওই সময় লন্ডনে গেলে ম্যারিয়ট হোটেলে মাকে স্বাগত জানান তারেক রহমান।
দেশ ত্যাগের পর মায়ের সঙ্গে তারেক রহমানের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ হয় দুবাই এয়ারপোর্টে, ২০১৪ সালের ২০ জুলাই। ওইদিন ওমরাহ পালনের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে লন্ডন থেকে দুবাই আসেন তারেক রহমান। সেখানে মা-ছেলের দেখা হয়।
মায়ের সঙ্গে তারেক রহমানের তৃতীয়বার সাক্ষাৎ হয় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ওই সময় খালেদা জিয়া লন্ডনে গেলে বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানান তারেক রহমান। এসব তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে হোটেলে নিয়ে যান। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর এটা ছিল তারেক রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার প্রথম সাক্ষাৎ।
২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ফের মা ও ছেলের দেখা হয় সৌদি আরবের জেদ্দায়। ওই সময় হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যান খালেদা জিয়া। তাঁরা উভয়ে ওই বছর সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে হজব্রত পালন করতে যান। এরপর ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনে ফের খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক রহমানের সাক্ষাৎ হয়। ওই সময় চিকিৎসার উদ্দেশে লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। লন্ডনে পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান তারেক রহমান।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। পরে করোনাকালে কারাগার থেকে বের হয়ে বাড়িতে থাকার অনুমোতি পেলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমোতি মেলেনি তাঁর। ফলে দীর্ঘ সময় আর মা-ছেলের দেখা হয়নি। অবশেষে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় মুক্তি পান খালেদা জিয়া। পরে চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান তিনি।
দীর্ঘ সাত বছর পর লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে দেখা হয় মা ও ছেলের। তাদের আলিঙ্গনে এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। দীর্ঘ চার মাসের চিকিৎসা শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। এ সময় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও দীর্ঘ ১৭ বছর পর শাশুড়ির সঙ্গে দেশে ফেরেন।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে ‘সংকটাপন্ন’ অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় তারেক রহমান দেশে ফিরছেন– বিএনপির নেতারা বললেও তারিখ স্পষ্ট করেননি। অবশেষে ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান ফিরলে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে দেখা হচ্ছে মা-ছেলের।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান এমন এক সময়ে দেশে পা রাখছেন, যখন তাঁর মা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে।
তারেক রহমান ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। এরপর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। এর পর থেকে সে দেশেই আছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি দেশের মাটিতে পা রাখছেন।
২০০৮ সালে তারেক রহমানের দেশ ছাড়ার আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে খালেদা জিয়া ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিকেল) হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় খালেদা জিয়া জানিয়েছিলেন, ‘পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তারেক রহমান সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।’
২০০৮ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ছয়বার মা-ছেলের দেখা হয়েছে। প্রতিটি সাক্ষাৎ হয়েছে দেশের বাইরে। তারেক রহমান দেশ ছাড়ার আড়াই বছর পর প্রথম ছেলের সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা হয় ২০১১ সালের ১৪ মে। ওই সময় লন্ডনে গেলে ম্যারিয়ট হোটেলে মাকে স্বাগত জানান তারেক রহমান।
দেশ ত্যাগের পর মায়ের সঙ্গে তারেক রহমানের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ হয় দুবাই এয়ারপোর্টে, ২০১৪ সালের ২০ জুলাই। ওইদিন ওমরাহ পালনের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে লন্ডন থেকে দুবাই আসেন তারেক রহমান। সেখানে মা-ছেলের দেখা হয়।
মায়ের সঙ্গে তারেক রহমানের তৃতীয়বার সাক্ষাৎ হয় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ওই সময় খালেদা জিয়া লন্ডনে গেলে বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানান তারেক রহমান। এসব তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে হোটেলে নিয়ে যান। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর এটা ছিল তারেক রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার প্রথম সাক্ষাৎ।
২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ফের মা ও ছেলের দেখা হয় সৌদি আরবের জেদ্দায়। ওই সময় হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যান খালেদা জিয়া। তাঁরা উভয়ে ওই বছর সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে হজব্রত পালন করতে যান। এরপর ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনে ফের খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক রহমানের সাক্ষাৎ হয়। ওই সময় চিকিৎসার উদ্দেশে লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। লন্ডনে পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান তারেক রহমান।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। পরে করোনাকালে কারাগার থেকে বের হয়ে বাড়িতে থাকার অনুমোতি পেলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমোতি মেলেনি তাঁর। ফলে দীর্ঘ সময় আর মা-ছেলের দেখা হয়নি। অবশেষে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় মুক্তি পান খালেদা জিয়া। পরে চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান তিনি।
দীর্ঘ সাত বছর পর লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে দেখা হয় মা ও ছেলের। তাদের আলিঙ্গনে এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। দীর্ঘ চার মাসের চিকিৎসা শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। এ সময় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও দীর্ঘ ১৭ বছর পর শাশুড়ির সঙ্গে দেশে ফেরেন।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে ‘সংকটাপন্ন’ অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় তারেক রহমান দেশে ফিরছেন– বিএনপির নেতারা বললেও তারিখ স্পষ্ট করেননি। অবশেষে ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান ফিরলে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে দেখা হচ্ছে মা-ছেলের।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
‘মৃত্যুর ফয়সালা জমিনে না, আসমানে হয়। আমি চলে গেলে আমার সন্তান লড়বে, তার সন্তান লড়বে।’– কথাগুলো চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বলেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি, যিনি শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গুলিবিদ্ধ হওয়া ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হাসপাতালে দেখতে এসে মির্জা আব্বাস যে তোপের মুখে পড়েছেন, সেটাকে ‘মব’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ ধরনের আচরণ করা হলে বিএনপি বসে বিএনপি বসে থাকবে না।
২ ঘণ্টা আগে