
.png)

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান আরও এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়াতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার তুরস্কে অনুষ্ঠিত আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চার দিনব্যাপী আলোচনার পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে ২৮ অক্টোবর। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠককে ‘শেষ চেষ্টা’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু পারস্পরিক অবিশ্বাস ও অভিযোগের কারণে আলোচনাটি ভেঙে পড়ে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তৈরি হয়েছিল জাতিসংঘ। একুশ শতকে যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক মহামারির সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের ব্যর্থতা কারোরই অজানা নয়।

বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে জন্ম নেওয়া জাতিসংঘকে একসময় মনে করা হতো মানবতার শেষ আশ্রয়। মানুষের কাছে জাতিসংঘ ছিল এমন এক সংস্থা, যারা পৃথিবীকে আবারও যুদ্ধের অন্ধকারে পতিত হতে দেবে না।

এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০২৫) ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো পুরস্কার পেয়েছেন ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে সাহসী অবস্থান’-এর জন্য। নিঃসন্দেহে নিকোলাস মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি চলতি বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণা করেছে। কে এই মাচাদো? কেন তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন? জানুন স্ট্রিমে..

২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ও ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এবার ভেনেজুয়েলার বিরোধী রাজনৈতিক নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়েছে। এই পুরস্কার তাকে বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান স্বৈরশাসনের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ এবং বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা মারিয়া করোনা মাচাদো।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বিশ্বে বিরাজমান অস্থিতিশীল অবস্থা দূরীকরণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

বিভক্ত বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা
বাংলদেশ প্রায়ই এক নম্বর বা দুই নম্বর সেনা-অবদানকারী রাষ্ট্র হিসেবে তালিকার শীর্ষে থাকে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা উচ্চ মানের পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ছাড়া শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ভিন্ন রূপ নিত। আজ যে সাফল্য আমরা দেখি, তা সম্ভব হতো না।

বিশ্ব শান্তি দিবস
জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শান্তি দিবস (২১ সেপ্টেম্বর) কথা শুনলে মানুষের মনে এমন ক্ষোভ ও ব্যঙ্গ জাগতেই পারে যে, এসব দিবস দিয়ে আর কী আসে যায়, যেখানে যোগাযোগ মাধ্যম খুললেই দেশবিদেশ নির্বিশেষে কেবল নিরন্তর যুদ্ধ, সন্ত্রাস ও সংঘর্ষের খবর। সঙ্গে সঙ্গে এমন হতাশাও তৈরি হয় যে বাংলাদেশেও শান্তি বলে কিছু নেই!