স্ট্রিম ডেস্ক

হংকংয়ের তাই পো জেলার ওয়াং ফুক কোর্ট সরকারি আবাসিক কমপ্লেক্সের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। দমকল কর্মীরা এখনো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সটিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। সরকার এই ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে সব ‘অ-প্রয়োজনীয়’ কার্যক্রম বাতিল করেছে। জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে, যদিও ঘনবসতিপূর্ণ টাওয়ারগুলোর অনেক বাসিন্দা এখনো নিখোঁজ।
হংকংয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক সচিব ক্রিস ট্যাং জানান, এখনো প্রায় ২০০ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত ৭৫ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন এবং আরও ২৮ জনের অবস্থা গুরুতর।
নিহতদের মধ্যে ৩৭ বছর বয়সী দমকল কর্মী হো ওয়াই-হোও রয়েছেন। তিনি নয় বছর ধরে বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
শুক্রবারও দমকলকর্মীরা ভবনের বিভিন্ন অংশে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন। ভবনগুলোতে আজও ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। কালো হয়ে যাওয়া টাওয়ারজুড়ে বাঁশের মাচাগুলো ভাঙাচোরা অবস্থায় ঝুলে ছিল।
দমকল বিভাগের উপপরিচালক ডেরিক আর্মস্ট্রং চ্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অগ্নিনির্বাপক কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে।’
নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজতে পরিবারগুলো কাছের এক কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হয়। সেখানে তাঁদের মৃতদের ছবি দেখানো হয়। অন্য অনেকে তাই পো জেলার বাসস্থান কমপ্লেক্সটির বাইরে দাঁড়িয়ে উদ্বেগ নিয়ে খবরের অপেক্ষা করছিলেন।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে (২৬ নভেম্বর ২০২৫) আগুন লাগার অল্প সময়ের মধ্যেই এটি কয়েক দশকের মধ্যে শহরের সবচেয়ে বড় দুর্যোগে পরিণত হয়। আটটি উচ্চ ভবনের মধ্যে সাতটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রেণে আনতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
কমপ্লেক্সটি ১৯৮০–র দশকে নির্মিত হয়। এতে প্রায় ২ হাজার ফ্ল্যাটে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ মানুষ বসবাস করেন। এখানকার বাসিন্দাদের বড় অংশই বয়স্ক। প্রায় ৩৬ শতাংশের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। এ কারণেই হতাহতের ঘটনাও বেশি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভবনগুলোর সংস্কারকাজের সময় নিন্মমানের দাহ্য নির্মাণ জাল ব্যবহার করা হয়েছিল। এছাড়া জানালাগুলো ঢেকে রাখার জন্য দাহ্য পলিস্টাইরিন ফোম ব্যবহৃত হয়েছে বলেও প্রাথমিক ধারণা মিলেছে।
সংস্কার কাজে নির্মাণসামগ্রীগুলোর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালক ও একজন পরামর্শককে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে মানবহত্যা ও গুরুতর অবহেলার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। কোম্পানিটি যেখানে কাজ করছিল, সেই ১১টি ব্যক্তিমালিকানাধীন আবাসিক প্রকল্পও এখন পরিদর্শনের আওতায় আনা হয়েছে।
ঘটনাটি হংকংবাসীকে স্তম্ভিত করেছে। এখানে বহুতল ভবনে বসবাস সাধারণ বিষয়। সবুজ জাল ও বাঁশের কাঠামোয় ঢাকা নির্মাণসাইটও শহরের পরিচিত দৃশ্য। অনেক মানুষ ত্রাণ তহবিল গড়ে তুলছেন এবং গৃহহীন হয়ে পড়া বাসিন্দাদের জন্য সংগ্রহ করা সামগ্রী বিতরণে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন।
নিহতের সংখ্যার দিকে থেকে এই অগ্নিকাণ্ড গত ৮০ বছরে হংকংয়ের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ড। ১৯৪৮ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ১৯৪৮ সালে একটি গুদামে আগুনে ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন হংকং ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ। এরপর এটাই সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা এ শহরে।
বুধবার দুপুর ৩টার কিছু আগে ৩২-তলা একটি ভবনে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ওয়াং ফুক কোর্ট একটি ঘনবসতিপূর্ণ সরকারি আবাসিক এলাকা, যা নিউ টেরিটরিজের উত্তরাংশে অবস্থিত। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, আগুন শুরু হয়েছিল বাইরের বাঁশের মাচা থেকে, যা বড় ধরনের সংস্কারকাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিকেলের মধ্যে আগুন পাশের ভবনগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। তীব্র বাতাস ও দাহ্য সামগ্রী আগুনকে আরও দ্রুত ছড়িয়ে দেয়।

সন্ধ্যার দিকে এই আগুনকে ‘লেভেল-৫’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা হংকংয়ের অগ্নিকাণ্ড শ্রেণিবিন্যাসে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত। আগুনের বিস্তারে বাঁশের মাচা বড় ভূমিকা রাখে। হংকংয়ে এখনো ঐতিহ্যগতভাবে বাঁশের মাচা ব্যবহৃত হলেও চীনের মূল ভূখণ্ডে এটি বহু আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে। চীনে বাঁশের মাচার বদলে ধাতব কাঠামো ব্যবহার করা হয়।
মাচার চারপাশে থাকা সবুজ নেট ও ওয়াটারপ্রুফ ত্রিপল দ্রুত দাহ্য হয়ে ওঠে। মাচার কাঠামো ভেঙে ১০ থেকে ২০ তলা নিচে পড়ে আরও ছোট ছোট আগুনের সৃষ্টি করে। ভবনের ভেতরে ব্যবহৃত দাহ্য স্টাইরোফোমের কারণে আগুন করিডোরজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাইরের দেওয়ালেও অগ্নিরোধক মানদণ্ড যথাযথভাবে মেনে চলা হয়েছিল কি না—তা এখন তদন্তাধীন।
তীব্র বাতাস আগুনকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেয় এবং আটটির মধ্যে সাতটি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু বাসিন্দা জানান, তাদের ইউনিটে কোনো অগ্নিসংকেত বেজে ওঠেনি। ফলে তারা দেরিতে টের পান এবং বহু মানুষ উপরের তলার ফ্ল্যাটে আটকে পড়েন।
এই দুর্ঘটনা কেন প্রতিরোধ করা গেল না তা ব্যাখ্যা করার জন্য সরকারের ওপর এখন আরও চাপ বাড়ছে। ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন চীনের মনোনীত স্থানীয় সরকার শহর পরিচালনার সক্ষমতা প্রদর্শন করতে চায়। ২০২০ সালে জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরোপের পর অনেক স্বাধীনতা হারালেও হংকং এখনো আংশিক স্বায়ত্তশাসিত। আগামী মাসে এখানে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিরোধী দল থাকবে না।
বৃহস্পতিবার রাতে সরকার ঘোষণা করে যে তারা সব ‘অ-প্রয়োজনীয় জনসাধারণের কার্যক্রম’ স্থগিত করবে। উদ্দেশ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তায় সময় ও সম্পদ মনোযোগীভাবে ব্যবহার করা। পাশাপাশি শহরের যেসব স্থানে বাহ্যিক দেয়ালের নির্মাণকাজ বা মাচা ও সুরক্ষাবেষ্টনী সংযুক্ত সংস্কার চলছে—সে সব সাইট পরিদর্শন করা হবে।
সরকার জানিয়েছে, তারা বাঁশের মাচা পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এর পরিবর্তে অগ্নিরোধী ধাতব মাচা ব্যবহারের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।

হংকংয়ের তাই পো জেলার ওয়াং ফুক কোর্ট সরকারি আবাসিক কমপ্লেক্সের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। দমকল কর্মীরা এখনো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সটিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। সরকার এই ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে সব ‘অ-প্রয়োজনীয়’ কার্যক্রম বাতিল করেছে। জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে, যদিও ঘনবসতিপূর্ণ টাওয়ারগুলোর অনেক বাসিন্দা এখনো নিখোঁজ।
হংকংয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক সচিব ক্রিস ট্যাং জানান, এখনো প্রায় ২০০ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত ৭৫ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন এবং আরও ২৮ জনের অবস্থা গুরুতর।
নিহতদের মধ্যে ৩৭ বছর বয়সী দমকল কর্মী হো ওয়াই-হোও রয়েছেন। তিনি নয় বছর ধরে বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
শুক্রবারও দমকলকর্মীরা ভবনের বিভিন্ন অংশে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন। ভবনগুলোতে আজও ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। কালো হয়ে যাওয়া টাওয়ারজুড়ে বাঁশের মাচাগুলো ভাঙাচোরা অবস্থায় ঝুলে ছিল।
দমকল বিভাগের উপপরিচালক ডেরিক আর্মস্ট্রং চ্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অগ্নিনির্বাপক কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে।’
নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজতে পরিবারগুলো কাছের এক কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হয়। সেখানে তাঁদের মৃতদের ছবি দেখানো হয়। অন্য অনেকে তাই পো জেলার বাসস্থান কমপ্লেক্সটির বাইরে দাঁড়িয়ে উদ্বেগ নিয়ে খবরের অপেক্ষা করছিলেন।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে (২৬ নভেম্বর ২০২৫) আগুন লাগার অল্প সময়ের মধ্যেই এটি কয়েক দশকের মধ্যে শহরের সবচেয়ে বড় দুর্যোগে পরিণত হয়। আটটি উচ্চ ভবনের মধ্যে সাতটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রেণে আনতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
কমপ্লেক্সটি ১৯৮০–র দশকে নির্মিত হয়। এতে প্রায় ২ হাজার ফ্ল্যাটে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ মানুষ বসবাস করেন। এখানকার বাসিন্দাদের বড় অংশই বয়স্ক। প্রায় ৩৬ শতাংশের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। এ কারণেই হতাহতের ঘটনাও বেশি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভবনগুলোর সংস্কারকাজের সময় নিন্মমানের দাহ্য নির্মাণ জাল ব্যবহার করা হয়েছিল। এছাড়া জানালাগুলো ঢেকে রাখার জন্য দাহ্য পলিস্টাইরিন ফোম ব্যবহৃত হয়েছে বলেও প্রাথমিক ধারণা মিলেছে।
সংস্কার কাজে নির্মাণসামগ্রীগুলোর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালক ও একজন পরামর্শককে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে মানবহত্যা ও গুরুতর অবহেলার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। কোম্পানিটি যেখানে কাজ করছিল, সেই ১১টি ব্যক্তিমালিকানাধীন আবাসিক প্রকল্পও এখন পরিদর্শনের আওতায় আনা হয়েছে।
ঘটনাটি হংকংবাসীকে স্তম্ভিত করেছে। এখানে বহুতল ভবনে বসবাস সাধারণ বিষয়। সবুজ জাল ও বাঁশের কাঠামোয় ঢাকা নির্মাণসাইটও শহরের পরিচিত দৃশ্য। অনেক মানুষ ত্রাণ তহবিল গড়ে তুলছেন এবং গৃহহীন হয়ে পড়া বাসিন্দাদের জন্য সংগ্রহ করা সামগ্রী বিতরণে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন।
নিহতের সংখ্যার দিকে থেকে এই অগ্নিকাণ্ড গত ৮০ বছরে হংকংয়ের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ড। ১৯৪৮ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ১৯৪৮ সালে একটি গুদামে আগুনে ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন হংকং ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ। এরপর এটাই সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা এ শহরে।
বুধবার দুপুর ৩টার কিছু আগে ৩২-তলা একটি ভবনে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ওয়াং ফুক কোর্ট একটি ঘনবসতিপূর্ণ সরকারি আবাসিক এলাকা, যা নিউ টেরিটরিজের উত্তরাংশে অবস্থিত। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, আগুন শুরু হয়েছিল বাইরের বাঁশের মাচা থেকে, যা বড় ধরনের সংস্কারকাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিকেলের মধ্যে আগুন পাশের ভবনগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। তীব্র বাতাস ও দাহ্য সামগ্রী আগুনকে আরও দ্রুত ছড়িয়ে দেয়।

সন্ধ্যার দিকে এই আগুনকে ‘লেভেল-৫’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা হংকংয়ের অগ্নিকাণ্ড শ্রেণিবিন্যাসে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত। আগুনের বিস্তারে বাঁশের মাচা বড় ভূমিকা রাখে। হংকংয়ে এখনো ঐতিহ্যগতভাবে বাঁশের মাচা ব্যবহৃত হলেও চীনের মূল ভূখণ্ডে এটি বহু আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে। চীনে বাঁশের মাচার বদলে ধাতব কাঠামো ব্যবহার করা হয়।
মাচার চারপাশে থাকা সবুজ নেট ও ওয়াটারপ্রুফ ত্রিপল দ্রুত দাহ্য হয়ে ওঠে। মাচার কাঠামো ভেঙে ১০ থেকে ২০ তলা নিচে পড়ে আরও ছোট ছোট আগুনের সৃষ্টি করে। ভবনের ভেতরে ব্যবহৃত দাহ্য স্টাইরোফোমের কারণে আগুন করিডোরজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাইরের দেওয়ালেও অগ্নিরোধক মানদণ্ড যথাযথভাবে মেনে চলা হয়েছিল কি না—তা এখন তদন্তাধীন।
তীব্র বাতাস আগুনকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেয় এবং আটটির মধ্যে সাতটি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু বাসিন্দা জানান, তাদের ইউনিটে কোনো অগ্নিসংকেত বেজে ওঠেনি। ফলে তারা দেরিতে টের পান এবং বহু মানুষ উপরের তলার ফ্ল্যাটে আটকে পড়েন।
এই দুর্ঘটনা কেন প্রতিরোধ করা গেল না তা ব্যাখ্যা করার জন্য সরকারের ওপর এখন আরও চাপ বাড়ছে। ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন চীনের মনোনীত স্থানীয় সরকার শহর পরিচালনার সক্ষমতা প্রদর্শন করতে চায়। ২০২০ সালে জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরোপের পর অনেক স্বাধীনতা হারালেও হংকং এখনো আংশিক স্বায়ত্তশাসিত। আগামী মাসে এখানে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিরোধী দল থাকবে না।
বৃহস্পতিবার রাতে সরকার ঘোষণা করে যে তারা সব ‘অ-প্রয়োজনীয় জনসাধারণের কার্যক্রম’ স্থগিত করবে। উদ্দেশ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তায় সময় ও সম্পদ মনোযোগীভাবে ব্যবহার করা। পাশাপাশি শহরের যেসব স্থানে বাহ্যিক দেয়ালের নির্মাণকাজ বা মাচা ও সুরক্ষাবেষ্টনী সংযুক্ত সংস্কার চলছে—সে সব সাইট পরিদর্শন করা হবে।
সরকার জানিয়েছে, তারা বাঁশের মাচা পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এর পরিবর্তে অগ্নিরোধী ধাতব মাচা ব্যবহারের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।

এই ব্যবস্থাকে অনেকেই ‘মুনির মডেল’ বলে অভিহিত করছেন। এটি এক ধরনের সামরিক নিয়ন্ত্রণ, যা গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভেতরেই স্থাপন করা হয়েছে। ২০০৮ সালে সরাসরি সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর এটি পাকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামোর সবচেয়ে বড় পুনর্গঠন।
১৪ মিনিট আগে
ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম তলানিতে। রপ্তানি বাণিজ্যেও ভয়াবহ স্থবিরতা নেমে এসেছে। ভারত সরকারের কর্মকর্তারা এই পরিস্থিতিতে হতবাক হলেও রপ্তানিকারকরা এর জন্য বাংলাদেশের স্বনির্ভর হওয়া এবং বিকল্প বাজার হিসেবে পাকিস্তান ও চীন থেকে সংগ্রহকে দায়ী করছেন।
২১ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপের অন্য কোনো দেশে আক্রমণ করবে না, এ বিষয়ে তিনি লিখিতভাবে নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত। তাঁর দাবি, মস্কো ইউরোপ আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, এই অভিযোগ ‘মিথ্যা’, ‘অমূলক’ এবং ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিজ’ বা তথাকথিত উন্নয়নশীল দেশসমূহ থেকে আসা সমস্ত অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করবেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর ২০২৫) তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে তিনি একথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগে