leadT1ad

শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে মৃত বেড়ে ৫৬, সরকারি অফিস ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৪
কলম্বোর মালওয়ানায় ভারি বৃষ্টির পর প্লাবিত সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক বাসিন্দা। ছবি: আল-জাজিরা

শ্রীলঙ্কাজুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) দেশটির সব সরকারি অফিস ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এখন পর্যন্ত ছয় শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত সপ্তাহ থেকে শ্রীলঙ্কায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় ‘দিৎওয়াহ’-র প্রভাবে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কিছু এলাকায় ৩৬০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারি বর্ষণের ফলে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। এতে বাড়িঘর, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।

কলম্বো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত চা উৎপাদনকারী পাহাড়ি জেলা বাদুলা ও নুয়ারা এলিয়ায় বৃহস্পতিবার ভূমিধসে ২৫ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন।

সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে, ওই এলাকায় এখনো ২১ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দুর্যোগ পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকার শুক্রবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে অফিস-আদালত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রবল বৃষ্টির ফলে দেশটির বেশিরভাগ জলাধার ও নদীর পানি উপচে পড়েছে। পাহাড়ি ঢল, কাদা, পাথর ও গাছ উপড়ে পড়ায় দেশের অনেক অংশের রাস্তাঘাট ও রেলপথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে যাত্রীনিবাহী ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া একটি বাড়ির ছাদ থেকে আটকে পড়া তিনজনকে উদ্ধার করছে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার। এছাড়া নৌবাহিনী ও পুলিশ বন্যাকবলিত বাসিন্দাদের উদ্ধারে নৌকা ব্যবহার করছে। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আম্পারার কাছে বন্যার তোড়ে একটি গাড়ি ভেসে গিয়ে তিন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত